somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কৃত্রিম টেলিপ্যাথি, মন নিয়ন্ত্রণের মারণাস্ত্র! - ৩

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দ্বিতীয় পর্ব

১৩। ১৯৮১ সালে এলডন বায়ার্ড রায়ট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক যন্ত্র তৈরি করেন। তিনি বলেন, একটা নির্দিষ্ট মাত্রার ও নির্দিষ্ট ঘনত্বের ক্ষমতাসম্পন্ন ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক সিগন্যাল প্রাণীকে শোয়াতে, বসাতে বা গড়াতে পারে। ১৯৮০-১৯৮৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক অস্ত্র তৈরীর প্রজেক্টে বায়ার্ড কাজ করেছেন। তিনি কাজ করতেন বেথেসডার আর্মড ফোর্সেস রেডিওবাইয়োলজি রিসার্চ ইন্সটিটিউশনে।

তারা বিভিন্ন প্রাণির উপর গবেষণা চালান। তারা বিভিন্ন ব্রেন সিগন্যাল পড়তেন এবং কিভাবে তাদের উপর ইফেক্ট তৈরী করা যায় সেসব নিয়ে গবেষণা করতেন। তিনি ছিলেন একজন মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ। মানুষের ক্ষেত্রে এসব সিগন্যাল বেশ দুর্বল, তবে চাইলে কিছু সময়ের জন্য একজন মানুষকে অচেতন করে রাখাও সম্ভব।

১৪। ১৯৯৫ সালে চার-তারকাখচিত ইউএস বিমানবাহিনীর জেনারেলদের বার্ষিক সভায় (যাকে CORONA বলা হয়) ১০০০ পটেনশিয়াল প্রজেক্ট জমা পড়েছে কিভাবে শত্রুপক্ষকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা যাবে অথবা ঘুমাতে দেয়া যাবে না এর উপরে। বিভিন্ন ধরণের শাব্দিক ওয়েভ, মাইক্রোওয়েভ, ব্রেইন ওয়েভ মেনিপুলেশান এর উপর ভিত্তি করে ঘুমের প্যাটার্ন কিভাবে বদলানো যায়, এসবই ছিল এসব প্রজেক্টের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

১৫। ১৯৮৯ সালে সিএনএন-এর ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক মারণাস্ত্রবিষয়ক এক প্রোগ্রামে বিভিন্ন ইউএস সরকারী ডকুমেন্ট দেখানো হয় যেখানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এসব অস্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় এবং D0D-র বরাত দিয়ে বলা হয় ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে হরহামেশাই এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

১৬। প্রজেক্ট গ্রিল-ফ্লেম, ১৯৯২ সালঃ
এর মাধ্যমে সাইকিক সামর্থ্য ব্যবহার করে দূর থেকে ইন্টারোগেশান করার প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়। টার্গেট ব্যক্তিকে দূর থেকে পেনিট্রেট করার মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেয়া হয় এর মাধ্যমে।

দুই ভাগে দুটি টিম এই প্রোগ্রাম অপারেট করে, NSA-এর এক গ্রুপ খুব গোপনীয়তার সাথে কাজ শুরু করে ম্যারিল্যান্ডের ফোর্ট জর্জ মিডেতে, আরেক গ্রুপ SRI তে। তবে পরবর্তীতে ডিফেন্স সেক্রেটারী এটা বন্ধ করে দেয় এই ভয়ে যে জনগণ জেনে গেলে বাজে প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তে হবে। কিন্তু এ প্রজেক্টের অন্যতম ব্যক্তি ডেমস এখনো ব্যক্তিগতভাবে এ কাজ করে যাচ্ছেন, সাই-টেক নামে একটি সংস্থা গড়েছেন, যেটি সরকারের সাথে চুক্তির অধীনে কাজ করছে। এর মাধ্যমে আমেরিকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কাছাকাছি তিনি থাকতে পারছেন এবং কাজ হচ্ছে সম্পূর্ণই নিউরোলজিক্যাল ফিল্ডে। তিনি এনবিসির “The Other Side” প্রোগ্রামে বলেছেন, আমেরিকান সরকার এক ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রের মাধ্য্যমে জনগণের ভিতরে চিন্তা ঢোকাচ্ছেন। প্রোগ্রামটি সম্প্রচারিত হয়েছে ১৯৯৫ সালের এপ্রিল মাসে।

১৭। ১৯৯৪, “Less Than Lethal” মারণাস্ত্রঃ
এ প্রযুক্তি দিয়ে লেসার রাইফেল বা নিম্নমাত্রার ইনফ্রাসাউন্ডের মাধ্যমে ডাইরিয়া বা নাউসিয়া রোগকে ট্রিগার করা হয়।

একুশ শতকের যুদ্ধের সংজ্ঞায় স্বল্প মাত্রার সংঘর্ষের ক্ষেত্রে এই “Less Than Lethal (LTL)” বা “non-lethal” মারণাস্ত্রকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। আর এই কালো প্রযুক্তির পেছনে পেন্টাগন প্রায় বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করছে। ১৯৯৬ সালের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার বরাত দিয়ে জানা যায় প্রথমদিকে ব্যক্তির বিপরীতে এই LTL মারণাস্ত্র কাজে লাগানো হলেও এখন আইন-শৃংখলা বিভাগের জন্যও এই প্রযুক্তি লিগ্যাল করা হয়েছে।



তাহলে বোঝাই যাচ্ছে আর নয় ইট-পাটকেল-ককটেল-একে ৪৭ রাইফেল বা থ্রিন্টথ্রি বন্দুক, এখন সময় স্নায়ুযুদ্ধের বা মনের যুদ্ধের!




রেফারেন্সঃ এটি লেখা হয়েছে ব্লগস্পটের একটি লেখা থেকে।http://artificialtelepathy.blogspot.com/2006/06/telepathy-and-technology-of-mind.html
Click This Link

৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×