,
তাইতো হামরা পরিবার প্রতি ৩০ কেজি চাল ও ৫০০ টেহা লইয়া আবেগে কাইন্দালছি...হামরার পরিবারে বছরে ১২ কেজি চাল হলেই চলে। ১ মাসে কেজির বেশি খাইতে পারিনা। আর এখন হামাদের হাতে আছে ৩০ কেজি চাল...। বানের জলে জমি ডুবলে আমাদের বা কি ক্ষতি? সারা বছরের খোরাকী আমাদের আছে...তার উপরে ১৮ কেজি উদবৃত। তাইতো আমরা আনন্দে বাক বাকুম করে সময় কাটাই। সেই জসিম উদ্দিনের আমলে মহাজনের দেওড়ি ঘরে থই থই ভরা বর্ষায় সারেন গান বেজেছিলো।। দেশে গণতন্ত্র গিয়ে ভোটবিহীন নির্বাচন আসলো। আর আমরা সারা বছর মাঠে কাজ করে বছরের খোরাকীর ব্যবস্থা করতে পারিনি... তাই সারেনের গানও শুনা হয়নি।।আজ হবে ।।সব হবে।।ফুলে ফুলে সেজেছে মহাজনের দেেওরি ঘর...হাওর অঞ্চলে সবার ঘরে শুধু সুখ সুখ। আজ ৩০ কেজি চালের সাথে আমরা ৫০০ টাকা করেও পেয়েছি তা দিয়ে দুধ ডিম কিনে খাচ্ছি...ভাবছেন রসিকতা করছি...না মোটেও নয়...এসবই সত্য...হাওরের বাসিন্দাদের কোনো দুঃখ নেই।। আমাদের আরো সুখের কথা চিন্তা করে হাওরের উন্নয়ন ব্যবস্থাপনায় যারা নিয়োজিত আছেন তেনারা সকলে #কানাডা সফরে গেছেন। হয়ত নায়গ্রা জল্প্রবাত থেকে কিছু শিখে আমাদের হাওয়রের জন্যে ব্যবহার করবেন। বিশ্বাস করুন তারা শুধু নায়েগ্রা দেখবেন ভায়েগ্রা নয়। এই বার আমাদের উন্নয়ন ডেকানোর কেউ নেই। কারণ এই বানের জলে আছে #ইয়োরিয়াম । তার দাম নাকি মেলা টাকা। আপনি জানেন মেলা টাকা কত টাকায় হয়। কেন জানবোনা...এইতো ১০ টা ১০০টাকার নোটইতো আমাদের কাছে মেলা টাকা। সরকারের এক মন্ত্রী বলেছেন পানি থেকে ছেকে ইউরিনিয়াম সংগ্রহ করে বিক্রি করা যাবে। মোহনগঞ্জ থেকে ছাকনি কিনেছি...ধান গেছে কি হয়েছে ইউরিনিয়ামতো পেয়েছি...
এবার মেলা টেহার মালিক হবনে...
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩