১. শ্রদ্ধেয় ব্লগার চাঁদগাজীর পোস্টে view this linkউত্তর দিতে গিয়ে দেখি বড় হয়ে গিয়েছে। উনি কয়েকদিন আগে এক ব্লগারের বড় মন্তব্যে নাখোশ হয়েছেন। তাই এখানে আলাদা করে ঐ মন্তব্যের সাথে কিছু যোগ বিয়োগ করে একটা পোস্ট প্রসব করতে বাধ্য হলাম...
২. চাঁদগাজী বলেছেন, গ্রেনেড হামলার মত নারকীয় হত্যাকান্ডের রায়ে জাতির বিরাট একটা অংশ অসুখী। মন্দ বলেননি তিনি। কারণ, জাতি চরমভাবে দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে সহ্য করতে পারে না। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চায়। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে কোন ক্রেডিট দিতে চায় না। যে কোন এক পক্ষকে বিলীন হতে হবে অথবা এই ব্লেইম গেম বন্ধ করতে হবে। তাহলে এই ধারা থেকে আমরা মুক্তি পাব...
৩. এই বিভাজন শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধকে একমাত্র তাদেরই অর্জন বলে, তাদের বিরোধীদের 'স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি', 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী' বলে ট্যাগ দিতে দিতে এখন অনুভূতিও এক্সট্রিম লেভেলে চলে গিয়েছে। জাতির বিরাট অংশ খালেদা জিয়ার জেলে যাওয়াতে খুশী আবার আরেক অংশ অখুশী। জাতির বিরাট অংশ মনে করে তারেক রহমানের সাথে অন্যায় করা হয়েছে, আরেক অংশ মনে করে সঠিক বিচার করা হয়েছে। অথচ দোষ করলে শাস্তি হবে এটাই নিয়ম। জাতির বিরাট একটা অংশ আশায় আছে বিডিআর হত্যাকান্ড ও শাপলা চত্বর ম্যাসাকারের বিচার হবে কখনো!...
৪. একই জাতি আবার এর মধ্যে দেখেছে লুঙ্গি মায়া খালাস, লক্ষীপুরের বিপ্লব রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে মুক্ত। জাতি আরো জেনেছে এস কে সিনহার বিস্ফোরক সব মন্তব্য। বিচার বিভাগকে কীভাবে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবহার করেছে। কীভাবে একজন প্রধান বিচারপতির সাথে আচরণ করা হয়েছে ইত্যাদি। হয় এই গ্রুপকে (যারা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ও আশে পাশে আছে) সমূলে নির্মূল করতে হবে (আর্মি হলে ক্ষতি নেই) নতুবা বর্তমান নেতৃত্বের শুভবুদ্ধির উদয় হোক কামনা ছাড়া এই জাতির কোন আশা নেই...
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৮