বৃষ্টিভেজা দুপুরে বারান্দার রেলিঙে বসেছিল ক্লান্ত এক কাক,
এদিক-ওদিক চেয়ে শিথিল করে দেয় জবুথবু শরীর।
পাশেই দাঁড়িয়ে অবাক হই, ভিন্নভাবে সেও কি দেখে আমাকে?
সঙ্গীদের মতন ধূর্ততার লেশমাত্র নেই ওর সতর্ক চোখে,
বরং আশ্চর্য শিথিলতা আজ ভেজা ডানার ভাজে ভাজে।
এইবার একটু ভালো করে চেয়ে দেখি ওকে,
না, অতটা কুৎসিত মনে হল না আর...
বরং কিছুটা কোমলতাই খুঁজে পেলাম ওর বৃদ্ধ শরীরে।
এ দেশে সহজলভ্য ও প্রজাতির ক্লান্তিহীন উদার একঘেয়ে স্বর
আর যাই হোক, কাকপ্রেমী করে তোলে না আমাদের!
তারপরও ও আমাকে ভাবিয়ে তুলল ক্ষণিকের জন্য...।
ওরও হয়তো একটা মন আছে; ব্যাথা আছে, বেদনা আছে।
ভাবি আমি, পাখিদের কি একটা মিষ্টি কোমল মন থাকে
ওদের ছোট্ট কোমল দেহের মতন?
ভাবতে ভাবতে চেয়ে দেখি আনমনা কাকটিকে,
এখন উদাসী চোখে চেয়ে আছে দূরে...
কে জানে কি ভাসছে ওর ঝাপসা চোখে;
অতীতের কোন দুঃখময় স্মৃতি?
হয়তো ভাবছে ফেলে-আসা জীবনের কথা,
হয়তো জীবন ওকে আঘাত দিয়েছে প্রচন্ডভাবে।
বৃষ্টিভেজা দুপুরে বারান্দার রেলিঙে বসেছিল ক্লান্ত এক কাক,
আশ্চর্য শিথিলতা আজ তার ভেজা ডানার ভাজে ভাজে।
******************
০৪ এপ্রিল, ২০০৮
শাহীন কলেজ।