১. চারিদিকে উল্লাস। শেখ হাসিনা আসলেই বাপের বেটী। কীভাবে কৌশলের সাথে একটা বৃহৎ 'এন্টি আওয়ামী ফোর্স'কে কাবু করে ফেলেছেন। যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে প্রগতিশীলরা দেশকে নিরাপদ বোধ করে, যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ধর্ম নিরপেক্ষরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে দেশ আফগানিস্তান/পাকিস্তান হবে না বলে, সেই আওয়ামী লীগের নেত্রী এখন 'কওমী জননী'। মারহাবা...
২. কওমী হোক আর আলিয়া হোক, এদের বেশীরভাগ ভোটারই কখনোই 'নৌকা'তে ভোট দিবে না। এটা জানার পরও শেখ হাসিনা তাদের দাবী মেনে নিয়েছেন। এখন, হেফাজত আবার আন্দোলন করার জন্য দ্বিতীয়বার ভাববে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল - এর আগে শাপলা চত্ত্বরের ঘটনার পর যেভাবে হেফাজতকে সাইজ করা হয়েছিল এবং গত কয়েক বছর একরকম শান্তই ছিল তারা, তাহলে এখন হঠাৎ করে তাদের সাপোর্টের দরকার হল কেন? তারা তো আর বিএনপি/জামাতের চেয়ে শক্তিশালী কেউ না?
৩. ঐতিহাসিক ভাবে আওয়ামী লীগের সাথে অনেক ইসলাম বিদ্বেষী নেতা ও বুদ্ধিজীবি জড়িত। তাই এই ঘটনার পর আম জনতা সুলতানা কামাল, ইনু, মতিয়া, শাহরিয়ার কবির, হাসান ইমাম গংদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। তেনারা সবাই অবশ্য এরকমই। যেহেতু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ এটা করেছে তাই তেনারা সমালোচনা করবেন না বলেই ধরে নেয়া যায়। অলরেডি ওকা বলেছেন, কাউকে তেঁতুল হুজুর বলা ঠিক নয়...
৪. আসলে এখানে শেখ হাসিনার নৈতিক পরাজয় হয়েছে। আর হেফাজতের হয়েছে পতন। কারণ, সব সময় বিএনপি-জামাতকে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগ তুলে নিজেই এখন ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করলেন। বামপন্থী, প্রগতিশীল, মুক্তমনা দল হওয়ার পরও সামান্য ভোট বা ইসলাম বিরোধী ভাবমূর্তি মোছার জন্য দলের দীর্ঘদিনের নীতি বিসর্জন দিয়ে ধর্ম ভিত্তিক দলের সাথে আপোস করলেন। যদিও এই পরাজয়ে তেনার তেমন কিছু যায় আসে না। খালেদা জিয়া জেলে, তারেক জিয়া লন্ডনে, জোর করে ৫ বছর ক্ষমতায় - এগুলোই উনার বিজয়...
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১০