somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এন ইডিয়ট ইন লাভ!!! (বিশ)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক! জিন্দা কিম্বা মুর্দা কারুর সাথে কাহিনী মিল্লা গেলে কেউ দায়ী নহে!!!

“ডেটিং” জিনিসটার নাম শুনলেই একসময় মনে মনে একটা মিচকা হাসি দিয়া লাইতাম! কিছু গর্বিত বড় ভাই আর বন্ধুর কল্যাণে জিনিসটা লিটনের ফ্ল্যাটের সমার্থক হিসাবেই মনে হইত। মাগার ইদানীং কিছু সিরিয়াল আর পিরিতের বইয়ের জইন্নে ডেট শব্দটার মানে একটু আলাদা আলাদা মনে হইতে শুরু হইছিল। ব্যাপারটা একটু তলাইয়া দেখতে যাইয়া দেখি, ডেট জিনিষটা বেশ ব্রড!!! তারপর দেখি অকি!!! ইডিয়টও নিজের অজান্তে বেশ কয়েক বার ডেটে গেছিল!!!

কাহিনীটা শুরু হইছিল এইভাবে!
সুন্দরি আমার বেশ আগের পরিচিত। আমি অরে একজন ভালো মানের বন্ধুই মনে করি (বিএফএফ না কিন্তু)। প্রায়ই টেক্সট কইরা ভালোমন্দ জিগায়, পড়াশুনার খবর লয়। হ্যাপি দিবসগুলা উইশ করে। আমিও মাঝে মাঝে একটু স্পেশাল ফিল করতাম এইটা ভাইবা যে হ্যায় আমার ক্লাসগুলার নামগুলাও মনে রাখে। এটলিস্ট সামওয়ান ইজ রিমেম্বারিং থিংস আবাউট মি ঠু!

তো একদিন সুন্দরি আমারে টেক্সট দিয়া কয় বিপ্লব আমার একটা রিপোর্ট লেখা লাগবে। আমি কই তো? কয় সিটির এক জায়গায় যাইয়া ছবি তুইল্লা (ডাটা কালেকশন) তারপর রিপোর্টখানা লেখা লাগবে। আমি কই গুড! তারপর কয়, আমি তো সিটি ভালমত চিনি না, আর তুমিও ট্যাক্সি চালাও। সিটি তো ভালই চিন। আমারে একটু লই যাবা? আমি চিন্তা করলাম,খাটি কথা। সিটিরে তো বেশ ভালোভাবেই চিনি। আর সিটির মইদ্দে যে কেউ হারাই যাইতে পারে। কইলাম,সিউর! হ্যাপি টু হেল্প। ফ্রেন্ডরে এই হেল্পখানা না করলে ক্যামনে হবে।

যাইহোক, একদিন শিডিউল ফিক্স কইরা তারে জাগামত লই গেলাম। যাইতে যাইতে শুনলাম কি কি ডাটা লাগবে। ওইখানে যাইয়া মাইয়া দুই একটা ছবি তুইল্লা চুপচাপ!!! আর ছবি তুলে না। তার কথামতই ডাটা কালেক্ট করতে অনেক ছবি তুলা লাগবে। মাগার ছবি তুলা বাদ দিয়া মাইয়ার ধানাই পানাই করাটা একটু অড মনে হইলেও মনে করলাম হ্যার কাম হ্যায়ই ভালো বুঝে। তারপর কইলাম, তাইলে এখন কি করবা? কাম তো শেষ? বাড়ি যাবা না চা-চুখাইয়া আরামসে যাইবা? হ্যায় কয়, হুমম চা-টা তো খাওয়াই যায়। আমি তখন কইলাম অক্কে!!!

ইউনিয়ন স্কয়ারের বার্নস এন্ড নোবেলস এর স্টোরের ভেতরের চায়ের দোকানটা আমার বেশ ফেভারিট একটা জায়গা। চিন্তা করলাম, চা’ই যাহেতু খামু তাইলে ওইখানেই খাই না কিয়েরে আরামসে বইসা চা শেষ কইরা তারপর নাইলে বাড়ী গেলাম। আমি জায়গার কথাটা তুলতে সে কয়, “হোয়াটেভার ইউ থিংক ইজ গুড”। আমি কই অক্কে। ভিত্রে যাইয়া দেখি বরাবরের মতই বসার কুনো জাগা নাই। সবাই চিয়ার দখল কইরা আপন আপন ব্যাস্ত। মাগার আইছি যখন, কিছুতো পান করা লাগবে! হ্যায় আমারে জিগায় কি খাবি? আমি কই কি খামু মানে??? কফি খামু! তারপর হ্যায় হ্যার অর্ডার দিল “চাই লাট্টে”! আমি তো নামটা শুইনাই তব্দা খাইলাম। চাই এর মান শুনছি,লাটে’র নাম শুনছি মাগার "চাই লাট্টে"র নাম তো কুনদিনও শুনি নাই। যাই হোক জিনিসটার নামটা মুখস্ত কইরা লাইলাম। পরে একদিন আমিও চাই লাট্টে টেরাই মারছিলাম। জিনিসটা বেশ ভালো।এর মধ্যে সিস্টেমে বিলখানা দিয়া দিলাম। মাইয়া পাইনের লগে বেড়াইতে গেলে বিলটা তারে দিতে দিলে ব্যাপারটা যে বেয়াদপির পর্যায়ে পড়ে এটলিস্ট এইটা আমি জানি (ফ্রেন্ড হইলেও)। তারপর বাইরে আইসা কাগজের কাপগুলা হাতে লইয়া একটু পার্কের মধ্যে হাটা দিলাম।

ইউনিয়ন স্কয়ার জায়গাটা একটা লাইভ বিনুদনের স্টেজ। সবজাগায় বিনুদন। চিয়ার গুলাতে হোমলেসের অলস বইসা থাকা, স্ট্রিট পারফর্মারের পারফরমেন্স,টায়ার্ড লোকজনের বইসা আরাম করা থেইকা শুরু কইরা পিরিতের পাবলিক গুলার আনলিমিটেড অমৃতসুধা পান করা সহ এমন কুনো জিনিস বাদ নাই যা এই জাগাটায় দেখা যায় না। এইখানে কিছু গঞ্জিকাসেবী ভ্যাগাবন্ডও নিয়মিত থাকে। যাইহোক একটু ঘুইরা ঘাইরা পার্কের চিয়ারগুলাতে আমরাও বইলাম। একখান প্রবলেম হইল, তারে যদিও আমি আমার ভালো একজন বন্ধু মনে করি, তার সাথে আমি তেমন ফিরি না (হাজার হোক, মাইয়া তো...।)। সুতরাং ফিলসফিকাল কয়েকটা টপিক নিয়া ঘন্টাখানেক ডিপ ডিসকাশন করলাম। তারপর কফি শেষ কইরা আপন আপন বাড়িত চইলা গেলাম। কথাও কুনো উচ্চ-বাচ্চনাই। সবকিছু ঠিকঠাক!

ভ্যাজালখানা শুরু হইল যখন যখন আমি ডেট ব্যাপারটা নিয়া ঘাটাঘাটি করা শুরু করলাম। দেখি এই জিনিস্টারে ডেটের ফ্রেমে ফালানো খুবই সহজ। মাইয়া যদি আসলেই ব্যাপারটারে সেইভাবে সিস্টেমে পিলেন কইরা করছে তাইলে তো আমি নাদানের মতন নাদানগিরি কইরা ফালাইছি। ডেটের কিছু ইস্পেশাল প্রোটোকল আছে। ডেটের পরে যদি ডেটে আমন্ত্রিত পার্টি রিস্পন্ড না করে তার মানে হইল ডেট ফ্লপ! আর আমন্ত্রণকারীর ব্যাফুক মানহানি(প্লাস কনফিডেন্সের মুলে কুঠারাঘাত)!!! আর আমি নাদান তারপরের একমাসে অরে একটাও টেক্সট করি নাই।

যাইহোক ব্যাপারটারে টেস্ট করার ডিসিশন লইলাম! সাইকোলজির উপ্রে স্পেশাল ইন্টারেস্ট থাকার কারণে, নিজের চেষ্টায় হাল্কাভাবে বডি ল্যাঙ্গুয়েজপড়া শিকছি (প্রাক্টিচ করি না)। মানুষ ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন কন্ট্রোল করতে পারে মাগার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কন্ট্রোল করতে পারে না (মু.....হাহাহাহা)।

এরপর একদিন কলেজে সুন্দরির লগে দেখা! আর যায় কোথায়!!! তার লগে মুখে কথা কইতেছি আর চোখ দিয়া তার বডি রীড করতেছি (কেউ অন্যভাবে নিলে সে নিজেই বদ!!!)! দেখি, অকি!!!! দাঁড়ানোর একটা ডিস্টিঙ্কট স্টাইল থেইকা শুরু কইরা আমার উপ্রে তার এটেনশন, বার বার কইরা হাত দিয়া চুল কানের পিছনে লইয়া যাওয়া (এইটার মানে হইল “লুক অ্যাট মি/আই নিড ইউ টু নোটিস মি" ) প্লাচ আরও কয়েকটা ইনভলান্টারি মুভমেন্ট দেইখা এইটা সিউর হইয়া গেলাম যে আমার হাইপোথিসিস দেখি পুরা সাপোর্টেড। এরপর তড়িঘড়ি কইরা হ্যার কাছ থেইকা ভাগলাম আর কি!!!

এখন কি হপে! বাড়িত যাইয়া ব্যাফুক গবেষণা করলাম কি করমু এইটা নিয়া! নিজেরে গিল্টি মনে হওয়া শুরু হইল! মাইয়ার উপ্রে আমি না যাইনা বেশ অত্যাচার কইরা ফালাইছি(ফ্রেন্ড যোনড টাইপ কিছু একটা)। ডেটের পরের সিচুয়েশনে রিস্পন্সের জন্য ওয়েট করা খুব পেইনফুল। মাগার কিচ্ছু করার নাই। মাইয়া অসাম সুন্দরি হইলেও বিদেশিনী বইলা কথা! যদিও ভুং-চুং করার জন্য সুন্দরি পারফেক্ট, মাগার বিবেক নামক চুলের জিনিষটা বরাবরের মত এইবারও আমারে বাইন্ধা রাইখা দিল।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৮
১৩টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×