somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোটিভেশন নাকি ব্যবসা নাকি মোটিভেশনাল ব্যবসা?

১২ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিষয়টা বর্তমানে আমাদের দেশে ট্রেন্ড্‌স। আগস্ট মাসে যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে "শোক দিবস"-এর ব্যানারে ডুবে থাকত সেখানে এবার এসেছে "সোলায়মান সুখন বনাম তাহসিন্যাশন"। মোটিভেশন নাকি ব্যবসা? প্রথমত আমার স্রোতে গা ভাসাতে আনন্দ নেই। তাই এগুলো নিয়ে লিখতে ইচ্ছে নেই। তবুও দেখলাম যে, সুখন ভাইয়ের সমর্থক তাহসিনের সম্পূর্ণ বিপক্ষে আর তাহসিন ভাইয়ের সমর্থক সুখন ভাইয়ের সম্পূর্ণ বিপক্ষে। আমার মনে হলো, আমিও একটু মতামত প্রকাশ করি। কারো যদি সহায়তা হয়?



(মতামত আমার ব্যক্তিগত। তাই সবার সাথে মিলবে না) "মোটিভেশনাল স্পিচ তথা অনুপ্রেরণামূলক বাণী কাজ করে না। শুধুই সময় নষ্ট" এ কথাটা আমার কাছে যৌক্তিক নয়। আমি তো বলব অনেক ক্ষেত্রে এটি যাদুর মত কাজ করে(সবার ক্ষেত্রে না)। যেন আলাদিনের চ্যারাগ। ঘষতেই মনের দৈত্যকে আমার মত করে চালাতে পারব। যা চাইব তাই পাইব। তবে এ ব্যাপারে নিজের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কারণ চ্যারাগ তো আর আকাশ থেকে দৈবভাবে আসবে না। বাহির থেকে আপনার মনের ইচ্ছাকে আরো প্রবল করতে অনুপ্রেরণা নিতেই পারেন। তবে এইটা লিমিটেড। কিন্তু আপনার ভেতর থেকে যে মোটিভেশন আসবে সেটা হবে আনলিমিটেড। সুতরাং মোটিভেশনাল স্পিচকে অবজ্ঞা করার কোন কারণ আমার কাছে নেই। যদি কেউ বলে মোটিভেশনাল স্পিচ শুনে কে কি করেছে? একটু এই ইউটিউব চ্যানেলটি ঘুরে আসুন। এবার এটিদেখুন। প্রথম চ্যানেলটির ভিডিও দেখে দ্বিতীয় চ্যানেলটি নিজের ভিতর অনুপ্রেরণা পায়। সেদিন থেকে ইউটিউবিং করে আজ এ পর্যায়ে। মনে রাখবেন, সফলতা আপেক্ষিক। কারণ দ্বিতীয় চ্যানেলের এ্যডমিনের কাছে এটিই তার সফলতা। আবার অনেকের কাছে দিন শেষে পরিবারে মুখে হাসি ফোটানোও সফলতা।

তবে আমার কাছে স্পিচের বিনিময়ে অথবা স্পন্সরশিপের বা অর্গানাইজিং-এর জন্য যাই হোক না কেন, টাকা নেওয়াটা ভালো লাগে না। এর কারণ আপনার কারণে কেউ যদি এতটুকুও জীবনকে সফল করতে পারে তবে সে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে। টাকাকে মানুষ বিনিময়রূপেই চেনে। এর অন্য কোন রূপ নেই। ফলে আপনার স্পিচে কেউ মোটিভেশন পেলেও আপনাকে ভুলে যাবে কেননা সে তো আপনাকে বিনিময়ে কিছু দিয়েছে। আর যদি কোন কাজ হয় বিনিময়হীনভাবে তবে যেই কাজটি করা হয় এবং যে করে, উভয়টিই অমর হয়ে থাকে। আর জানা মতে যারা স্পিচ দেয় তারা প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত। ফলে এ স্বল্প টাকা না নেওয়াটাই উত্তম।

এরপর আসি সেলফ ব্র্যান্ডিং। সকলেরই উচিত সেলফ ব্রান্ডিং করা। এর মধ্যে খারাপ কি আছে? সবাই পারে নিজেকে তুলে ধরতে। আর এটাই যদি সেলফ ব্রান্ডিং হয় তবে ক্ষতি কি? নিজস্ব সত্ত্বাকে তুলে ধরার মাধ্যমে যদি অন্যকে তার নিজের সত্ত্বা খুঁজে বা তুলে ধরতে অনুপ্রাণিত করা যায় তবে খারাপ কিসে? নিজের কাহিনীকে মানুষ খুব কাছে থেকে বুঝতে পারে, শিখতে পারে। আর এর মাধ্যমে যদি ভালো কিছু করা যায় তবে ভালোই। দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয় তবে দাগই ভালো (সার্ফ এক্সেল)

ব্যবসা করলেই সফল আর চাকরি করলেই চাকর....... বাদ দিন এই ভাবনা। কেননা ব্যবসা করেও সফল হওয়া যায় আর চাকরি করেও। কারণ সফল হওয়ার ক্ষেত্রে সুখটাই অধিক বিবেচ্য। যদি চাকরি করা খারাপই হতো তবে সুন্দর পিচাই, শেরিল স্যান্ডবার্গ, টিম কুক, সত্য নাদেলা সবাই-ই নিজের কোম্পানি খুলে বসতেন। তাই চাকরি আর ব্যবসা দিয়ে পার্থক্য করা এখন বন্ধ করুন।



আপনি যখন কোন আইডল হয়ে উঠবেন তখন আপনার কিছু গুণ ছেড়ে দিতে হয়ই। তন্মধ্যে রাগান্বিত হওয়া। সবার ক্ষেত্রে রাগ মানায় না। বেশি উত্তেজিত হয়েও যদি রাগ দেখান আপনি তবেও দর্শক আপনার রাগটাই দেখবে। তাছাড়াও রাগের কোন ভালো ফল দেখি না। হ্যাঁ, তবে কালভদ্রে কখনো রাগ দেখানো যেতে পারে। তবে পাবলিকলি না।

সবশেষ, আমরা সবাই-ই নক্ষত্র। যা সব সময়-ই বিদ্যমান। কিন্তু সেটার দেখা সবাই সব সম্য পায় না। কেউ সকালে দেখে সূর্যকে আবার কেউ রাতে দেখে তারাকে। তবে উভয়ের ভূমিকাই বিশেষ। তাই চেষ্টা করব বিশেষ কিছু হতে। হয়ত সূর্য হয়ে কাওকে আলো দেব, না হয় তারার মতো একাকী জ্বলব। অন্যের কথা না তো ভালো না তো খারাপ সেটা শুধুই একটা তথ্য। ভালো খারাপ আমার মধ্যে।

আর হ্যাঁ, আমার কাছে মোটিভেশন ব্যবসা। তবে ব্যবসাটা মোটিভেশন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×