মরা কাটালেও ফ্যাকাশে জোছনা হয়! ভাটির টানে কলমিলতা মেলে ধরে তার জলসিক্ত শেকড়! নয়া পানির টান আসলে উজানে ঠেলে উঠে লৌকিকতার মায়াবীমাছ। পলকহীন সে চোখে কেবল আয়নামহল। একবার ভুল করেও যদি মরমে উঠে ব্যাথা, মহলে গিয়ে তুমি শুনে নিও তার ধ্বনি-প্রতিধ্বনির অনুরণন। সেখানে শূন্যতা নেই, শেকড় নেই, ফিরে আসার অপেক্ষায় কেউ নেই; তবুও মধ্যাহ্নেও তো আধাঁর নামে, কখনও কখনও! সূর্যেরও গ্রহণ হয়। আর চাদেঁর অমাবশ্যায় জোছনাও ছড়ায়। ভালবাসায় কিংবা বিশ্বাসে।
মুছে গ্যালে প্রিয়তম ঝড়ের দিন, ঘরও উড়াল দেয়। আমি দেখেছি ঘরহীন সম্রাজ্যের অধিপতি। আকাশে মেঘ করে এলে সবুজ কচুপাতার হিরম্ময় বনানীতে সর্পিল মাছেদের আনাগুনা প্রবল হয়। গোলপাতার ছাউনিতে বাসা বাধে বুড়ো এক বুনো বিড়াল। ঘরহীন সম্রাজ্যের অধিপতি তার বাম হাতে বুনো বিড়ালকে উম দিতে দিতে ডান হতে পাললিক মাছেদের উদ্দেশ্যে ছুড়ে মারেন তার ঝলকিয়া জাল। সেই জালে মিশে যায় নয়া পানি, ভাঙ্গণ উঠে, প্রথম কামনার মত করে। কাদায় মিশে যায় বোকা মুখ, পেশিতে তখন জলোচ্ছাসের দাপট।
জলডাঙ্গায় তখনও ভোর নামেনি, আয়নামহল এখনও আছে, মরা কাটালের রাত শেষে প্রার্থণায় কেবলই লৌকিকতার মায়াবীমাছ, নিচু ভালবাসায় বিশ্বাসও কি ভেঙ্গে পড়ে?