তিতীর্ষার সাথে দুই দিন ধরে ঝগড়া। কলহের আপেল হল, মাত্রারিতিক্ত ভাবস। ওর ভাবের বাতাসে আমি নিজেই সপ্তম আসমানে উঠে যাই। যাই হোক, চৈত্র সংক্রান্তির দিন ভাবলাম, ভাব নিয়া লাভ নাই, আমিই ওরে ফোন দেই, নইলে আমার পুরা বৈশাখই মাটি। দিলাম ফোন ... ... অনেকক্ষণ পর ম্যাডাম ধরলেন। বিসমিল্লাহ হইল ঝাড়ি দিয়া। আমিও কম যাই না ... কান থেকে নামায় রাখলাম ফোন টা, একটু পর ফোন উঠাতেই দেখলাম বলতেছে, বুঝছো আমার কথা ?? আমি বললাম , হুমমম ( যদিও কিছুই শুনি নাই ) । যাই হোক , অনেক বুঝানোর পর বুঝলো। আবার উল্টা বলে, আমি কত প্ল্যান করসি তোমার সাথে কাল ( ১৪ এপ্রিল ) ঘুরবো, আর তুমি !! ন্যাকামিগুলো সহ্য না হলেও ঢোক গিললাম। যাই হোক , কথা মত আমার কাজ হল উনাকে পহেলা বৈশাখ সকাল সাড়ে ছয়টায় উঠাতে হবে । মহা কঠিন কাজ ! কাজের বাস্তবায়ন করতে আমার দুইটা মোবাইলের এলার্ম সেট করলাম ৫-৪৫ এ । শত হোক, ডিউটি ( !! ) তো দেরি করা যাবে না ।
সকালে একটা ফোনের এলার্মে ঘুম ভেঙ্গে গেল । শুরু হল উনাকে ডাকার পথচলা। একদিকে রেডি হই, আবার একটু পর এসে ফোন দেই। এভাবে ২০ বার ফোন দিলাম। অবশেষে পৌনে সাতটায় কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাংলো। ওপাশ থেকে প্রথম কথা, ক’টা বাজে ? বললাম , পৌনে সাতটা । জবাব এল, আসার সময় বেলি ফুলের মালা নিয়ে আসবা । শুনতেই আকাশ থেকে পড়লাম। ম্যাডাম থাকেন ধানমন্ডি সাতাশ এ। ওকে বললাম, তুমি একটু আগায় আসলেই তো হয় !! বলতে না বলতেই ... ফাইজলামি পাইসো ?? হয় তুমি আসবা, নইলে আমি ফোন রাখলাম।
অগত্যা কি আর করা। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বের হলাম। পুরানা পল্টন থেকে রিকশা পাচ্ছি না । হেটে গেলাম শিল্পকলা । পথে মানূষের কোলাহল দেখে ভালোই লাগছিল। আবার মনের আকাশে মেঘ, ... বেলী ফুলের মালা ... অবশেষে শিশু পার্কের সামনে পেলাম মালা। কি মালা জানি না, দেইখাই বললাম , ২ টা দাও। মালা নিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম । আবার হাটা শুরু। এত সকালেও সহস্র মানুষের ভিড় ঠেলে আগানো দায়। তারপরও হাটতে এলিফ্যান্ট রোডের কাছে গিয়ে রিকশা নিলাম। যাক বাবা শান্তি ।রিকশাওয়ালা চালাচ্ছে সজোরে। মেঘলা আকাশ, বাতাস চারিদিকে, ভালোই লাগছিল । ১৫ মিনিট পর পূর্ব কথা মত নান্দুস এর সামনে গিয়ে ফোন দিলাম। ওপাশ থেকে, এতবার ফোন দেয়ার কি আছে ? আমি তো রেডি হচ্ছি !! আমি বললাম, না, মানে তোমার জন্য মালা আনসি । ... ... ও তাই !!, আমি আসতেসি।
১০ মিনিট পর আসল। লাল শাড়ি পড়া। ভালোই লাগছিল তাকে। মালা এগিয়ে দিতেই, এটা বেলী ফুলের মালা ?? ( রাগে লাল হয়ে গেল ওর চেহারা )। আমি বললাম, এত কিছু জানি না, সামনে যা পাইছি, আনছি । বলেই সামনের দিকে হাটা দিলাম। ও দেখি গড়গড় করে কিছু একটা বলার পর বলল ... ... ... ... ... চলবে
আগামীকালের পর্ব – টিএসসি কান্ড