somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের দেশে হবে সেই ছবি কবে......

২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে, আমি কোন যুক্তিতর্ক করতে অথবা নিজেদের চলচ্চিত্রকে ছোট করার উদ্দেশ্য কিছু বলছি না। শুধুমাত্র নিজের মনের ভাবের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
লেখাটি লেখার ইচ্ছে জাগে একটি হিন্দি ছায়াছবি "টয়লেটঃ এক প্রেম কথা"-এর ট্রেইলার দেখে। কেউ না দেখে থাকলে দেখে নিবেন। কিভাবে একটি সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে।


ভারতের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এখনও খোলা আকাশের নিচে শৌচকার্য সম্পন্ন করে। ছবিটিতে এরই এক চমৎকার প্রতিফলন তুলে ধরা হয়েছে। এক টয়লেটের কারণে কিভাবে মানুষকে উজ্জীবিত করা হচ্ছে। যা ভারতের বর্তমান অবস্থাকে প্রতিফলিত করেছে চমৎকারভাবে। সত্যিই ছবিটির ট্রেইলার প্রশংসনীয়। হয়তবা ব্যবসা সফল নাও হতে পারে। কিন্তু নিঃসন্ধেহে ছবিটি প্রশংসনীয়।
আমি সর্বদা বিশ্বাস করি চলচ্চিত্র মানুষের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। হ্যাঁ, সেখানে কিছু অলৌকিকতা থাকতে পারে। কিন্তু চলচ্চিত্র এমন হওয়া উচিত যে, মানুষ ছবিটি দেখে বাস্তবতার সাথে মিলাতে পারবে। বাস্তবতা আর ছবিটিকে একসাথে করতে পারবে। প্রতিটি ছবিতেই এমন একটি বা একাধিক বার্তা থাকা দরকার যা মানুষকে ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করবে, উৎসাহিতে করবে। শুধুমাত্র প্রেম আর এ্যাকশন যে মানুষের জীবন না, মানুষের জীবন আরো বিস্তৃত, আরো প্রশস্ত এই ব্যাপারটা অনেকেই (পরিচালকগণের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি) বুঝতে নারাজ। অনেক কিছুর সমন্বয়ে একটি ছায়াছবি তৈরি হয় জানি, কিন্তু কিছুটা তো বাস্তবতা থাকে দরকার। বছরে এমন কিছু ছবি তৈরি করা দরকার যা মানুষকে কিছু শেখাবে, কিছু বুঝতে সহায়তা করবে।
পাশের দেশে ভারতে এমন অনেক চলচ্চিত্র প্রতি বছর তৈরি হচ্ছে যা মানুষকে শেখায়। একটা তালিকা তৈরি করিঃ চলো পাল্টাই, রামধনু, ফড়িং, বেলাশেষে, বাইশে শ্রাবণ, চতুষ্কোণ, প্রাক্তন ইত্যাদি ইত্যাদি। হিন্দি ছবির দিক থেকে দেখিঃ ৩ ইডিয়টস, পিকে, বাজরাঙ্গি ভাইজান, তারে যামিন পার, রাং দে বাসান্তি, চাক দে ইন্ডিয়া, লাগান, ভাগ মিলখা ভাগ, জলি এল, এল, বি ২, মাঝিঃ দ্যা মাউন্টটেইন ম্যান, লক্ষ্য, নায়ক ইত্যাদি ইত্যাদি। ছবিগুলো সব এ শতকের। সবগুলোই অনুপ্রেরণা জোগায়। মানুষের বাস্তবতার সাথে সম্পর্কিত সবগুলো ছবিই। তালিকা আরো লম্বা।
তবে হ্যাঁ, এমনও ছবি রয়েছে যা দেখার মত না। মানে দেখার অযোগ্য। তবুও উপরোক্ত ছবিগুলো যখন দেখা যায় তখনি ভালো লাগে। ভালো লাগার কোন শেষ নেই।
এই তালিকার সামনে যদি আমাদের দেশের ভালো ছবির তালিকা পাশাপাশি রাখা হয় তবে হয়ত একটু লজ্জাজনক অবস্থায় পড়তে হবে। আমি বলছি না বাংলাদেশে এমন ছবি কেউ তৈরি করছে না। কিন্তু যা হচ্ছে তা নগন্য।
একটা সময় ছিল বাংলাদেশের ছবিগুলো ছিল অনেক উন্নত মানের। এখনও সেই ছবিগুলো দেখে ভালো লাগে। ছবিগুলোকে মানুষ বাস্তবতার সাথে মিলাতে পারত। কিন্তু এই দশকের অথবা শতাব্দীর ছবিতে এমন তালিকা নেই। মানুষ এখন প্রেক্ষাগৃহতে শুধুমাত্র ঈদের সময় অথবা বিশেষ দিনে যায়। হয়ত এর বড় কারণ ভালো ছবি না পাওয়া। তবুও আশা রাখি ছবির মান উন্নত হচ্ছে, হবে। বাংলাদেশের ছবি বিশ্বে ছাপিয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×