কি ভীষন লজ্জা ছিল তখন
কারো স্পর্শের কথা ভাবতেই চঞ্চল মন। একদিন,
ভেঙ্গে গেল তাও; কি অদ্ভুত শিহরণ তখন- - -
শিরায় শিরায়। সেও অতীত অনেক কাল।
উন্মত্ত পরশ আশায় উদগ্রীব, সময় যেন থির দিয়ে রইতো - - -
তারপর!
কেমন করে যেন বদলে গেল সব।
রাত্রির আঁধারে বিভীষিকার মতো
কামুক লক্ষপদী বৃশ্চিক আকড়ে থাকে!
হাপড়ের মতো হাপায় বুক অগ্নিজ্বালায়;
উত্তপ্ত লৌহ শলাকা যেন পুড়ে দেয় অস্তিত্ব!
চিতায় পোড়া দেহের বোটকা গন্ধ ছড়ায় বাতাসে
দম বন্ধ হয়ে আসে বহুমূখিতার উৎকট গমনাগমনে
উল্টে আসে নাড়ীভুড়ি সব।
অনুভূতিটুকু মুছে
কলের পুতুল হলে,বুঝি মুক্তি পেতাম!
অনন্তকাল শৃগালের হুক্কাহুয়া মিথ্যা চীৎকারে-
শীৎকারে খুবলে খেত; কষ্ট হতোনা।
সত্যি একদিন খুন করবো ওদের -
যারা আমার লজ্জা, আমার ভালবাসা, আমার শিহরণ মুছে দিল!
বর্ণচোরা যারা রাত ফুরোলেই ভদ্দরনোকের মুখোশ পরে,
দেখো সত্যি একদিন খুন করবো -উন্মত্ততার বেহুশিতে।
পুরোনো কবিতায় ডায়েরী থেকে -১
ছবিঋণ: গুগল
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯