১. ড. কামাল হোসেন আমার পছন্দের লোক নন। কারণ, উনি আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট। উনি বাঙালী(বাংলাদেশী না) চেতনা ধারণ করেন। উনি ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করেন। উনি সেই সব সুশীল সমাজের অংশ যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম-কে সমর্থন করেন না। উনি সেইসব বুদ্ধিজীবি সমাজের অংশ যারা পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের অধিকারের নামে সেখানে আর্মি থাকাকে সমর্থন করেন না। উনি ইয়াজউদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের বিরোধীতাকারীদের একজন...
২. তবুও ঘটনাচক্রে তিনি এখন 'এন্টি আওয়ামী লীগ' জোটের প্রধান কর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি কোন পদ চান না, ক্ষমতা চান না(অবশ্য এই কথাটা হাসিনা/খালেদাও বলেন!)। শুধু চান জনগণের ভোটের অধিকার ফেরত আসুক। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে যেন সবাই ভোট দিতে পারে। ভোট দিলে যেন সেটা রিগিং না হয়। সব দলের জন্য যেন সমান অধিকার হয়...
৩. শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ কিংবা আপনি এই আশাবাদ-এর বিরোধীতা কেন করবেন? চাঁদগাজী, কলাবাগান, হাসান কালবৈশাখী সুষ্ঠ নির্বাচন চান, জনগণের ভোটাধিকার চান। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় আসুক সেটা চান না। তেনাদের কথা - কামাল হোসেন কেন এমন একটা জোটের নেতৃত্ব দিবেন যেই জোটের কারণে বিএনপি'র মত ক্যান্টনমেন্ট-এ জন্ম নেয়া একটা দল ক্ষমতায় যাবে?
৪. কয়েকদিন আগে এক কট্টর বিএনপি সমর্থক আমাকে বললেন, বিদ্যুৎ, ফ্লাইওভার, পদ্মা সেতু সহ দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন আসলেই আওয়ামী লীগ করেছে। হয়ত, শেখ হাসিনা জিতেও যেতে পারত! কিন্তু সেটা যাচাই করছেন না উনি কারণ, উনার তথা উনার দলের মনের ভয়। সবার মনে একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, বিএনপি এলেই প্রতিশোধ শুরু হবে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জেলে যেতে হবে ইত্যাদি। তাহলে এমন কাজ কি করা হয়েছিল যে কারণে প্রতিশোধের কথা আসছে???
৫. শেখ হাসিনা না সরলে ভোটাধিকার আসবে না। তাই তেনাকে হঠানোর জন্য জামায়াতে ইসলামী'র মত দল-ও এখন বামপন্থী কামাল হোসেনের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছেন। এমনকি নূন্যতম মূল্যায়ন না পাওয়ার পরও। কারণ, একটা গণতান্ত্রিক দেশে গায়ের জোরে কেউ ক্ষমতায় থাকুক এটা কেউ চায় না। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যাদের চাইবে তাদের হাতেই ক্ষমতা যাওয়া উচিত। তবুও আপনি কি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিরোধীতা করেই যাবেন?
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৫৩