১. আমার ইচ্ছে করে এ্যাড ফার্মে চাকুরি করতে। সেই কিশোর বেলা থেকেই নানা বিজ্ঞাপনের আইডিয়া আমার মাথায় ঘুরে আবার হারিয়ে যায়। এই মুহূর্তে অন্য এক পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে আমার মাথায় একটা বিজ্ঞাপনের আইডিয়া এল। সেটাই প্রসব করতে যাচ্ছি। বিজ্ঞাপনটা হতে পারে এরকম - "এক সময়ের দেশ সেরা গায়ক/নায়ক আজ অসহায়, চিকিৎসার খরচ মেটাতে পারছেন না। কারণ, তিনি শুধু খরচই করেছেন, কোন বিনিয়োগ করেননি। তাই আজই আপনি বিনিয়োগ করুন বসুন্ধরাতে। কারণ, বসুন্ধরার জমির বড় গুণ, ১০ বছরে দাম বেড়েছে ১০ গুণ!"...
২. শিল্পীরা তাদের পেশার উপার্জনকে ঠিকমত সঞ্চয় না করে খরচ করবেন আর হাত পাতবেন শেষ বয়সে - এটা কোন যুক্তি হতে পারে না। রাজ্জাক ফুটপাথে থেকেও বুদ্ধি খাটিয়ে আজ রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের মালিক। এভাবে শিল্পীদেরও তাদের সঞ্চয় দিয়ে আলাদা বিনিয়োগ করা উচিত। সেটা জমি কিনে হোক, ব্যাংকে ডিপিএস-এ হোক। তেনারা বিনা পয়সায় দেশের সেবা করেননি, আমাদের বিনোদিত করেননি। আমরা ক্যাসেট কিনেছি কিনা, আমরা টিকেট কেটে সিনেমা দেখেছি কিনা - এসব ফালতু কথা...
৩. আর সমালোচনা যাদের নিয়ে হচ্ছে তাদের নিয়ে কখনোই কোন সাংবাদিক দুঃস্থ বলে কোন সংবাদ প্রচার করেনি। যেমনটা এক সময় রানী সরকার সহ অনেক সত্যিকারের দুঃস্থ শিল্পীদের নিয়ে খবর আসত। তাই এটার অপব্যবহার হচ্ছে কিনা সেটাও দেখা উচিত...
৪. ফেসবুকে পড়লাম, এন্ড্রু কিশোরের সন্তান নর্থ সাউথে পড়ে। কিছুদিন আগেও তিনি অস্ট্রেলিয়াতে শো করে এসেছেন। আহমেদ শরীফ কী রোগে আক্রান্ত সাংবাদিকরাও জানে না। তিনি দিব্যি সুস্থ ভাবে বিয়ে শাদীতে অংশ নিচ্ছেন। এক সময়ের গডফাদার জয়নাল হাজারীও সহায়তা পেয়েছেন...
৫. একমাত্র হুমায়ুন আহমেদ এ ধরনের ফকিরনি আচরণ করেন নি। তিনি নিজে পত্রিকায় লিখেছিলেন, কোন সাহায্য চান না কারো কাছে(যদিও পরে প্রধানমন্ত্রী জোর করে দিয়েছেন)। কারণ, তেনারও নিজের বিনিয়োগ ছিল অন্য খাতে...
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯