somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিবর্তনে বঙ্গবন্ধু ও তৈলাক্ত বাঁশ

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কর্পোরেট কমিউনিকেশন এর একটা ট্রেনিং আছে যেখানে অনেকগুলো হাই অফিসিয়াল লাইন ধরে দাঁড়াবে । সবচেয়ে পেছনের যে জন উনি সামনের জনকে কানে কানে একটা শব্দ বলবে । এভাবে কানে কানে শব্দটি সবচেয়ে সামনের জন উচ্চস্বরে উচ্চারণ করবে । ধরুন লাইন এর পেছনের জন যদি কানে কানে " সানি লিওনি " শব্দটি বলে তবে সবচেয়ে সামনের জন হয়তো উচ্চস্বরে বলে উঠবেন " আস্তাগ ফিরুল্লাহ " । দেখলেন কিভাবে কানে কানে সানি লিওনি আস্তাগ ফিরুল্লাহ হয়ে গেলো । এটাকে বলা হয় মিস কমিউনিকেশন ।

ধরুন প্রধানমন্ত্রী ১৫ই অগাস্ট পালনের একটা রূপরেখা কানে কানে সবাইকে বললেন । যেহেতু উনি দেশের প্রধানমন্ত্রী তাই উনি সরাসরি দলীয় ব্যাপারে বলবেন না । সুতরাং কানে কানেই বললেন । আর দেখা গেলো এই রূপরেখায় একজন কর্মী রাস্তায় হায় মুজিব , হায় মুজিব করতে করতে নিজের বুকে চুরি চালিয়ে দিচ্ছে । এটাও একই ধরণের মিস কমিউনিকেশন । খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার । কারণ আসে পাশে বেশির ভাগ আমরা সবাই তৈলাক্ত বাশ বেয়ে উপরে উঠার চেষ্টারত ।

বঙ্গবন্ধুর দোহিত্র দেশের প্রথম ডিজিটাল কার্টুন নভেল "মুজিব" বের করলেন । কিন্তু কি যেন এক অদ্ভুত কারণে এই মুজিবের মুখে তিল নেই । কি কারণে এতো বড় একটা তিল উধাও হয়ে গেলো আমার জানে নেই । জেমস বন্ড মতো সুপার হিরোদের মুখে তিল থাকতে পারলে বঙ্গবন্ধুর তিল কি বেশ বেমানান ? আসলে কার্টুনিস্ট ভদ্রলোকরা সেই একই তৈলাক্ত বাশ বেয়ে উপরে উঠার চেষ্টারত ছিলেন । একটা তিল তুলে দিয়ে যদি বিলটা বেশি নেয়া যায় খারাপ কি ?

বিবর্তন অবস্যই হবে । ডারউইনের বিবর্তন বাদ ছিটকে গেলো । এতো সামান্য বঙ্গবন্ধুর মুখের তিল বা মুজিব কোটের কালো রং । কিন্তু এই বিবর্তনের শেষের জনের মুখ থেকে যেন নাউযুবিল্লাহ বা আস্তাগ ফিরুল্লাহ না বের হয় । এটা খেয়াল রাখলেই চলবে । কারণ ঐটা মিস কমিউনিকেশন না বরং ঠিক শুনে নিজের মতো করে আচরণ করা ।

ব্রিট্রিশ রাজ্ পরিবারের পোশাক আশাক বা আচার আচরণ নিয়ন্ত্রিত হয় হাজার বছরের ট্রেডিশন অনুযায়ী । যেমন ধরুন রানীর শরীরে কেও হাত দিতে পারে না । অথবা রানীর পাশে কাওকে বসতে হলে নির্দিষ্ট দুরুত্বে বসতে হয়। এইসব আরকি । এই ধরণের সূচি বায়ু ধরণের আচরণ ব্রিটিশরা বেশ পছন্দ করে । তারা এ নিয়ে রীতিমতো গর্ভ করে । কারণ কিছু না কিছু নিয়ে তো গর্ব করতে হবেই । রবীন্দ্রনাথের স্বত্ব ছিল বিশ্ব ভারতীর কাছে । এরপর এই স্বত্ব তারা ছেড়ে দেয় । ফলে এখন রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প অবলম্বনে পর্ন ছবি বানাতেও বাধা নেই । কিন্তু ব্রিটিশরা তাদের রাজা রানীর স্বত্ব এখনো ছাড়েনি । বরং আরো ভালো ভাবে আঁকড়ে ধরে আছে । তারা খুব একটা খারাপ আছে বলে মনে হয় না ।

মানুষ ভেদে বিবর্তন অত্যন্ত আপেক্ষিক ব্যাপার । আপনি যদি দেশের দক্ষিণ দিকে যান দেখবেন ঐখানে অনেকে সকাল বেলা নেশা জাতীয় দ্রব্য গুল দিয়ে দিনের শুরু করে । আপনার কাছে অবাক মনে হলেও ঐটা উনাদের অঞ্চলে বেশ সমাদৃত । সুতারং পরিবেশ বা অঞ্চল ভেদে একই আচরণ বেশ ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু ঢাকা শহরে যদি কেও দিনের বেলা আপনার সামনে মুখে তামাকের গুল পুড়ে দেয় । এটা অবস্যই সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপিয়ে ফেলবে মুহূর্তে ।

সুতরাং তৈলাক্ত বাশ বেয়ে উপরে উঠার চেষ্টা একেক জনের একেক রকম । সমস্যাটা আসলে মানুষের চারিত্রিক আচরণে না তৈলাক্ত বাঁশে তা ভাবার বিষয় । কারণ বাঁশই যদি না থেকে তবে সবাই নানান ভাবে উঠার চেষ্টা থেকে সরে আসবেন । সরকার বাঁশের পরিবর্তে সিঁড়ি বানিয়ে দিতে পারে সবাইকে । ধাপে ধাপে সবাই এগিয়ে যাবে । ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৬
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×