ভূত-এ বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা!!!!!
কিন্তু যদি বলি এক ব্রিটিশ মেজর এর ভূত এখনও বাস করছে এবং কাজও করছে পুরোদমে আপনি কি বলবেন???
ভূত হয়ে বাস করা লোকটির নাম মেজর চার্লস বার্টন, ভারতীয় উপমহাদেশ এ 40th Bengal Native Infantry তে কাজ করতেন।
পোস্টিং ছিল ভারতের রাজস্থান এর কোটা নগরীতে। থাকতেন ব্রিজ-রাজ ভবন প্যালেস এ। ভবনটি মূলত ব্রিটিশদের থাকার জন্যই ব্যবহার করা হত।
ভবনটি বর্তমান এ একটি হোটেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যাতে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ৭টি রুম আছে।
মেজর চার্লস বার্টন এর মৃত্যু কাহিনী জেনে নেওয়া যাক::::::::::
১৮৫৭ সালের মে মাস, দীর্ঘ ১৩ বছর কোটায় কাটানোর পর উচ্চ পর্যায়ের আদেশে নিমুচ শহরে বদলি হন। সময়টি উত্তাল সিপাহী বিদ্রোহের সময়। ডিসেম্বর-এ তিনি কোটার রাজার অনুরোধে কোটায় ফিরে আসেন দুই ছেলে আরথুর আর ফ্রান্সিসকে নিয়ে, তার স্ত্রী আর অন্য সন্তানরা নিমুচ থেকে যায়।
১৫ তারিখ তিনি দেখেন একটি বাহিনী এগিয়ে আসছে ভবন এর দিকে, ভাবলেন হয়ত রাজাই বেড়াতে আসছে কিন্ত মুহূর্তেই বিদ্রোহীরা ভবনের দখল নিতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি দুই ছেলে সহ ভবনের একটি অংশের উপর তলায় আশ্রয় নেন কিছু গোলাবারুদ সহ। অপেক্ষায় থাকে রাজার সাহায্যের। লুটপাট শুরু হলে তারা প্রায় পাচ ঘন্টা গোলাগুলি করে নিরাপদ রাখে নিজেদের। কিন্তু কতক্ষণ,,, ছেলেদের বাচাতে বাবা নিজেকে সপে দেবার কথা ভাবে, কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ায় ছেলেরা। শেষ পর্যন্ত তারা রুমে প্রার্থনা শুরু করে। এপর্যায়ে বিদ্রোহী সৈন্যরা মই বেয়ে উপরে আসতে শুরু করলে তারা নিচে চলে যায় এবং সেখানই তাদের হত্যা করা হয়।
মেজর চার্লস বার্টন এর ভূত:::::::::::
বেতের লাঠি হাতে একজন লোক কিংবা লোকের অবয়ব যে কিনা আদেশ দেয় - ঘুমিয়োনা, ধূমপান কর না। যে কিনা গার্ড-এর গালে চড় মেড়ে জাগিয়ে তোলে যদি সে ঘুমায় কিংবা ঝিমায়!!!!!!!!!
আর অতিথিরা এ ব্যাপারে বলে - তারা এক প্রকার অস্বস্তিকর পরিবেশের মুখোমুখি হয়। আর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে গার্ডরা ভেবে নিয়েছে এটি মেজর বার্টন এর ভূতই হবে।
যেকোন মৃত্যুই দুঃখজনক, তবে আরও দুঃখজনক কারো শত বছর পরাধীন থাকা। সত্যিই এটা দুঃখজনক যে কোটা মাত্র তিন মাস বিদ্রোহীদের ছিল, মার্চ মাস ১৮৫৮ এ ইংরেজরা আবার কোটা দখল করে নেয়। তখন বার্টনকে যথাযোগ্য সামরিক মর্যাদায় পুনরায় দাফন করা হয়।