দালালদের মনে আজ ভীষণ দ্বিধা । এক পক্ষ গোড়া দালাল । তাদের অভিযোগ পাকিস্তানকে যে বাংলাদেশ হারাতে পারেনা, সেই বাংলাদেশকে ভারতের বিরুদ্ধে জয়ী দেখতে চাইনা। যেন বাংলাদেশের বিজয় মানে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের একটা ছায়ার বিজয় হয়।
আরেক পক্ষ নরম দালাল । আওয়ামী-ভারতের শতর্বষের বাঙালি-রবীন্দ্র মার্কা ভালবাসা আর মিত্রতার বন্ধন দেখলে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে তফাৎ করা কঠিন হয়ে যায়। ভারতের হাতে তাদের দেশের জন্ম বললে আবার কপট রাগও দেখায়। বাংলাদেশ ভোগ করার অধিকার শুধু আওয়ামীলীগ ও তার সমর্থকদের, নিজেদের অন্তর্গত দালাল মানসিকতা ধামাচাপা দিয়ে জয় বাংলা বলে মাঝে মাঝে চিৎকার করে ওঠে । আওয়ামীলীগেরই বাংলাদেশ বা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের পিছনে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ অবদানকে নিমক-হালালের মতই স্বীকার করে। বাঙালিত্ব ফলানোর জন্য জোরে শোরে দু'বাংলার মিল বন্ধ না করতে পারলে পাকিস্তানের ভূত তাড়ানো যায়না। পাকিস্তানের ভূত সরানোর জন্য ভারতের দালালিটা খুবই দরকার তাদের।
বাংলাদেশটা ছিল প্রিয় ভারতের তরফ থেকে বঙ্গবন্ধু ও তার দলের জন্য সামান্য উপহার । সেই উপহারের ভাগ অন্য কেউ নিতে পারবেনা, বাংলাদেশ মানেই আওয়ালীগ, আওয়ামীলীগ মানেই বাংলাদেশ। আমার আপনার অধিকার নেই বলার বাংলাদেশ আমার দেশ। একটা আত্মসম্মানহীন দালাল রাষ্ট্র খেলা জেতার আগেই ভারত বিরোধীতা করে নিমক-হারামি করবে সেটা তো মানা যায়না।
ভারতের বাঙালিরা নিজেদের ভারতীয় বলে পরিচয় দেয়, কিন্তু বাংলাদেশিরা গর্ব করে নিজেদের পরিচয় দেয় বাঙালি বলে। এখানে বাংলাদেশের স্থান কোথায়?
ভারত জিতলেও বাঙালির জয়, বাংলাদেশ জিতলেও বাঙালির জয়। পূর্ব পাকিস্তানী সীমান্ত দিয়ে নতুন জাতীয়তাবাদ পয়দা করে ভারত বিদ্বেষ ছড়াবেন না দয়া করে। আমাদের ভারতীয় বড় দাদারা বিশ্বকাপটা জিতে বাঙালি জাতির মুখ উজ্জ্বল করুক এই কামনা রইলো।
জিতবে ভারত জিতবেই, বাঙালির জন্যই জিতবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:৪৬