somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জন্মান্তরবাদ : কেবলই বিশ্বাস? মিথ? বিজ্ঞান সম্মত? মিথ্যা নাকি সত্য!! ৪

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জন্মান্তরবাদ : কেবলই বিশ্বাস? মিথ? বিজ্ঞান সম্মত? মিথ্যা নাকি সত্য!! -১
জন্মান্তরবাদ : কেবলই বিশ্বাস? মিথ? বিজ্ঞান সম্মত? মিথ্যা নাকি সত্য!! -২
জন্মান্তরবাদ : কেবলই বিশ্বাস? মিথ? বিজ্ঞান সম্মত? মিথ্যা নাকি সত্য!! -৩
৪র্থ পর্ব :

বৌদ্ধ ধর্মে নির্বাণ
বৌদ্ধ ধর্ম হচ্ছে সাধনের উপর নির্ভর করে বাসনা থেকে মুক্তির একটা ধর্ম। সকল ধর্মের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পুনুরুত্থান, জন্মান্তরবাদ এবং নির্বাণ সম্পর্কে লিখার প্রথমেই বৌদ্ধ ধর্মে নির্বাণ সম্পর্কে লিখব।
মহামতি বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভ করার পরই বললেন --"হে গৃহকারক আমি তোমাকে জন্ম জন্মান্তর ধরে খুঁজছি কিন্তু তোমার সন্ধান পাইনি। আজ তোমার সন্ধান পেয়েছি। আমি তোমাকে ধ্বংস করেছি। আর তুমি দেহরুপ গৃহকে ধারণ করে আমাকে কষ্ট দিতে পারবেনা। "
বুদ্ধ সেদিন তৃষ্ণার নির্বাণ ঘটিয়েছিলেন। তাই তিনি আর জন্মগ্রহণ করবেন না বলেছিলেন।কর্ম বিমুক্তি হলে তৃষ্ণা বিমুক্তি হয় এবং জন্মনিরোধ হয়। জন্মনিরোধ হলে একত্রিশ লোকভূমির কোন ভূমিতে জন্মগ্রহণ করেনা। জন্ম-মৃত্যু স্বাধীন হয়। দেহান্তর জ্বালা শেষ হয়। এটাই হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মের মূল কথা। তাই বলা হয়-নিব্বানং পরম সুখ।
প্রশ্ন হল একত্রিশ লোকভূমি কি :--
এক জন্মচক্রাবলে একত্রিশ লোকভূমি থাকে। লোক বলতে জগৎ বা স্থান (realm)।একত্রিশ লোকভূমিতে চার অপায়, একটি মনুষ্যলোক, ছয়টি স্বর্গলোক,ও বিশটি ব্রহ্মলোক।
চার অপায় হচ্ছে --তীর্যক,অসুর, প্রেত ও নরক।
তীর্যকলোক :--তীর্যক লোক বলতে মানুষব্যাতীত অন্যপ্রাণী বর্তমান আছে। বাকী তিন অপায়েই মানুষ আছে। এ তীর্যক লোকের আয়ু অনন্ত, অন্যান্য লোকের আয়ু নির্দিষ্ট। এখানে এক প্রাণী আরেক প্রাণীকে বধ করে বিধায় তীর্যক বৃদ্ধিপায়।
গৌতম বুদ্ধের একটি উদাহরণ দিয়ে শেষ করছি --একটি কচ্ছপ সমুদ্রের নীচ থেকে একশ বছর পর পর সমুদ্রের নীচ থেকে উপরে উঠে একটি যোয়াল দেখতে পেলে যোয়ালের ছিদ্র দিয়ে মাথা ঢোকাতে চেষ্টা করে ঐ যোয়ালের ছিদ্র দিয়ে মাথা ঢোকাতে পারলেই সে কচ্ছপ কুল থেকে মুক্তি পেয়ে অন্য কুলে যেতে পারবে তবে আশা ক্ষীণ। যারা সবসময় রাগ দেখায় ওরা সাপ কুল থেকে জন্মগ্রহণকারী। সকল মানুষ সর্বদা অলসভাবে ঘুমিয়ে কাটায় তারা সরিসৃপ জাতি প্রাণী থেকে মুক্তি পেয়ে মনুষ্যলোকে জন্মগ্রহণ করেছে। এ রকম অসংখ্য উদাহরণ দেয়া যাবে। আর কোন আত্মা যখন মানুষ রুপে আসে যে কুল থেকে আসে সে কুলের স্বভাব কিছুটা হলেও দেখা যায়।
কয়েকটি তীর্যক প্রাণী :-বানর, বাঘ, ভাল্লুক, সিংহ, হায়না , মাছ ,কুমীর ইত্যাদি। তবে তীর্যক লোক এতটুকুই জানা যথেষ্ট।
২) অসুর লোক:-যারা পৃথিবীতে সব সময় মারামারি-কাটাকাটি, সন্ত্রাস এবং শক্তি প্রয়োগ করে বেড়ায় তারা অসুর লোক উৎপন্ন করে বা জন্মনেয় সেথা। এখানে একে অপরের আঘাত দ্বারা অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করে। হাত-পা, মাথা কাটা যাওয়ার পর আবার জোড়া লাগে সেখানে। নির্দিষ্ট সময় না হওয়া পর্যন্ত মরেনা। নির্দিষ্ট সময় হলে পরে অসুরলোক চ্যুত হয়ে নানা যোনী বা লোকে উৎপন্ন হয়। এরাই দুনিয়ায় সন্ত্রাসী ও ঝগড়াটে লোক।
৩) প্রেত লোক :-প্রেতরা সর্বদা ক্ষুধার জ্বালায় জ্বলতে থাকে। পোশাক পরিচ্ছদ নোংরা থাকে নর্দমায় এরা পরে থাকে। ইহ জীবনে যারা খাই খাই স্বভাবের, কৃপন, খাবারের প্রতি লোভ, হিংসা, ধর্মীয় এবং শিক্ষাখাতের টাকা আত্মসাৎ করে, দানীয় বস্তু ভোগ করে এরাই প্রেত লোকে উৎপন্ন হয়। যারা মৃত্যুর সময় চর্মসার, কঙ্কাল, ও ক্ষুধার্ত প্রাণীর দৃশ্য বা তালোয়ার দেখে তারা ২২টি প্রেতলোকে কর্ম অনুযায়ী উৎপন্ন হয়।
৪) নরক :- নরক দু:খ যন্ত্রণাদায়ক ও কষ্টকর। আটটি মহানরক আছে। লেখার কলবর বড় হওয়াতে সংক্ষেপে লেখা । প্রত্যেক মহানরকের চারটা কোণ ও দরজা রয়েছে। লোহা দ্বারা নির্মিত। দাউ দাউ করে জ্বলছে। নরকে কোন কোন নারকীদের দেহ ৩ মাইল ৩২০ গজের কম বেশীও আছে।
যারা ব্যাভিচারী, প্রতারক ও কর্কশভাষী, ঘুষ খোর, শিকারী, জীবিত প্রাণী দগ্ধ করে, নেশা করে, অপরকে কষ্ট দেয়, ওজনে কম দেয়, চুরি করে, মিথ্যাবাদী, পুর্ণজন্মে বিশ্বাস করেনা, অন্যের জমি ভোগ করে তারাই নরকবাসী।
৫) ব্রহ্মলোক :-ব্রহ্মলোক ২০ টি। স্বর্গলোকের উপর ব্রহ্মলোক অবস্থিত।যারা ধ্যানী তারা এ লোকে উৎপন্ন হন। এখানে অধ্যানী উৎপন্ন হয়না। কারন ব্রহ্মলোক কাম লোক নয়। কামলোক হচ্ছে স্বর্গ হতে নীচের ভূমিগুলো। ধ্যানের কতগুলো ধাপ আছে বিতর্ক, বিচার, প্রীতি, সুখ ও একাগ্রতা। ধ্যানীরা এই চারটি ধাপ এবং বিদর্শণ ধ্যানের মাধ্যমে যারা অনুগামী ফল লাভ করেন তারা ব্রহ্মলোকে জন্মগ্রহণ করেন। কেউ ৫ বার কেউ ৭ বার।
৬) স্বর্গলোক :-স্বর্গলোক মোট ৬টি। কোনটার আয়ুস্কাল ১২১ কোটি ৬০ লক্ষ বছর, কোনটা ২৩০ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আবার কোনটা ৫৭ কোটি ৬০ লক্ষ বছর। এ লোকে কর্ম অনুযায়ী আয়ুস্কাল প্রাপ্ত হয়। বোধি সত্ত্বা গন, তাদের পিতামাতা, মহাপূণ্যবানব্যাক্তি এ স্বর্গে উৎপন্ন হন। দেবতারাই এখানে অবস্থান করেন তবে তারা এখান থেকে সর্বলোকে স্বেচ্ছায় ভ্রমণ এবং জন্মগ্রহণ করেন।
৭) মনুষ্যলোক :--এটা বলার কিছুই নেই এখানে সবাই বর্তমান। যারা পূণ্যবান সত্ত্বা তারা এ ভূমিতে জন্মগ্রহণ করেন। সুদীর্ঘ সময় ধরে চারি অপায়ে পাপ ভোগের পরও এ ভূমিতে জন্মগ্রহণ করে।স্বর্গলোক আর ব্রহ্মলোকের আয়ু শেষ হলেও সত্ত্বগণ এ লোকে জন্মগ্রহণ করে।
নির্বাণ লাভের উপায়:-
দু:খ নিবৃত্তি তথা জন্ম নিরোধে বৌদ্ধ ধর্মে প্রধান কাজ হচ্ছে প্রতিটি মানুষের শীলময় জীবন গঠন করা। শীল অর্থ চরিত্র। এটাই বৌদ্ধ ধর্মের মূল স্তম্ভ। কয়েক প্রকারের শীলের মধ্যে প্রধান হচ্ছে ---(১) পঞ্চশীল, (২)অষ্টাশীল (৩)দশশীল (৪)২২৭ শীল (৫)৫১০ শীল। এর মধ্যে পঞ্চশীল আর অষ্টাশীল হল গৃহবাসীদের জন্য।
পঞ্চশীল :-১)প্রানী হত্যা থেকে বিরত থাকা ২)চুরি করা থেকে বিরত থাকা ৩)ব্যাভিচার থেকে বিরত থাকা ৪)মিথ্যা কথা বলা থেকে বিরত থাকা ৫)নেশা থেকে বিরত থাকা।
অষ্টাশীল :--১) প্রানী হত্যা থেকে বিরত থাকা ২)পরদ্রব্য হরণ থেকে বিরত থাকা ৩)ব্রহ্মাচার্য পালন করা ৪) মিথ্যা কথা বলা থেকে বিরত থাকা ৫)নেশা থেকে বিরত থাকা। ৬)বিকাল ভোজন (দিনের ১২টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত) হতে বিরত থাকা ৭) নাচ-গান বাদ্য দর্শণ ও শ্রবন সুগন্ধি বিলেপন হতে বিরত থাকা। ৮) উচ্চ শয়ন ও মহাশয়ন হতে বিরত থাকা।
আশাকরি বৌদ্ধ ধর্মের নির্বাণ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি।

জন্মদিনে মৃত্যুর কথা স্বরন করাই প্রতিটি মানু্ষের মুখ্য কর্ম। জন্ম নিয়ে অমর হওয়ার কর্ম করার জন্যই মানুষের জন্ম। আর অমর হওয়ার কর্মের দ্বারা জন্ম মৃত্যুকে বারণ করে 'নির্বাণ' লাভই হল প্রকৃত মানুষের উদ্দেশ্য। কত শত লক্ষ যোনী ভ্রমনের পর আমরা এই মানব জনম পেয়েছি, তার হিসাব আমাদের কাছে নেই। তাই এই জন্মকেই শেষ জন্ম-মৃত্যু করার লক্ষে আমাদের কর্ম করতে হবে।
জন্ম সেই নেয়, যার পূর্ব জন্মের বাসনা ফুরায় না। মূলত বাসনা থাকতে জীবের আসা-যাওয়া বারণ হবে না। তাই নির্বাণ লাভের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয়টি হল বাসনা পরিত্যাগ করা। পাপ এবং পূন্য কর্মের ফলাফল ভোগ করার জন্যই মানুষের বারবার জন্মগ্রহন করতে হয় (জনম নিলে তার মৃত্যু অনিবার্য)।যাকে জন্মান্তর্বাদ বলা হয়।
বাসনা পূরন করার জন্য আমাকে বারবার নয় বাতন ঘুরে এই পৃথিবীতে আসতে হয়েছে দীর্ঘ্য ৯ মাস ১০ দিন মাতৃগর্ভ নামক কবর বা গুর আযাব ভোগ করে। যাকে যঠরের যন্ত্রনা বলা হয় সনাতন বা হিন্দু ধর্মে। প্রতিটি মানুষকেই গুর আযাব ভোগ করতে হয়, হোক সে ওলী আওলিয়া বা নবী রাসূল বা কোনো অবতার। গুর আযাব (যঠরের যন্ত্রনা) কারো জন্য মাফ নাই।

মানুষের কর্ম ৪ প্রকার (পাঁচ প্রকার)। যথাঃ সঞ্চিত, প্রারদ্ধ, নিত্য, আগামী, (পতিসিদ্ধ)।

#‎সঞ্চিত‬ কর্মঃ পূর্ব জন্মের কর্ম।

#‎প্রারদ্ধঃ‬ পূর্বের কর্ম এই জন্মে প্রারদ্ধ হয়ে আমাদের সাথে এসেছে। যে কর্মের ফল আমরা ভোগ করছি।

#‎নিত্য‬ কর্মঃ যে কর্ম আগামী জন্মের জন্য আমরা এখন যা যাযা করছি।

#‎আগামী‬ কর্মঃ নিত্য কর্মই আগামী জন্মে প্রারদ্ধ হয়ে আবার আমাদের সাথে যাবে, সেটাই আগামী কর্ম।

(পতিসিদ্ধঃ অতি উর্দ্ধ স্তরের কামালিয়াতের পরের বিষয়। আপাতত না জানলেও চলবে)
তাই আমাদের সবার উচিত সঞ্চিত কর্ম প্রারদ্ধ হয়ে আমাদের যে দুঃখ যাতনা দিচ্ছে, তা যেন আগামী জন্মে আর না ঘটে সেই জন্য নিত্য কর্মকে ভাল করতে হবে, যেন আগামী টা সুন্দর হয়।

১.সঞ্চিত কর্মঃ পূর্বের জন্মে মানুষ যে কর্ম করে তাকেই সঞ্চিত কর্ম বলে। অর্থাৎ বর্তমান জন্মে মানুষ সঞ্চিত কর্মেরই ফল ভোগ করে। সঞ্চিত কর্মের উপরই নির্ভর করে মানুষ কেমন স্তরে জন্মগ্রহন করবে। যদি ভাল কর্ম করে তবে ভাল স্তরে, আর যদি খারাপ কর্ম করে তবে খারাপ স্তরে জন্মগ্রহন করবে। পূর্বে জন্মে যে অনেক দান করবে সে ধনী পিতা-মাতার ঘরে জন্ম নিবে হবে, যে কৃপণতা করবে সে দরিদ্র্যক পিতা-মাতার ঘরে জন্ম গ্রহন করবে। এখানে স্তর রয়েছে, কেউ রাজার ঘরে, কেউ জমিদারের ঘরে, কেউ উচ্চবিত্তের ঘরে, আবার কেউ একদম মিসকীন বা হত দরিদ্রের ঘরে, কেউ বা সামান্য দরিদ্র্যে র ঘরে, কেউ ভিক্ষারীর ঘরে কেউ বা মধ্যবিত্তের ঘরে জন্মগ্রহন করে। কেউ বা আবার মানব কূল হারিয়ে পশু কূলে জন্মগ্রহন ককরে, যাকে বলা হয় ৮৪ এর ফের।তাই প্রতিটি মানুষই জন্ম থেকেই পাপী, যে ব্যাপারে বাইবেলের উক্তটি তুলে ধরেছিলাম উপরে।

২.প্রারদ্ধ কর্মঃ সঞ্চিত কর্মকেই প্রারদ্ধ কর্ম বলা হয় বর্তমান জন্মে। অর্থাৎ আমরা যে কর্মেরফল ভোগ করে তাকেই প্রারদ্ধ কর্ম বলে। অর্থাৎ সঞ্চিত কর্মই বর্তমান জন্মে প্রারদ্ধ নাম ধারন করে। প্রারব্ধের ভোগ ভুগতে হবেই সে যত বড় মহামানব হোক। কর্ম কখনো পিছু ছাড়বে না। কুরআনের ভাষায় 'যা করবা তার বদলা পাইবা, এক সরিষার দানা পরিমান ছাড় দেওয়া হবে না"।

৩.নিত্য কর্মঃ আমরা বর্তমান জন্মে যেসব কাজ করতেছি সেটাই নিত্য কর্ম। আগামী জন্মে এই কর্মের নাম হয়ে যাবে সঞ্চিত কর্ম ও প্রারদ্ধ কর্ম।

৪.আগামী কর্মঃ নিত্য কর্ম যে আমাদের সাথী হবে, যা আগামী জন্মে আমাদের ভোগ করতে হবে, তার নামই আগামী কর্ম। অর্থাৎ আমরা যা করছি বর্তমান জন্মে, তার মধ্যে যা গত হয়ে যাচ্ছে দিন দিন, সেটাকেই এই জন্মে আগামী কর্ম বলা হয়। এই আগামী কর্মই আগামী জন্মে সঞ্চিত কর্ম নাম ধারন করবে।

৫.প্রতিষিদ্ধ কর্মঃ অতি উর্দ্ধ স্তরের কামালিয়াতের পরের বিষয়। একটু জটিল। সাধরনত এটা আলোচনায় আসে না। আলোচনা করে স্তরে গেলেই তা পরিস্কার হয়ে যাবে।

সুতরাং আমাদের সঞ্চিত কর্ম যা কিনা প্রারদ্ধ হয়ে এসেছে আমাদের সাথে, তা আমাদের ভোগ করতেই হবে। তাই আমাদের উচিত নিত্য কর্মটাকে সুন্দর করা।

জন্মান্তরবাদ এর অন্যতম প্রধান একটি বিষয় হলো 'চৌরাশির (৮৪) ফের"। ৮৪ এর ফের অর্থাৎ হলো ৮৪ লক্ষ জনম পশু কূলে আসা-যাওয়া করা বিনা হিসেবে। মূলত এই পশুকূলটাই জাহান্নাম বা দোযখ। এখানে অনন্তকাল থাকতে হবে পাপীদের। পরিশেষে তাদের আবারও মানব কূলে আসার সুযোগ দেওয়া হবে পরিশুদ্ধ হওয়ার জন্য। তবে এই ৮৪ লক্ষ জনমে কোন কূলে কতবার আসতে হবে এটা আমরা কেউ জানি না। হতে পারে মানুষের পাপের উপর নির্ভর করবে এটা। মূলত পাপের ওপরই নির্ভর করবে, তবুও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থের পুরাণে এটার একটা সংখ্যাতত্ত্ব প্রকাশ পেয়েছে। নিচে আমি হবুহু পুরাণের শ্লোকটি বাংলায় উল্লেখ করতেছি।
"২০ লক্ষ জনম স্থাবর অর্থাৎ কীট-পতঙ্গ ইত্যাদি,
৯ লক্ষ জনম জলজ অর্থাৎ যেসব প্রাণী পানিতে বাস করে (যেমনঃ মাছ, কাকড়া),
৯ লক্ষ জনম কচ্ছপ কূলে, ১০ লক্ষ জনম পক্ষী (পাখি) কূলে (যেমনঃ কাক, ময়না, টিয়া), ৩০ লক্ষ জনম পশু কূলে এবং
৪ লক্ষ জনম বানর থাকার পর মানব জনম প্রাপ্ত হয় এবং কাজ করতে থাকে। এসব যোনী (জনম) ভ্রমন করার পর জীব দ্বীজত্ব অর্জন করে। সবশেষে সব জনম পরিত্যাগপূর্বক ব্রহ্মযোনি প্রাপ্ত হয়।" (বৃহৎ বিষ্ণুপুরাণ)।
তবে হিসেবে এখানে ৮২ লক্ষ জনম দেখা যায়। বাকী ২ লক্ষ জনম নিয়ে কারো কারো ধারনা সেটা মানব কূল। অর্থাৎ একজন মানুষের ভাল বা মন্দ কাজ সমান থাকলে সে ২ লক্ষ জনম ভজন সাধন বা ইবাদতের সুযোগ পাবে। তবে ৪ লক্ষ জনমের কথাই বলা হয় এব্যপারে।
তবে ভিন্ন মতে... ৩০ লক্ষ বার বৃক্ষ যোনি, ৯ লক্ষ বার জলচর রূপে (হাত নেই পা নেই শুধু দেহ আর মাথা), ক্রিমি যোনিতে ১০ লক্ষবার, ১১ লক্ষবার পাখি কূলে, ২০ লক্ষ যোনী পশু কূলে, তারপর মানব কূলেতে ৪ লক্ষবার। মোট কথা ৮৪ লক্ষ জনম আসা-যাওয়া করতে হবে অনন্ত কাল ধরে। যেটাকে বলা হয়েছে অনন্তকালের জাহান্নাম। মূলত কিছুই অনন্তকালের জন্য নয়। কারন চোরের দায়ে বা একজনমের পাপের দায়ে আল্লাহ কখনোই কাউকে অনন্তকাল শাস্তি দিবেন না। একজন বিচক্ষন বিচারকও কাউকে একটা ভুলের শাস্তি পরিমানের চেয়ে বেশি দেন না, সেখানে মহান আল্লাহ তায়ালা কি করে একজনমের পাপের জন্য তাঁর প্রিয় সৃষ্টি মানুষকে অনন্তকালের জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবেন! যিনি কিনা অসীম করুনাময় ও দয়ালু, যার দয়া ও ভালবাসার কাছে সকলের ভালবাসা ও দয়া তুচ্ছ। সুতরাং অনন্তকাল দ্বারা দীর্ঘ একটা সময়কে বুঝানো হয়েছে।
যতটুকু আমার জ্ঞানে বুঝি, তা হলো... মানুষ যতটুকু পাপ করবে সে ততটুকুই শাস্তি পাবে। শাস্তিকে কোনো কম করা হবে না বা বেশিও করা হবে না। যেমন কুরআনে আল্লাহ বলেছেন "যে ব্যক্তি বিন্দু পরিমান ভাল কাজ করবে তাকে তার প্রতিদান দেওয়া হবে এবং যে ব্যক্তি বিন্দু পরিমান খারাপ কাজ করবে তাকেও তার প্রতিদান দেওয়া হবে।" অন্য এক আয়াতে আল্লাহ বলেন "সেদিন কমও করা হবে না আবার বেশিও করা হবে না"। অর্থাৎ কেউ যদি সরিষার বীজ পরিমান ভাল কিংবা মন্দ কর্ম করে, তবে আল্লাহ তার সেই কাজের প্রতিদান অবশ্যই দিবেন।


পোস্ট শেষ করার আগে সংক্ষেপে কিছু বিষয় :
*আত্মা অবিনশ্বর। আত্মার ধ্বংস বা ক্ষয় নেই, তেমনি বৃদ্ধিও নেই।
*দেহের নয়, বরং আত্মারই বিচার হবে। তাই ভাল-মন্দের কর্ম্ফল আত্মাই ভোগ করবে।
*আত্মার আহার-নিদ্রা বা বিশ্রাম নেই।
*আত্মা যতক্ষন দেহে থাকে, ততক্ষন আত্মার জন্য দিন এবং এক দেহ থেকে অন্য দেহ ধারন করার পূর্ব মূহূর্ত পর্যন্ত সময় আত্মার জন্য রাত।
*দিন যতটুকু রাতও ততুটুকু। অর্থাৎ দেহে আত্মার যত সময় অবস্থান, তেমনি আবার নতুন দেহ ধারন করতেও ততটুকুই সময় লাগবে (ব্যতিক্রমও হয়)।
*মানুষ যেন ঘুমের ঘোরের স্বপ্নের কথা ভুলে যায়, তেমনি আত্মাও নতুন দেহ ধারন করার পর প্রায় সবই ভুলে যায়।
*যারা পূর্ব জন্মের কথা মনে রাখতে পারে তাদের জাতিস্বর বলা হয়।
*আত্মা নারী কিংবা পুরুষ নয়। তাই কর্মও নির্নয় করবে কে কোন লিঙ্গ নিয়ে জন্মগ্রহন করবে।
আর একটা কথা হচ্ছে আত্মা আমি নই, বরং আত্মাটা আমার। আত্মা জাতি অংশ। মৃত্যুর সময় দেহের পঞ্চভুত প্রকৃতির পঞ্চভুতের সাথে মিশে যাবে। মাটি মাটির সাথে, পানি পানির সাথে, বাতাস বাতাসের সাথে আর আগুন আগুনের সাথেই মিশে যাবে। সঙ্গে যাবে শুধু সেফাত। সেফাত ৭ টি। তার মধ্যে হাইয়ুন সেফাতের মাঝেই ছয় সেফাত গুপ্ত হবে। মূলত বিচার হবে হাইয়ুন সিফাতের। এই হাইয়ুন সিফাতই 'আমি'। আত্মা আমি নই, বরং আত্মা আমার। মানবের দেহে পাঁচ আত্মা আছে। পরমাত্মা, জীবাত্মা, ধাতু আত্মা, উদ্ভিদ আত্মা, পশু আত্মা। যখন যেই আত্মার প্রভাব বিস্তার করে তখন মানুষ সেরূপ আচরন করে। তাই পশুর মত আচরনও মানুষের মাঝে দেখা যায়।
সবাই ভাবে আত্মাই 'আমি'। আত্মা 'আমি' নই, বরং আত্মা আমার।
আমরা আর ৮৪ লক্ষ যোনি ভ্রমন
করতে চাইনা।
জলজ জীব — ৯ লক্ষ বার ,
গাছপালা — ২০ লক্ষ বার ,
কীটপতঙ্গ — ১১ লক্ষ বার ,
পাখি — ১০ লক্ষ বার ,
পশু — ৩০ লক্ষ বার ,
মানুষ — ৪ লক্ষ বার ।
সবসময় মনে রাখতে হবে –স্রষ্টা আমাদের এই
সংসার রুপী যাত্রায় ” রিটার্ন রিজার্বেশন ” করেই পাঠিয়েছেন ।
তাই নিজেদের ” যাত্রা ” ভক্তি ও আনন্দপূর্বক
সম্পন্ন করাই শ্রেয়।

৮৪ লক্ষ যোনি ভ্রমন করে আমাদের এই মনুষ্য জন্ম পাওয়া। আর মানুষ হয়ে জন্মগ্রহন করলেই কি তাকে মানুষ বলা যায়!!! মানুষ যা যা করছে তা প্রত্যক্ষ এবংপরোক্ষ ভাবে
পশুরাও করছে। তাইলে কী আমরা পশুর সমান???? নাকি তার চেয়েও নিকৃষ্ট??? স্বয়ং বিচার করে দেখুন....
আসলে মানুষ হয়ে জন্মগ্রহন করলে তার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ৩টি প্রশ্নের খোঁজ করা।
১. আমি কে?
২. আমি কোথাঁ থেকে এসেছিঁ?
৩. মৃত্যুর পর আমি কোথায় যাব ?

ইসলামী চিন্তার জগতে আল গাজ্জালী হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও মৌলিক চিন্তাবিদ। তিনি ছিলেন ইসলামী মতবাদের একজন বড় সংস্কারক ও দার্শনিক মতবাদের একজন সমালোচক। ধর্ম, দর্শন ও সুফীবাদে তার মৌলিক অবদানের জন্য তিনি একজন শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিধর্মী চিন্তাবিদ বলে মুসলিম দর্শনে স্বীকৃত ও প্রসংশিত। তার চিন্তাধারা মুসলিম ধর্মতত্ত্বের উচ্চতম বিবর্তন বলে বিবেচিত। ধর্ম, দর্শন ও সুফীবাদে তার মৌলিক অবদানের জন্য অনেক পন্ডিত হজরত মুহম্মদ (সঃ) এর পরে তাকে সর্বশ্রেষ্ট চিন্তাবিদ ও ধর্মীয় সংস্কারক বলে মনে করে থাকেন।
আল গাজ্জালী অধিবিদ্য, যুক্তিবিদ্যা, নীতিবিদ্য, ধর্মতত্ত্ব, সুফীবাদ প্রভৃতি বিষয়ে চারশোর অধিক মুল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো- তাহাফাতুল ফালাসিফা, এহইয়াউল উলুমুদ্দিন, মাকসিদ উল ফালাসিফা। তবে তার গ্রন্থগুলোর মধ্যে এহইয়াউল উলুমুদ্দিন সর্বশ্রেষ্ট। অনেক পন্ডিতের মতে যদি সকল মুসলিম চিন্তাধারা বিলুপ্ত হয় এবং উক্ত গ্রন্থ সংরক্ষিত থাকে তবে ইসলামের পক্ষে সে ক্ষতি সামান্য মাত্র। সুফীরা এ গ্রন্থকে কোরআনের পরে অন্যতম দ্বিতীয় গ্রন্থের মর্যদা দান করেন।
আল গাজ্জালী জ্ঞান বিষয়ক আলোচনায় মুল্যবান অবদান রেখে গেছেন। তিনি সন্দেহাতীত ভাবে বিশ্বাস করেন যে, ইন্দ্রিয়ানুভূতি ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে পরম সত্যের জ্ঞান লাভ করা সম্ভব নয়। কারণ ইন্দ্রিয়ানুভূতি ও প্রজ্ঞার জ্ঞান প্রতারণামূলক হতে পারে। এগুলো ছাড়াও মানুষের একটা শক্তি আছে যাকে বলা হয় স্বজ্ঞা। তার মতে মানুষের হৃদয়ে এমন একটি শক্তি আছে যার মাধ্যমে সে সত্যের জ্ঞান লাভে সমর্থ হয়। তিনি দ্বার্থহীন কন্ঠে ঘোষণা করেন যে, এমাত্র স্বজ্ঞা মাধ্যমেই পরম সত্ত্বার জ্ঞান লাভ সম্ভব। কাজেই স্বজ্ঞাই হলো জ্ঞান লাভের প্রকৃত উৎস ও পথ।
কার্যকারণ তত্ত্বে বর্ণনা ও ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে গাজ্জালী ছিলেন তার সময়ের তুলনায় অনেক বেশী অগ্রগামী। অভিজ্ঞতাবাদী ডেভিড হিউম-এর ন্যায় অনুরূপ মত পোষণ করেন প্রায় সাত শত বছর পূর্বে। এ ব্যাপারে গাজ্জালী বলেন যে, কার্যকারণের মধ্যে কোন অনিবার্য সম্পর্ক নেই। কার্যকারণ সম্পর্ক হলো ঘটনার পূর্বাপর সম্পর্ক মাত্র। গাজ্জালী এ বিষয়ে বলেন যে, কোন প্রাকৃতিক বস্তু বা ঘটনা অন্য কোন বস্তু বা ঘটনার কারণ হতে পারে না। তিনি যে কোন একটি কার্যের কারণ হিসাবে একটি আদি কারণকে বিশ্বাস করতেন। এই আদি কারণ হল খোদা স্বয়ং।
আত্মা সম্পর্কে আল গাজ্জালীর আলোচনা লক্ষণীয়। আত্মা সম্পর্কে অনেক দার্শনিক কেবল আত্মাকে অমর বলেছেন। কিন্তু গাজ্জালী আত্মা ও দেহ-উভয়কে অমর বলেছেন। জন্মের সময় খোদা আদি আত্মার সাথে দেহের পূনঃ মিলন ঘটিয়ে মানুষকে সৃষ্টি করতে পারেন। তার মতে আত্মা হলো আধ্যাতিক দ্রব্য। আত্মার ব্যাস বা বিস্তৃতি নেই।
ধর্মতত্ত্বে আল গাজ্জালীর অবদান সুদূরপ্রসারী। তিনি চরমপন্থী মুতাজিলা ও দার্শনিকদের তথা গ্রীক দর্শনের অশুভ প্রভাব থেকে ইসলামকে রক্ষা করেন। তিনি ধর্ম ও দর্শনের মধ্যে পার্থক্য দেখান এবং ধর্মকে দর্শনের উপর প্রাধান্য দেন। তিনি আশারিয়া মতবাদের সংস্কার সাধন করেন এবং মুসলমানদের কোরআন ও হাদীছের দিকে ফিরিয়ে আনেন এবং কোরআন ও হাদীছের মাহাত্ম পূনঃ প্রতিষ্ঠা করেন।
আল গাজ্জালীর প্রচেষ্টায় সুফীতত্ত্ব মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে তা অর্জন করা সম্ভব। তিনি শরীয়তের সাথে মারেফতের সংযোগ সাধন করেন এবং যথার্থ জীবন ধারার রূপায়ন করেছেন। ডি বোয়ার-এর মতে আল গাজ্জালীর প্রভাবে সুফীবাদ ইসলামের জ্ঞানভান্ডারে মূল্যবান অবদান রাখতে সমর্থ হন।


সংকলন তথ্য সূত্র: অন্তর্জাল
সকল সাইট, সকল লেখক এবং সকল গবেষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে তথ্য সংগ্রহের ফলে সকল লিংক দিতে না পারায় দু:খিত।
কিছু পুরানো বই এবং যারা এ যাবত কাল এই জ্ঞান এবং ভাবনাকে চলমান রেখেছেন সকলের প্রতি শ্রদ্ধা !
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭
২৭টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×