এক.
- শফিককে নাকি কুত্তায় কামড় দিয়েছে
- তাই নাকি? কবে?
- গতকাল
- হুম, পত্রিকায় দেখলাম শহরে কুত্তার উপদ্রব বাড়ছে
- আরে না সেইজন্যে না
- কিজন্যে কামড়েছে তুই জানলি ক্যামনে?
- শফিকই বলেছে
- ক্যান কামড়েছে
- কোন এক মন্ত্রীকে নাকি কুত্তা বলে গালি দিয়েছিল শফিক। সেটা শুনেই হঠাৎ ক্ষেপে ওঠে কুত্তাটা
- কোন মন্ত্রীকে?
- জহুরুল ভাই, তামসা করো আমার লগে? কোন মন্ত্রী জানো না তুমি?
দুই.
- হালার শফিক্যার মাথায় রক্ত উঠছে
- ক্যান, আবার কি হইছে?
- ওর মাথা থেকে উদ্ভট সব আইডিয়া বাইরাইতাছে
- কি রকম?
- ও প্রবাসী মন্ত্রনালয়ের নতুন নাম প্রস্তাব করছে
- এখানে উদ্ভটের কি দেখলি? মন্ত্রণালয়ের নাম চেঞ্জ হয় না? কয়দিন আগেই তো যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নাম বদলাইলো
- এইডা হলো তোমার সমস্যা বুঝলা জহুরুল ভাই। অর্ধেক কথা শুইনাই খেইপ্যা যাও
- ভুল কি বললাম বল
- ও কি নাম প্রস্তাব করছে জানো প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের?
- কি?
- কামলা মন্ত্রণালয়
- কী?
- তই আর কইতাছি কি?
- কুত্তায় তো কামড়াইছে। ওরে এবার প্রবাসীরা না থাপড়ায়...
- ওর কিন্তু লজিক আছে কথায়। এক্কেবারে নিউইয়র্কের বাঙালি পাড়ায় বইস্যা মন্ত্রিসাব সমস্ত প্রবাসীদের কামলা কইলো, কোন রিয়্যাকশান শুনছো তুমি প্রবাসীদের? তার মানে কি? মানে প্রবাসীরা মন্ত্রির মত মাইন্যা লইছে। শফিক্যারে তুমি দোষ দিবার পারো না..
- তোর এতো লাগছে কেন?
- আমার তিন মামা আছে আমেরিকায়। বুয়েট থেকে পাস করে গেছে। ওখানে ইউনিভার্সিটিতে পড়াই একজন। অন্যেরাও প্রেস্টিজিয়াস লাইফ লিড করে। বাপ্পি ভাইদের কথা তো তুমি জানোই। মাইক্রোসফটে কাজ করে। এখন তোমার আত্মীয়-স্বজনরে যদি কেউ কামলা বলে, তোমার কেমন লাগবো কও?
তিন.
- প্রবাসীদের কথা বলছিস, টক শোর বক্তাদের কি বলবি?
- টক শোতে তো তুমুল সমালোচনা হচ্ছে
- সমালোচনা হচ্ছে ঠিক আছে, কিন্তু আলোচকদের মন্ত্রি কি বলেছে শুনিসনি?
- শুনিনি, পত্রিকায় দেখলাম
- টক শোর বক্তাদের তো কিছু একটা করা উচিত, নাকি?
- কী করবে তারা? তীব্র প্রতিবাদ তো জানাচ্ছে
- আরে ধুর তোর প্রতিবাদ.. এইসব প্রতিবাদে কিছু হয় না-কি
- তাইলে কি করবে এরা?
- কিছু একটা করা উচিত.. আমার মনে হয় এইডা নিয়ে কথা বলতেও লজ্জা পাচ্ছে টক শোর লোকজন.. কিন্তু টক-শোর হোস্টরা মিলে ওরে মামলায় ফাঁসানো উচিত..
- ময়লা নিয়ে নাড়লেও তো হাত গন্ধ হয়, তাই এরা কিছু করবো না, সমালোচনা আর প্রতিবাদ ছাড়া...
- কমছে কম মন্ত্রি এদের যে টাইটেল দিয়েছে, এরা সবাই মিলে মন্ত্রিরে এইরকম একটা টাইটেল দিতে পারে..
- কি টাইটেল দেবে?
- যে কোন একটা দুই অক্ষরের শব্দ বাছাই করে তার সাথে মন্ত্রির নিজের পছন্দসই ‘মারানি’ প্রত্যয় যোগ করে দিলেই হলো..
- হাহাহাহাহাহা...
চার.
- তোর মতো মন্ত্রির কি হওয়া উচিত
- আমার মতের ধার ধারে ক্যডা জহুরুল ভাই
- ধার ধারার কথা বলতাছি না, তোর মতটা জানতে চাচ্ছি
- আমার মত বাদ দাও, সারা দেশে কত পদের দাবি উঠছে এইডা দেখে মজা পাইছি.. পার্থ কইছে, হ্যারে পাথর মারলে সোয়াব, আসিফ নজরুল কইছে, পাগলা গারদ নাকি জেল... ফাঁসি চাইছে বহু লোক.. মানে শেষ নাই..
- তোর কি মনে হয়?
- আমার পছন্দ হইছে শফিক্যার আইডিয়াটা
- আবার শফিক্যা? কি কইছে ও?
- ও কইছে মন্ত্রিরে কোন জেল, ফাঁসি কিছুই দেয়ার দরকার নাই..
- বলিস কি?
- ও কইছে মন্ত্রিরে মতিঝিলের মোড়ে রাস্তায় একটা খাঁচার মধ্যে রাখা হবে.. লোকজন রাস্তা দিয়া যাওয়ার সময় দেখবো.. বাদাম ভাজা, কলা ছুড়ে দেবে খাঁচায়... পাশে ছোট ছোট খোয়ার একটা স্তুপ থাকবে.. অতি ক্রুদ্ধ লোকজন টাকায় চারটি খোয়া কিনে ছুড়তে পারবে খাঁচায়.. কিন্তু আহত করা চলবে না... হে কি করে দেখার হেভি শখ শফিক্যার...
- হাহাহাহাহা... শালার শফিক্যা...