"সে যে বসে আছে একা একা রঙিন স্বপ্ন তার বুনতে ……………."
পূর্বাচল নতুন শহরের ৩০০ ফিট রাস্তায় গাড়ীতে গান বাজছে আর জামিল আপন মনে গান শুনছে। ক্রিং ক্রিং...... মোবাইলে ম্যাসেজ এল। “ Reached Safely. Hope you are fine. “ জামিলের দীর্ঘদিনের বন্ধু বন্যার পাঠানো ম্যাসেজ। একসাথে স্কুলে ৫ বছর পড়াশুনা। পরে জামিল নটরডেমে চলে আসে। তারপর আবার ৫ বছরের যোগাযোগ বিরতি। বছরখানেক আগে ফেসবুকের কল্যাণে আবার যোগাযোগ হয়। তারপর কতবার বন্ধুদের আড্ডায় দেখা হয়। জুলাইয়ের ১০ তারিখ এম আই টি তে মাস্টার্সের জন্য চলে যায় বন্যা। অফিসের কাজের চাপে ঠিক মত বিদায়টাও দেয়া হয়নি বন্যাকে। অবশ্য সে নিজেও যেতে চায়নি এয়ারপোর্টে। ক্রিং ক্রিং...... আবার ম্যাসেজ এল। “ Please be on skype on 7 pm in your local time “ আজকে কেন জানি জামিলের স্কাইপে যেতে ইচ্ছে করছে না। বন্যাকে ভাল লাগা তার স্কুল থেকেই। কিন্তু কলেজে উঠার পর আর যোগাযোগ করা হয়ে উঠেনি। গত বছরখানেক ধরে বেশ কয়েকবার দেখ হওয়ার পরো কেন জানি জামিল তার মনের কথাটি বলতে পারেনি। মনের কোণে অজানা শঙ্কা সবসময় যে যদি বন্যা ‘না’ করে দেয়। সেই ‘না’ শোনার জন্য জামিল হয়তো প্রস্তুত নয়। ‘কিন্তু যে করেই হোক আজ মনের কথা বন্যাকে জানাব’, মনে মনে ভাবল জামিল । সন্ধায় জামিল বাসায় এল। যথারীতি তার স্কাইপে বসল। বন্যাকে অনলাইনে দেখে জামিল কল দিল। তার গল্প আর গল্প। গল্পে মসগুল বন্যাকে হঠাৎ বলে বসল, ‘ বন্যা তোকে আমার ক্লাস সেভেন থেকে পছন্দ। ভেবেছিলাম কলেজে উঠলে বলবো কিন্তু আর বলা হয়নি। আমাদের যে কয়েকদিন দেখা হয়েছে, প্রতিবারই ভেবেছি বলবো কিন্তু কেন জেন বলতে পারিনি। জানিনা তুই কিভাবে নিবি কিন্তু আমি তোকে অসম্ভব পছন্দ করি।‘ বন্যা চুপ করে রইল মিনিটখানেক........................।। ‘ভাইয়া, গাড়ী কি এখান থেকে ঘুরাবো ?” ড্রাইভার আল-আমিন বলল। কল্পনার জগতের থাকা জামিল হতচকিয়ে উঠে বলল “ হুমমম... “ । গাড়ী এবার চলছে কংক্রিটের জংগলের দিকে।আর জামিল মনে মনে ভাবছে ‘কেন যে দেশে থাকতেই বন্যাকে মনের কথাটা বললাম না। মনে হয় বড্ড দেরী হয়ে গেল’