‘দেশ স্বাধীন করে পাপ করেছি’- বলেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
খবরটা পড়ুন-
কৃষক শ্রমিক জনতালীগ সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন দেশ স্বাধীন করে পাপ করেছি আর সেই পাপ মোচন করার জন্য এখন দেশের মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
দেশব্যাপি চলমান শান্তির জন্য অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসাবে মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মাকড়াইয়ের কুমারপাড়ায় অবস্থান কর্মসূেিত মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্মুখযুদ্ধে তিনি অবস্থান কর্মসূচি স্থল মাকড়াইয়ে আহত হন। অবস্থান কর্মসূচির ৯৯ দিনের মত বিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন, যে দেশের মানুষ যুদ্ধ করে ভোটাধিকার আদায় করেছে সে দেশের জনগণ আজ ভোটাধিকার বঞ্চিত। বর্তমান সবরকার জনগনের সেই ভোটাধিকার হরণ করেছে। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর আবার সরকার তামাশার সিটি নির্বাচন করল!
হাসিনার কাছে মানুষের ভোটাধিকার বড় নয় তার কাছে ক্ষমতা বড়। তার কাছে দেশের মানুষ সবচেয়ে অপ্রিয়। মানুষের ভোটাধিকার নিহ্নিত করতে না পারলে দেশ এক ভয়াবহ সংকটে পড়বে। তাই শান্তির পক্ষে একত্রিত হওয়ার জন্য দেশের জনগণের প্রতি আহবান জানান। এসময় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী ও আনিসুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ, কেন্দ্রীয় ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক রিফাতুল ইসলাম দীপ, যুব আন্দোলনের আহবায়ক হাবিবুন নবী সোহেল, টাংগাইল জেলার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও ঘাটাইল উপজেলার কৃষক শ্রমিক জনতালীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ==খবরের সূত্র -
http://www.mzamin.com/details.php?mzamin=NzQwMjI=&s=MQ==
এরচে বড় মন্দ নজির আর কি হতে পারে- একজন মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবীর উপাধীধারী- যিনি বঙ্গবন্ধুর সবচে কাছের এবং বিশ্বস্ত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধের ময়দানে শত্রুদের ত্রাস ছিলেন! সেই বীর ফুটপাতে মাসের পর মাস পড়ে রইলেন রাষ্ট্রযন্ত্র ফিরেও দেখল না!
মিনিমাম সম্মানটুকু- তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টুকুকেও সম্মান জানাতে তাঁর সাথে আেলাচনায় অন্তত বসা যেত!
না ! রাষ্ট্রযন্ত্র তাতেও অহম বোধ করল! মন্দ নজির স্থাপন করল উপেক্ষা করে। ক্ষমতার দম্ভে উপেক্ষা আর জুলুম করে কিছুদিন হয়তো টিকে থাকা যায়- সবসময় নয়!
স্বাধিনতার যারা রুপকার তারাই যদি আজ উপেক্ষিত হয়! অসম্মানীত হয়! মিনিমাম সৌজন্যতা টুকু লাভ না করে- তবে আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবীদারদের দাবীর যৌক্তিকতা কোথায় থাকে? তা কেবলই ক্ষমতা আর স্বার্থের বচনে পরিণত হয়।
আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বঙ্গবীরকে মিতিঝিলে বসতেই হতোনা। যদিবা বসতেন- মনে হয়না ১ ঘন্টা পার হতো- বঙ্গবন্ধু নিজেই ছুটে আসতেন- পাগল বলে বুকে জড়িয়ে ধরে গণভবনে নিয়ে যেতেন।
কিন্তু দেশ আজ এমনই ক্রান্তিকালে- যেই অধিকারের জণ্য মুক্তিযুদ্ধ, মৌলিক নাগরিক অধিকারের অন্যতম ভোটাধিকার আজ বারবার ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে! এমন দলের হাত দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধকেই উপজীব্য করে আজকের এতদূর আসা!
এরচে বড় প্রহসন আর কি হতে পারে?
আমরা চাই সকল অন্ধকার দূর হোক। সকল নাগরিক তার অন্যতম মৌলিক অধিকার ভোটাধিকার ফেরত পাক! স্বাধীনতার মূলমন্ত্র যেন স্বাধীনতার সশয় অগ্রনী ভূমিকা পালনকারী দলের হাতেই কলংকিত না হয়। সারা বিশ্বে দেশকে আর প্রহসনের পাত্র না করে- একটি সঠিক গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে বিশ্ব দরবারে হারােনা সম্মান ফিরিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট সকলেই একমত হবেন।
মানুষ ফিরে পাক ভোটাধীকার।
ফিরে আসুক সত্যিকার গণতন্ত্রের চর্চা।
স্বাধীনতার মৌলিক চেতনা ভুলিন্ঠিত না হোক।