somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছাওয়াল ও জওয়াব ৩ : নাজায়েজ ছবি ও কুফরি কালাম (২য় অংশ)

২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(সফটওয়ার ছাড়াই ফোল্ডার ব্যাকগ্রাউন্ডে ছবি সেট করার অপশন ও ফাইল-ফোল্ডারের নামের কালার পরিবর্তনের উপর...ছাওয়াল ও জওয়াব ২-এর পরবর্তী অংশ)

দ্বীনি এলেম : IconArea_Text=0×000000 দ্বারা Colour সেট করা হয়েছে। যে ফোল্ডারে আপনি ডেস্কটপ ফাইলটা সেভ করবেন Refresh দেবার পর সে ফোল্ডারের প্রতিটা ফাইল ও ফোল্ডারের নামের কালার পরিবর্তন হয়ে যাবে সেট করা কালার অনুযায়ী। নিচে কিছু কালারের কোড দিলাম। ব্যাকগ্রাউন্ডে যদি কালো আবহের ছবি সেট করেন তবে ফাইল-ফোল্ডারের নাম দেখা যায় না, এজন্য সুবিধামত কালার সেট করে নিতে পারেন। (মূলত বিভিন্ন কালার সেট করা হয়েছে ৩ টি মৌলিক কালারের বিভিন্ন অনুপাতের মিশ্রণে (Red, Green, ও Blue)। 0 থেকে 255 পর্যন্ত যেকোন কালারের সীমানা (Range)। হেক্সাডেসিমাল Value-তে এদের মান 6 ঘরে লিখতে হবে।একটু আইডিয়া খাটিয়ে আপনি নিজেই বিভিন্ন কালার ক্রিয়েট করতে পারেন।আশা করি এগুলোই যথেষ্ট। )

0xff0000 = লাল
0xffff00 = হলুদ
0xffffff = সাদা
0×00ffff = আকাশি
0×0000ff = নীল
0×000000 = কালো
0xff00ff = বেগুনী
0×00ff00 = সবুজ

ছাওয়াল : হুজুর, যেহেতু এক্সপিতে ইহা নাজায়েজ, সেহেতু যে কেউই এই কুফুরি কালাম দেখিয়া চমকিত হইবে। স্বাভাবিক কারণেই অনুসন্ধিত্সার তাড়নায় একটু গুতোগুতি করিলেই তাহারা বুঝিয়া ফেলিবে ফোল্ডারের ব্যাকগ্রাউন্ডে ছবিটা আমি কিভাবে সেট করেছি…

জওয়াব : বুঝিতে পেরেছি, আপনি আপনার অপকর্ম গোপন রাখতে চাচ্ছেন। কিন্তু সমস্যা কোথায়? আপনি Desktop.ini ফাইলটা আর আপনার বিবির ছবি Hidden করে দেন। তাহলে কেউ আর বুঝবেই না কিভাবে ছবিটা শো করছে।



************************************************
************************************************
ছাওয়াল : কিন্তু হুজুর, কতিপয় দার্শনিক আছে যাহারা ছোটবেলা থেকেই গুতোগুতিতে অভ্যস্ত। তাহারা অবশ্যই বুঝিবে ছবিটা কোথাও লুক্কায়িত আছে। তাদের অনুসন্ধিত্সা নিরসনের নিমিত্তে বিভ্রান্তির কি ব্যবস্থা করা যায়?

(এক্সপিতে ফোল্ডারের ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি সেট করার পদ্ধতিটা যাকেই দেখিয়েছি সেই চমকিত হয়েছে এবং আমাকে জিজ্ঞেস করেছে পদ্ধতিটা যাতে অন্যরা না বুঝে ফেলে তার উপায় কি? সেজন্যই বয়ান দীর্ঘায়িতকরণ।)

জওয়াব :

লা শাক্কা, সহীহ বাত রাখিয়াছেন। আমার মনে হয় নিম্নোক্ত উপায়ের মাধ্যমে কেউই বুঝবে না ছবিটি কোথায় আছে। ছবিটির নাম যদি হয় river.jpg তবে আপনি Rename করে দেন শুধু river। এরপর কুফুরী কালামেও নামটা অনুরূপভাবে Change করে দেন ( IconArea_Image=river ) ।

যদি আরো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চান তবে ছবিটার নাম দিয়ে দিতে পারেন river.dll, river.sys, river.inf, river.txt, river.ini, river.ocx। .dll (dynamic-link library) কিংবা .ocx (ActiveX) হল প্রোগ্রাম চলার জন্য অপরিহার্য ফাইল । dll বা ocx ফাইলের icon দেখেই দার্শনিকরা ভড়কে যাবে, বুঝতেই পারবেনা ওই ফাইলগুলো মূলত ছবির ফাইল (এক্ষেত্রে অবশ্যই Hide extensions for known file types-এর টিক মার্ক উঠানো অবস্থায় থাকতে হবে, প্রয়োজনে আপনি extension বিলুপ্ত করে এরপর আবার হাইড এক্সটেনশনে গিয়ে টিক দিয়ে দেন।)।

আপনি ছবিটা ভিন্ন কোন ড্রাইভের ফোল্ডারে রেখেও শো করতে পারেন। সেক্ষেত্রে Address-টা সঠিকভাবে লিখে দিন। যেমন আপনি C ড্রাইভের wallpaper ফোল্ডারের কোন ছবি (ধরি সেটার নাম river.jpg) যদি শো করতে চান তবে IconArea_Image= -এর পরে লিখুন C:wallpaerriver.jpg (IconArea_Image=C:wallpaerriver.jpg) ।

আপনি যদি মনে করেন, যে ফোল্ডারে ছবিটা শো করছে সে ফোল্ডারে Desktop.ini ফাইলটা দার্শনিকদের খটকা উদ্রেক করবে, তবে আপনি রানে গিয়ে নিম্নোক্ত Command লিখুন। ধরা যাক ডেস্কটপ ফাইলটি D ড্রাইভের Personal ফোল্ডারের ভিতর আছে। এবং ইমেজটির নাম হল river.jpg

attrib D:Personalriver.jpg +H +S

Enter প্রেস করে তারপর নিম্নোক্ত কমান্ডটি লিখে ফেলুন সঠিকভাবে একলাইনে প্রয়োজনীয় স্পেস দিয়ে।

reg add HKLMSoftwareMicrosoftWindowsCurrentVersionExplorerAdvancedFolderSuperHidden /v UncheckedValue /d 0 /f

এলেম : আপনি শুধুমাত্র প্রথম কমান্ডটি লিখলেই ফাইলটি সুপার হিডেন হয়ে যাবে। দ্বিতীয় কমান্ডটি মূলত প্রাজ্ঞ দার্শনিকদের জন্য যারা সুপার হিডেনের চেকমার্ক উঠিয়ে দিয়ে ইজতেহাদের পথে ব্যাপক অগ্রসর হতে চায়। আশা করা যায় এতটুকু কেউ চিন্তা করবেনা। তারপরও সাবধানের মার নেই। Enter প্রেস করুন, দেখবেন ফাইলটি গায়েবী জগতে (supper hidden) চলে গিয়েছে! গায়েবী জগত থেকে উক্ত ফাইলটি ফিরিয়ে আনার জন্য শর্টকাট দুয়া হল,

attrib D:Personalriver.jpg -H -S

(প্রয়োজনীয় স্পেস সঠিকভাবে দেবেন।) কেউ যদি ছবি সেট করার পদ্ধতিটি না জানে তবে সে কোনভাবেই এর রহস্য ভেদ করতে পারবেনা, আজীবন গুতোগুতিই করে যাবে। (অগ্রসর দার্শনিকদের {Advanced User} কথা আলাদা। তাদের জন্য আরো দাওয়াই রয়েছে। বিস্তারিত পরবর্তী পোস্টগুলোতেই পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ্।)

আশা করা যায় এরপর যারা কম্ফূ গুতোগুতির নিরলস সাধনায় রত, তারাও হাল ছেড়ে দেবে। আমেন।

: সুবহা’নাল্লাহ্, হুজুর, রূপকের আড়ালে এ কী কারামত!

পূর্ববর্তী :

ছাওয়াল ও জওয়াব ১: গায়েবী বস্তুসমূহ ও সরল পথের সন্ধানে
ছাওয়াল ও জওয়াব ২ : নাজায়েজ ছবি ও কুফরি কালাম (১ম অংশ)


© লেখক

পরবর্তী :
ছাওয়াল ও জওয়াব ৪: বক্রপথে শয়তানের কুমন্ত্রণা
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×