(আত্মানুসন্ধানী কাব্য সিরিজ)
আরোহ (১)
আত্মায় স্বত্ত্বায় লড়াই মুক্তির।
এগার দুয়ারী ছয় ভুবনে অখন্ড লড়াই
শেষ হলে- অবসন্নতার শেষ প্রান্তে-
দয়ায় মেলে পরমের অনুমতি: আত্মদর্শনের!
জীবাত্মা-জীবদেহে পরমের নামে অভূত চুক্তি-
সাধনায় লড়াই, বন্ধুতায়, পরষ্পরের;
শুভক্ষনে পরমের খোঁজে বেরিয়ে আসে বিজয়ী আত্মা -
উজ্জ্বল সবুজে সাদায় কম্পমান থরথর!
পতনের পূর্বে পূর্ন এক ফোটা জলকণা!
বিশ্বাস বাক্যের সুতোয় বেঁধে
অসীমের শুভ যাত্রার শুভারম্ভ
থিরদেহ পরে রয়- নিশ্চল, মৃতবৎ অপেক্ষায়।
ত্রি-মাত্রার বাঁধা পালকের মতো উবে যায়
গতি, সময়, স্থান যেন ইচ্ছে দাস।
শুন্যতার সীমা শেষ হয় দৃশ্যমানতায়
প্রথম আকাশে খুলেযায় দুয়ার স্বাগত: হে অতিথি ।
চোখ মুদে আসে সহসা সুতীব্র উজ্জ্বলতায়
ন-পীড়ক উজ্জ্বলালোকে চোখ পিটপিট।
যেন চৈত্রের খরদুপুরে রোদের পানে চাওয়ার চেষ্টা!
ক্ষনিক মাত্র। সয়ে এলে চেতনা মুগ্ধতায় অভিভুত।
অদৃশ্য দৃশ্যমান। জগৎসমূহের অধিপতির
অগণন জগতে কিঞ্চিতে অতিসামান্য দৃষ্টিবাঁধা সরে গেলে
কৃতজ্ঞতায় নত হয় শির শোকরান :
-ফাবি আইয়িআ লায়ি রাব্বিকু মা তুকাজ্জিবান।
নোট:
এগার দুয়ারী =মানব দেহের এগারটি/সাড়ে এগারটি গ্রহণ বর্জন পথ;
ছয় ভুবন = কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মায়া
ছবি ঋণ: গুগল
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২৬