শেকড় থেকে ফুল-ফল-বীজ
আরোহ অবরোহের নিত্য চক্র
ছুটছি সবাই জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে
মনি থেকে ধুলো-ছাই-জল..ব্যাকুল ছুটে চলা।
হাইওয়েতে জীবনের দার্শনিক অনুভব
সাঁঝ বেলায় হঠাৎ কাল বৈশাখী
দিগন্ত ছোঁয়া শূণ্যতায়
ভয় ঝেঁকে বসে আরোহী অনুভবে অসহায়ত্ব
উচ্চস্বরে, মনে মনে আজান, দোয়া, দরুদ।
একটু আগের চটুল হিন্দী গানের দোল
সম্পত্তি, ক্ষমতা, দেশ-জাতি, যাবতীয় অসংগতি-
অহম আর আমিত্বের ঝাঁজালো খই
সব পলকে মিইয়ে যায়!
বাঁচার আকুলতা বজ্র ঝলকের তীব্রতায়
খাঁমচে ধরে কলজেয়। দমকা হাওয়ার তোড়
উড়িয়ে নিতে চায় সব-যেতে চায় কে?
মুচকি হাসিতে বাইরে অন্ধকারে দৃষ্টি মেলে দেই!
প্রকৃতির ব্যকুলতা ছুঁয়ে যায় গহনে
জানালার কাঁচে জলের দূরন্ত ব্যাকুল গতি-
সাগরে ফেরার আকুলতায়। জলের মেঘ,
বৃষ্টির জল হয়ে ছুটছে আবার শেকড়ে ফিরবে বলে !
জল, মেঘ, বৃষ্টির মিলন সূখে
বজ্র নির্ঘোষে উচ্ছাসে চমকায় বিজলী
সেই পরম ঘোষনায়- দাখিলার প্রথম বাক্য
প্রকাশ্য ব্যাতিত কোন অপ্রকাশ্য নেই-
মুচকি হাসি বিস্তৃত হয়।
লজ্জ্বাবতী কিশোরীর মতো জল হটাৎই
ঘোমটা টেনে থেমে যায়! নিজেকেই ধিক্কারী
যাহ! আরেকটু বয়ে যেতে দিলে কি হত!!
সব সময় খোলা চোখে দেখতে নেই।।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৯:৫০