somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের নারীরা কবে বিশ্বমানের হবে ?

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


স্মরণকালের সবচেয়ে বড়ো নারীবাদী মিছিলটি হয়ে গেলো বিশ্বব্যাপী । শুরুটা ওয়াশিংটনে হলেও মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরে বিশ্বের নানান শহরে । তবে এই মুহূর্তে ঘুমিয়ে আছে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের নারীরা । হয়তো সকালে কি নাস্তা বানাবে তার কথা চিন্তা করছে বা ষ্টার প্লাস সিরিয়ালে কি ঘটলো আজ তা নিয়ে গবেষণা করছে । এই নারীরা কিভাবে বিশ্বের সাথে তাল মিলাবে ? যেখানে বিশ্বের খবর গুলো এরা পায় খবর যখন ইতিহাস হয়ে যায় তখন । আমি জানি সকাল হতে হতেই ফেসবুকে ঝড় উঠবে এই নারীবাদী আন্দোলনের । কিন্তু এতো দেরিতে কেন ? কি সমস্যা আমাদের নারীদের মাঝে ? নাকি এখনো আমাদের নারীরা পরাধীন ? সমস্যাটা আমাদের নারীদের জীবন ধারায় । বেশির ভাগ আমাদের জীবন যাত্রা বা ফেসবুকে পোস্টিং নির্ভর করে অন্যের উপর । আমরা আগে দেখি কোন খবরটা বেশি শেয়ার হচ্ছে বা কোন খবরটা বেশি লাইক পাচ্ছে । এরপর হয়তো নিজে লাইক দেই বা শেয়ার করি । শেষ কবে আপনি নিজে একটা খবর সবার আগে পোস্টিং দিয়েছেন ? মনে পড়ছে না ? এর কারণ আপনি এই ধরণের কিছু হয়তো কখনোই করেন নি ।



সারাটাদিন নিউইয়র্কে নিজের এপার্টমেন্টে বসে অপেক্ষা করছিলাম কখন দেখবো বাংলাদেশ থেকে কেও এই ধরণের নারী জাগরণের সাথে নিজেকে যুক্ত করেছে । ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেলেও কাওকে পেলাম না । পাশের দেশ ইন্ডিয়া আর নেপালের কিছু নারীকে দেখে ভালো লাগলো সোশ্যাল মিডিয়াতে । কিন্তু দিল্লী বা নেপালের নারীরা যদি এই আন্দোলনে নিজেদের যুক্ত করতে পারে তবে আমাদের ঢাকার নারীরা কোথায় ? একজনও কি এই মুহূর্তে সি এন এন বা বি বি সি দেখছে না ? হয়তো তাই । যে মুহূর্তে রাতের খাবার প্লেট ধুতে ব্যাস্ত থাকে রমণী সেই মুহূর্তে আমার এই রকম আশা করাটা একটু বেশি বেশি ।



আমার দুই মেয়ে । একজনের জন্ম লন্ডন শহর আর একজন মার্কিন নাগরিক । এই মুহূর্তে মায়ের সাথে দেশে আছে । মন খারাপ করে আমার স্ত্রীকে ফোন দিলাম । বললাম আমার একটা ছবি চাই ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য । স্যাম্পল দিলাম নেপালের নারীদের একটা ছবি । ওই দিক থেকে শুনলাম " বাচ্চা ঘুমাচ্ছে এখন সম্ভব না " তবে অনেক পীড়াপিঁড়িতে ছবি পেলাম । টিভির স্ক্রিনে দেখলাম কিভাবে বাচ্চা কোলে নিয়ে মেয়েরা মিছিল করছে বক্তিতা দিচ্ছে । মনটা আরো খারাপ হলো । কি আছে এই নারীদের যা আমাদের নারীদের নেই ? ওয়াশিংটনের এই নারীরা এখনো পুরুষের চেয়ে কম বেতনভুক্ত এখনো এরা নিজের ইচ্ছে মতো গর্ব ধারণ বা গর্ভপাত কোনোটাই করতে পারে না । এখনো এই নারীদের পণ্য হিসেবে দেখে সমাজ । তবে এরা সবাই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রে থাকে । যেখানে আমাদের নারীরা প্রতি রাতে উড়াল দেবার স্বপ্নে বিভোর থাকে ।



কি পাচ্ছে না আমাদের নারীরা ? প্রধানমন্ত্রী একজন নারী । বিরোধীদের সব নেত্রী নারী । তাহলে কেন এই নারীরা পিছিয়ে ? কেন নারী সংগঠন গুলুর ফেসবুক পেজে পুরুষ সদস্য বেশী ? এই লজ্জা নারীদের না পুরুষের আমার জানা নেই ? আজকের এই ৱ্যালি শুরু হয়েছিল নারীদের অধিকার নিয়ে । শেষ হচ্ছে প্রায় সব ধরণের অধিকার আদায়ের ৱ্যালি হিসেবে । নারীদের শুরু করা আন্দোলন হটাৎ করেই সামগ্রিক আন্দোলনে রূপ নিলো । নারী আবার প্রমান করলো সবকিছু ধারণ ক্ষমতা কেবল তারই । আমাদের সমাজের ঝিমিয়ে পড়া নারীদের নাড়া দেবে কে ? যারা এখনো বসে থাকে পাশের নারী কি করছে সেটা ফলো করার জন্য । কবে এরা নিজেদের ভালো নিজেরা বুজবে ? আমার জানা নেই ?



আজকে এই জঘন্য নিচ্ছুপতা আবার প্রমাণকরলো আমাদের নারীরা কোনোভাবেই বিশ্বমানের না যদিও সযোগ সুবিধা অন্যের চেয়ে বেশি পাচ্ছে । ভাবতে খুবই খারাপ লাগছে । আমার দুইটা মেয়ে । এরাও কি বিশ্বমানের হবে না ?

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:১১
৯টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×