১. অফিসের বাংলাদেশী টি বয় ঠিক এই প্রশ্নটিই আমাকে এই মাত্র চা দিয়ে করল। আমি তাৎক্ষণিক ভাবে কোন উত্তর দিতে পারলাম না তাকে। আমি নিয়মিতই তাকে রাজনৈতিক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেই। কিন্তু এ উত্তরটা আমার আসলেই জানা নেই। শেখ হাসিনাই থাকছেন সরকার প্রধান, সেই এম পি, মন্ত্রীরাই বহাল থাকবেন, উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পালনে ব্যর্থ নুরুল হুদাই ইসি থাকছেন, আর্মিও সীমিত আকারে থাকবে। তাহলে কেন বিএনপি মনে করছে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে?
২. ঐক্য ফ্রন্টের ১ টা দাবী না মানলেও তেনাদের দাবী 'আন্দোলনের অংশ' হিসেবে তেনারা নির্বাচনে অংশ নিবেন। কারো কারো মতে, এবার নির্বাচনে না এলে বিএনপি আরো পেছনে পড়ে যাবে। আর যেহেতু, আন্দোলনের মুরোদ নেই, প্রধান নেতা ও দ্বিতীয় প্রধান নেতা দলের নেতৃত্বে নেই - এরকম একটা অবস্থায় 'হারাবার কিছু নেই' মনে করে নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি...
৩. আমার মনে হয়, এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার দুইটা দিক থাকতে পারে। এক - যদি ঐক্যফ্রন্ট জিতে যায়, তাহলে খালেদা ও তারেকের প্রত্যাবর্তন সহজ হবে। ফ্রন্ট লাইনে কামাল হোসেন থাকাতে আওয়ামী লীগ বিদেশীদের ভয়ে নিরপেক্ষ থাকবে! দুই - যদি ঐক্যফ্রন্ট হেরে যায়, তাহলে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করা যাবে বরাবরের মতই! একই ভাবে বিদেশীদের কাছে নালিশও দেয়া যাবে। জানি না, শেখ হাসিনা এসবের সুযোগ করে দিবেন কিনা। মানে, সন্দেহ করার মত কার্যক্রম তার সরকার ও ইসি করবে কিনা...
৪. কামাল হোসেন-ফখরুল কি এমন কোন পরিকল্পনা করেছেন যে, হেরে গেলেই দেশ অচল করার মত কর্মসূচি দিয়ে দিবেন? তেনারা ডাক দিলেই কী হাজার হাজার নেতা কর্মী রাজপথে নেমে আসবে? নাকি তেনারা শেখ হাসিনাকে বৈধতা দেয়ার জন্যই এ নির্বাচনে যাচ্ছেন? খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য হলে তেনাদের পদক্ষেপ কী হতে পারে? যদিও খালেদা নিজেই বলেছেন, ঐক্য এগিয়ে নিয়ে নির্বাচনে যেতে...
৫. খালেদা জিয়া মনে হয় রাজনীতি থেকে অবসরে চলে যাবেন এবারের পর। ঐক্য ফ্রন্ট হেরে গেলে তারেকের আসা আরো দীর্ঘায়িত হবে। তাই তার স্ত্রী জোবায়দাকে নিয়ে কিছু একটা প্ল্যান করছে বিএনপি। তবে তা ফলপ্রসূ হবে না এখনই। এবারে হেরে গেলে বিএনপি-কে জিয়া পরিবার ছাড়াই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দল চালাতে হবে মনে হচ্ছে...
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৩