কয়েকদিন আগে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক তাদের প্রবেশনারী অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষার দিন তারিখ নির্ধারণ করে ওয়েবসাইট হতে এডমিট কার্ড ডাউনলোডের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু তারা যে পরীক্ষার্থীদের তথ্য সামলাতে কতটা কাঁচা সেটা প্রমাণ দেখুন –
ছবি বড় করে দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সাধারণত ট্র্যাকিং নাম্বার / ইউনিক ইউজার নেম - পাসোয়ার্ড দিয়ে আজকাল এডমিট কার্ড বিতরণ করা হয়। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে ট্র্যাকিং নাম্বার ছাড়াও জন্ম তারিখ ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে সার্চ করা যাচ্ছে । সবচেয়ে মজার কথা হচ্ছে একইদিনে অনেকেরই জন্মদিন এর বেলায় । একই জন্ম তারিখে যতজনের ডাটা এন্ট্রি আছে ততজনের এডমিট কার্ড শো করবে। তথ্য সুরক্ষার নতুন দিগন্ত ।
ছবি বড় করে দেখতে এখানে ক্লিক করুন
যেমন উপরে দেখুন , আমি টেস্ট কেস হিসেবে জন্মতারিখ দিলাম ০১-০১-১৯৮৯ । আর রেজাল্ট দেখুন-
ছবি বড় করে দেখতে এখানে ক্লিক করুন
ছবি বড় করে দেখতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে যেকোন লিংকে ক্লিক করে ঐ প্রার্থীর মোবাইল নাম পিতার নাম, ছবি , ঠিকানা , রোল , এডমিট নাম্বার জানতে পারবেন।
এখানেই শেষ হয়। আসল নাটক হল- হাজার হাজার প্রার্থীর ছবি সরাসরি এক্সেসিবল ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে ট্রাকিং আইডি এর সিরিয়াল অনুযায়ী, যেটা যে কেউ একটু চালাক হলেই ধরতে পারবেন এবং সবার ছবি নামাতে পারবেন !!
ছবি বড় করে দেখতে এখানে ক্লিক করুন
এভাবে সরাসরি এক্সেস তথা হটলিংক প্রটেকশন করা জরুরী ছিল। অপরদিকে খ্যাত্নামা ব্যাংকগুলোকে দেখুন। এমনভাবে প্রার্থীর তথ্য সংরক্ষণ করে ওয়েবসাইটে যে সাধারণের পক্ষে অন্যের তথ্য জানা দুষ্কর । খুব জানতে ইচ্ছা করে এই ব্যাংকের আইটি এর হেড এর পড়াশুনার এর দৌড় কতদূর !!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২