রাজনৈতিক অংগন কিংবা পারিপার্শ্বিক সমাজ ব্যবস্থা, সর্বত্র ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনার প্রতিফলন লক্ষণীয়। অমুক আমার নেতা, অমুকের নামে কিছু বলা যাবে না, অমুক ছাড়া তো দল শেষ, এইরকম অবস্থাই বিদ্যমান।এরই ধারাবাহিকতায় নতুন সংযোজন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। না!, আমি ক্রিকেটের মাঝে চলমান রাজনীতি করন এর কথা বলছি না। বলছি এক ব্যক্তি-এক দল নিয়ে।
মনে আছে নিশ্চয়ই ভারতীয় খেলোয়াড় শচীনের কথা। দলের এক মুহূর্তে সে এক সাথে ক্যাপ্টেন, বোলার আর ব্যাটসম্যান এর সফল দায়িত্ব পালন করেছিল। কিন্তু এটাও নিশ্চয়ই খেয়াল আছে এক পর্যায়ে সে ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দেয়। আর এর কারণ ছিল তিনটি দায়িত্ব পালনের অব্যাহত চাপের ফলে তার ফর্মের ব্যাপক ধস।
বাংলাদেশ দলে এখন সবচেয়ে কন্সিস্টেন্ট পারফরমার হল সাকিব। অন্যদের অবস্থা জাঙ্ক শেয়ারের মত, কোন মতিগতি নাই। এই ভাল , এই খারাপ। দলের সবাই উইকেট বলি দিলে সেখানে সাকিবই ভরসা। এভাবে বাংলাদেশ দল ভালো খেলছে মানলাম। কিন্তু এভাবে কতদিন ? কল্পনা করুন একটা দিনের খেলা কথা যেখানে সাকিব কোন কারণে খেলতে পারল না, সেদিন কি হবে ? তাছাড়া এভাবে দলের সব দায়িত্ব একজনের কাঁধে থাকলে দীর্ঘমেয়াদে তার ফর্মের বারোটা বাজবে। তখন এর দায়িত্ব কার ?
নিঃসন্দেহে সাকিব মাশরাফির অবর্তমানে সফল ক্যাপ্টেন, কিন্তু দলের অন্যসব খেলোয়াড় যদি যদি তাদের পারফর্মেন্সে কন্সিস্টেন্সি না আনে আর যদি সাকিবের উপর এভাবেই চাই বাড়তে থাকে, তাহলে ২০১১ বিশ্বকাপে কোন দুর্ঘটনার আশংকা করাটা কি অস্বাভাবিক হবে ?