somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাত খুনের দায় স্বীকার মেজর আরিফের: নৃশংস নাগরিক হত্যার দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন!!!!!!!!!!!!!!

০৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এতদিন সরকার শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছিল। উল্টো র্যাবকে কেন আদালতের আদেশে গ্রেফতার করা হল- বা আদালত এই আদেশ কিভাবে দিল- আদালতের কাছে প্রমাণ আছে- প্রমাণ দিয়ে সাহায্য করুক- এই জতীয় উষ্মা, কটাক্ষ পূর্ণ কথা জাতি প্রধানমন্ত্রীর মূখ থেকে শুনেছে- কনটেম্পট অব কোর্টকেও তিনি পরোয়া করেন নি। বলেছেন সত্য বললে একটু কঠীনই হয়!!! আমরাও আশ্বস্থ হয়েছি। নিশ্চয়ই কিছূ আছে! নইলে.. জাতি মাথা চুলকায়.....কেম্নে কি?
আজ আরেক প্রস্থ ফাস হল সত্য সেই ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর কিংলি হিস্টিরি!!!!!
চলুন জেনে নিন- সেই ভয়াবহ হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তি মেজর আরিফের কাছ থেকে..
Click This Link
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে জবানবন্দি প্রদানের জন্য নেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে চিন্তা করার জন্য ৩ ঘন্টা সময় দেন। সকাল ১১টা থেকে আরিফ তার জবানবন্দি প্রদান শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় তার জবানবন্দি শেষ হয়। জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে আরিফ হোসেনকে পাঠানো হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে।

আদালত সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ হোসেন জানান, র্যাব-১১ আদমজী ক্যাম্পে যোগদানের পরপর নূর হোসেনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পাশাপাশি নূর হোসেনের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল লে. কর্নেল (অব.) সাঈদ তারেক ও লে. কমান্ডার (অব.) মো. মাসুদ রানার সঙ্গে। পরিচয়ের পর থেকে নূর হোসেনের কাছ থেকে তারা বিভিন্ন সময় আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। এছাড়া র্যাবের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে নূর হোসেনের গভীর সম্পর্ক ছিল। আর নূর হোসেনের প্রতিপক্ষ ছিল কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন। নূর হোসেন তার প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলামকে অপহরণ ও হত্যার একটি পরিকল্পনা র্যাবের কাছে দেয়। এ পরিকল্পনা মতে ২৭ মে নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। অপহরণের আগে সকাল থেকেই র্যাব গাড়ি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম লিঙ্ক রোডে অবস্থান করছিল। অপহরণের দৃশ্য দেখে ফেলার জন্য আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার ব্যক্তিগত চালককে অপহরণ করা হয়েছিল। কিন্তু তখন জানা ছিল না চন্দন সরকার একজন আইনজীবী। সাতজনকে অপহরণ করে দুটি মাইক্রোবাসে তুলে নরসিংদীর দিকে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মাইক্রোবাসের ভেতরই তাদের চেতনা নাশক ওষুধ দিয়ে অচেতন করা হয়। পরে রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে পরিকল্পনা অনুয়ায়ী নিয়ে আসা হয় কাঁচপুর ব্রিজের পশ্চিম পাশে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে নূর হোসেনের বালু-পাথর ব্যবসা স্থলে। তবে সেখানে পৌঁছার আগেই নূর হোসেনকে মোবাইল ফোনে লোকজন সরিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়। পরবর্তীতে নূর হোসেনের ফোন পাওয়ার পরপরই অপহূত সাতজনকে বহনকারী দুটি মাইক্রোবাসসহ র্যাবের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এখানে নেয়ার পর অচেতন সাতজনের মুখমণ্ডল পলিথিন দিয়ে মোড়ানো হয়। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ র্যাবের ইঞ্জিন চালিত নৌকায় তোলা হয়। একই সঙ্গে তোলা হয় লাশ ডুবিয়ে দেয়ার জন্য ইট, বস্তা ও দড়ি। রাত দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে লাশগুলো ইট বেঁধে ডুবিয়ে দেয়া হয় শীতলক্ষ্যায়। লাশ নদীর পানিতে ফেলার আগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রত্যেকটি লাশের পেট ফুটো করে দেয়া হয়। এরপর তারা ক্যাম্পে ফিরে আসেন।

জবানবন্দিতে আরিফ হোসেন আরো জানান, তাদের ধারণা ছিল লাশ কখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফলে এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন ধরনের অভিযোগ তুললেও তা প্রমাণ করতে পারবে না। কিন্তু ঘটনার তিনদিন পর লাশ ভেসে ওঠায় সব কিছু ভেস্তে যায়। অপহরণ থেকে হত্যা পর্যন্ত অংশ নিয়েছিল ১৮ জন। এরা সবাই র্যাব সদস্য।

এইবার ! আরও কি কুছূ বলার আছে আপনার। এটাও নিশ্চয়ই জামাত শিবিরের কারসাজি নয়? যুদ্ধাপরাধ বিচার বানচালের যড়যন্ত্র নয়! অপরাধীদের বাঁচাতে আপনার রেকর্ডকৃত বক্তব্যই কি আরেক অপরাধের প্রমান হয়ে রইল না।
এইবার মাননীয়! সকল বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসাবে- আপনার এলিট বাহিনী হাতে নৃশংস ভাবে ৭ জন নাগরিক খুন হবার দায় নিয়ে দয়াকরে পদত্যাগ করুন।

এই হত্যার নগরী,, এই বিভিষিকার জনপদ অপবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করুন।
প্রশাসনহীনতার, মনুস্যত্ব, মানবতা, রক্ষা করতে না পারলে ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে পড়ুন।

পাপ ছাড়েনা বাপেরেও।
নইলে তাদের পরিকল্পনা কতইনা নিখূত ছিল। ১৮টি করে ইট কমতো ওজন নয়। আবার লাশের পেট কাটা ফুলে ভেসে ওঠারও চান্স নাই।
কিন্তু সর্বশক্তিমান। তিনি তখন নিরবে হাসেন।
তাদের পাপের ঘড়া পূর্ন হয়েছে। তাই সব অসম্ভবকে সম্ভক করে লাশগুলো একের পর এক ভেসে উঠল!!!

আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

আমরা সবাই জানি, ইরানের সাথে ইজরায়েলের সম্পর্ক সাপে নেউলে বললেও কম বলা হবে। ইরান ইজরায়েলকে দুচোখে দেখতে পারেনা, এবং ওর ক্ষমতা থাকলে সে আজই এর অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়।
ইজরায়েল ভাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

নগ্ন রাজা কর্তৃক LGBTQ নামক লজ্জা নিবারনকারী গাছের পাতা আবিষ্কার

লিখেছেন মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪০

LGBTQ কমিউনিটি নিয়ে বা এর নরমালাইজেশনের বিরুদ্ধে শোরগোল যারা তুলছেন, তারা যে হিপোক্রেট নন, তার কি নিশ্চয়তা? কয়েক দশক ধরে গোটা সমাজটাই তো অধঃপতনে। পরিস্থিতি এখন এরকম যে "সর্বাঙ্গে ব্যথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×