somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যৌবনবতী ক্ষেতের যৌন কেচ্ছা এবং কবি ও বালিকাদ্বয়...

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সে ও জমিন অধ্যায়

- আমি তাকে চুমু খেয়েছিলাম।
: এটা ঠিক ছিলো না।
- আমি তাকে বুক ষ্পর্শ করতে দিয়েছিলাম।
: ভালো হয়েছিলো কি ব্যাপারটা?
- আমি তাকে আবাদ করতে দিয়েছিলাম আমার সোনালী জমিনে।
: এতোটা জানতাম না।
- এখনো আমি শুকিয়ে যাইনি। আমার রস অটুট আছে। যে কেউ এখনো আমায় চাষাবাদ করতে পারে- তুমিও।
: ছি!
- ছি! কেনো?
: তার কী হয়েছিলো?
- সে ঠিকভাবে চাষাবাদ করতে জানতো ঠিকই। বোকা, তাও না। সে ছিলো বহুগামী। তাই পছন্দ হয়নি। তাড়িয়েছি।
: আর্শ্চয!
- আমার কাছে আসতো সে প্রায়ই। কান্ত হয়ে ফিরে যাবার পথে অন্যের ফসল ধ্বংস করতো কখনো। বদমাইশ!
: দুঃখ হয় তার জন্য?
- মোটেও না। বদমাইশ!
: তোমার ফসল?
- নিতে দিইনি তাই।
: সে কি!
- কেনো দিবো? অন্যের কষ্টের ফসলেও যে সে হাত দিতো!
: তাই?
- মিথ্যে বলছি না। কাহিনী শোনো- একবার ইরি বপন করলো আমার বুকে। আমাকে যতœ করলো, ইরিকে যতœ করলো, নিয়মিত সার দিলো, আগাছা পরিস্কার করলো, সময়মতো পানি দিলো। ভালো মতো ফসল জন্মালাম। ভালো ধান হলো সে বছর। কিন্তু হয়েছে কি জানো? আমার বুকের ধান না পাকতেই পাশের েেত পেকে গেছে। ওরা আগে চাষ করেছিলো। সে তখন আমাকে দেখতে এসে দেখে আমার ধান এখনো পাকেনি। ফেরার পথে ঐ েেতর ধান কেটে নিয়ে ফিরে গেলো।
: তাই মন খারাপ হয়েছিলো?
- অবশ্যই।
: কী করলে তখন?
- পোকা ডেকে এনে আমার বুকের ধান নষ্ট করে ফেলেছিলাম।

সে ওদহন অধ্যায়
: তুমি কী বলেছিলে মনে আছে?
- কী?
: বর্ষার দিনে, বৃষ্টিকালে রিক্সা করে ঘুরে বেড়াবেÑ হুড অবশ্যই ফেলে দিয়ে। কিংবা ঝাঁঝলো রোদে ঘুরে বেড়াবে তপ্ত রাস্তায়, এই আমাকে নিয়ে।
- মনে আছে।
: তুমি এমনটা করলে কেনো?
- ব্যাপারটা দোষের ছিলো না মোটেও।
: ওসব ভাবতে পারো?
- কেনো নয়? সেক্স একটা অনুভূতি ছাড়া কিছু নয়।
: কিন্তু অঙ্গটা... চামড়ার কথা বলছিলাম?
- ওটা স্পর্শ হতেই পারে। চামড়ায় চামড়ায় স্পর্শ হলেই যে খারাপ কিছু তা নয়। হ্যান্ডশ্যাক করো না? ওটা কি সেক্স? ব্যাপারটা অনেকটা ওরকমই, নট মোর দ্যান, ইয়া?
: তখন অমন ভাবতে না।
- তো....?
: তোমার চিন্তাগুলো সুন্দর ছিলো ।
- এখনো আছে।
: তাহলে আমার ভুল হয়েছিলো।
- না হয়নি। শোনো! প্রথমবার সেক্স করি জাস্ট ফান করে, দ্বিতীয়বার স্বাদ পরিবর্তন।
: এটা কি আদর্শ হলো? আদর্শ আপেকি নয়। তুমি প্রস্টিটিউট নও।
- আদর্শ আপেকি অবশ্যই। তোমার দেশে ছেলে-মেয়ে চুমু খাওয়া অআদর্শ, ওয়েস্টার্নে এটা আদর্শ।
: ওরকম নয়। আদর্শ যেটা সেটা অবশ্যই আপেকি নয়। যেমন সত্য। সত্য কি আপেকি? পৃথিবী ঘুরে সত্য। এটা সব দেশের মানুষই একরকম বলে। তাই নয় কি লাজুলি?
- জটিল কোরো না। তুমি সেক্সকে অতো জটিল করছো কেনো? রুদ্র, সেক্সই কি সব? আমার চিন্তা চেতনাগুলো দেখবে না?
: আমি শ্রদ্ধা করি যা তোমার বাহ্যিকে সীমাবদ্ধ। বাস্তবে তা মিলেনা।
- অথ্যাৎ....?
: অর্থাৎ সেক্স...!
- তুমি সেক্সকে কী ভাবো?
: সেক্সকে সেক্সই ভাবি।
- তার কাথে কি ভালোবাসা নেই?
: কথা দুধরনের হতে পারে- এক সেক্স ইজ নাথিং উইদাউট লাভ এবং দুই লাভ ইজ নাথিং উইদাউট সেক্স। আমি প্রথমটার পক্ষে।
- মানে...?
: যেখানে প্রথমে ভালোবাসা হয় সেখানে পরে সেক্স হতে পারে। কিন্তু যেখানে প্রথমে সেক্স হয় সেখানে আর যাই হোক ভালোবাসা হয়না।

[এক বছর পর... নাথিং... দুই বছর পর... সামথিং... পাঁচ বছর পর... বার্নিং... আন্ডারস্ট্যান্ডিং... ক্রাইং... আফটার দ্যান...]

শে ও দহন অধ্যায়
- তোকে চেয়েছিলাম। তুই আমার, রুদ্র।
: মোটেওনা বোধহয়...। আর অবশ্যই তোর নয় এই আমি।
- বিশ্বাস কর।
: আচ্ছা... করলাম। বল?
- আমি দূরে যাইনি।
: জানি।
- আমি অটুট আছি।
: ভালো।
- আমায় নিবি?
: বড্ড দেরি করেছিস্ নয় কি?
- মনে হয়।
: তবে?
- বুঝিনি তখন। তোকে অবহেলা করেছিলাম।
: ভালো করেছিস্। তোর মুক্তি হয়েছে।
- হয়নি মোটেও। আর দেরিও হয়নি কিছু তেমন।

[আবান্তর অধ্যায় এক : তুই মরেছিস এগারো ডিসেম্বর। আমি সাগর পেয়েছিলাম একটা, সেদিন। সেখানে মুক্তো আছে অনেক। আমি পেয়েছি তার একটা। আমাকে নতুনভাবে সাজিয়েছে সে। সাগর তলের সৌন্দর্যের মতোই। আমাকে বাঁচিয়েছে। তুই মরেছিস। আমাকে আর কাঁদাতে পারবিনা। আমার একটা মুক্ত আছে। তুই মুক্তো হতে পারবিনা, কখনোনা, কারও কাছে না। এক সময় ছিলি, আমার কাছে। অতপর তুই আবদ্ধ হয়েছিস, আমি শুনেছি সেদিন তুমি সাগরের ঢেউয়ে যেতে নীল জল দিগন্ত ছূঁয়ে এসেছো... আমি কখনো যাইনি জলে... কখনো ভাসিনি নীলে। আর নয় তোর জন্য। তুই নীলে ভেসে গেছিস, তুই জলে নেমেছিস...। তুই কি ফেসে গেছিস? অতপর আমি তাও ভাবিনা। যেনো আমি কিছুই জানিনা...।]

অবান্তর অধ্যায় দুই : কবির চিন্তা চেতনা যখন অনায়াসে অণু লোশনে পরিণত হয়, জনসন ডিব্বা যখন করতল হয়ে স্থান পরিবর্তন হয় স্বচোট্টামিতে অথবা স্বইচ্ছায়, বালিকা যখন প্রস্টিটিউট বনে বিসর্জন দেয় হাইমেন- নিজের রাগকে বশবর্তী অকরতে পেরে কিংবা বলবো নিজের আগ্রহে তখন, লুইচ্চা মৈথুনে বীর্যাণু, মৈথুন ইকুয়েল চিত্তের কিংবা মনের অথবা সাধারণ আনন্দ ভাবা দায়, নিশ্চিত হয়। লোশন গন্ধ যখন তোপখানা রোড দুর্গন্ধ ছড়ায়- বালিকার স্বইচ্ছায় হাইমেন ছেড়ার প্রতিযোগিতার মতো, স্বজাতি কবি এ তথ্য জানায় অনায়াসে, কিংবা শুদ্ধতায় নির্ভর করে, নতুন দর্শন আদর্শের নতুন সংজ্ঞা আদর্শ আপেকি বলে বালিকা বিকল্পে কথার গ্যাড়াকলে, শিকলাবদ্ধে। ভাবতে অবাক অলাগলেও বিস্মিত হতে দোষ কোথায়?]

শে ও কীট অধ্যায়
- আমার কষ্টরে, খুব কষ্ট!
: কী হয়েছে তোর? বল আমায়...
- জানিনা! আমায় সুখ দে!! রুদ্র, আমায় সুখ দে।
: আমি? বোকা। নই মোটেও আমি। জয়ীতারা সুখি কি হয় বন্ধু, কখনো ? তুইতো চিত্রা নোস। অথবা...
- জানিনা, আমায় সুখ দে... আমি দিপাবলী নইরে। আমি লাজুলি। আমার কষ্ট ! খুব কষ্ট।
: সময় যায়নি মোটেও তেমন। তুই হয়ে যা নিরন্তর।

[অবান্তর অধ্যায় তিন : শে দৌড়ায়, আমি অপো করিনা। অণুগুলো নয় উত্তেজিত মোটেও, আমার। আমি অতো ব্যস্ত নই। আমার অনেক সময় আছে। শে দৌড়াতে থাকে। আমার উপো করার সময় নেই, যেমন নেই দেখারও। আমি কিছু করিনা।]

নিঘর্ন্টসহায়কব্যাখ্যা অধ্যায়
জমিন : দুঃখ কি বুঝো, নাকি বুঝিসনা?১
শে : পাঁচতারা হোটেল>গুলশান>কোলকাতা>সিঙ্গাপুর> থাইল্যান্ড...বাংলাদেশ>...বাগ; হয়তো তবুও...হয়না !...!২
ও : তোমায় আমি ভালোবাসি অযুত ল নিযুত কোটি। এলেনা এখনো! ডাকছি তোমায়...৩
সে : আমি এক যাযাবর, আমার মাথায় শুধু গোবর। আসছি সোনা...৪
কবি : আসলে বিবেকহীনতাই মানুষের অউন্নতির কারন [স্বগোক্তি : তবে চোট্টামি করা পাপ নয় কখনো]৫

চরিত্র বিবৃতায়ন অধ্যায়

১.একটি উর্বর ধানের তে- উর্বর আর যৌবনবতী কি এক কথা?
২.বালিকা এক- লাভ ইজ নাথিং উইদাউট সেক্স।
৩.বালিকা দুই- সেক্স ইজ নাথিং উইদাউট লাভ।
৪.বালক- যৌবনবতী ক্ষেতের যৌন কেচ্ছা এবং কবি ও বালিকাদ্বয়ের পঞ্চমজন।
৫.কবি- অনাকাঙ্খিতভাবে জড়ো হওয়া এঁটো কিছু ভাবতে অদোষ।
৫৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্বাসীকে লজিকের কথা বলার দরকার কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৭




হনুমান দেবতা এবং বোরাকে কি লজিক আছে? ধর্ম প্রচারক বলেছেন, বিশ্বাসী বিশ্বাস করেছেন ঘটনা এ পর্যন্ত। তাহলে সবাই অবিশ্বাসী হচ্ছে না কেন? কারণ অবিশ্বাসী বিশ্বাস করার মত কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের শাহেদ জামাল- ৭১

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪



শাহেদ জামাল আমার বন্ধু।
খুব ভালো বন্ধু। কাছের বন্ধু। আমরা একসাথেই স্কুল আর কলেজে লেখাপড়া করেছি। ঢাকা শহরে শাহেদের মতো সহজ সরল ভালো ছেলে আর একটা খুজে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভাবছিলাম ২ লক্ষ ব্লগ হিট উপলক্ষে ব্লগে একটু ফান করব আড্ডা দিব, কিন্তু এক কুৎসিত অপব্লগার সেটা হতে দিলোনা।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৫



এটি ব্লগে আমার ২৬০ তম পোস্ট। এবং আজকে আমার ব্লগের মোট হিট ২০০০০০ পূর্ণ হয়েছে। আমি আনন্দিত।এই ছোট ছোট বিষয় গুলো সেলিব্রেট করা হয়তো ছেলে মানুষী। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শয়তান বন্দি থাকলে শয়তানি করে কে?

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২০



রমজানে নাকি শয়তানকে বেধে রাখা হয়,তাহলে শয়তানি করে কে?

বহুদিন পর পর ব্লগে আসি এটা এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। বেশ কিছু বয়স্ক, মুরুব্বি, সম বয়সি,অল্প বয়সি একটিভ কিছু ব্লগার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কট বাঙালি

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৪



কদিন পরপরই আমাদের দেশে বয়কটের ঢল নামে । অবশ্য তাতে খুব একটা কাজ হয় না । বাঙালির জোশ বেশি দিন থাকে না । কোন কিছু নিয়েই বাঙালি কখনই একমত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×