তুমি জ্বলন্ত রবির মত
বহুকাল ধরে জ্বলার পরেও অনন্তযৌবনা,
কখনো কমে যায় না তোমার রূপের উত্তাপ
বেড়ে চলে যেন আগ্নেয়গিরির মত!
তুমি ভালোবাসার দেবী
তোমায় স্পর্শ করে না কোন পঙ্কিলতা
তুমি নিষ্পাপ; দৃঢ় কিন্তু কোমল!
সন্ধ্যেতারার মত হেসে ওঠো আকাশে
দিনের সমস্ত আলো নিভে যাবার পর
আলোকিত করো তোমার দীপ্তিতে!
তোমার কোমল স্পর্শ শিহরণ জাগায়,
চকিতেই জেগে উঠে হাত বাড়াই
তোমাকে ছোঁয়ার জন্য!
তুমি গভীর নীল আকাশের মত
দেখা যায় কিন্তু খুঁজে পাইনা অস্তিত্ব
যত ধরতে চাই দূরে সরে যাও
তোমার বুকেই বিচরণ করি
তবু দুজনায় কত যেন দূরত্ব!
তুমি চঞ্চল হরিণী
মায়াবী, ভীত সন্ত্রস্ত চাহনি তোমার
নিমেষেই কাছে টেনে নিতে চায় চুম্বকের মত
এলোকেশের সুবাসে আকুল করো
সুপ্ত প্রেম জাগাও ইচ্ছের খেয়ালে!
তুমি হেসে ওঠো জ্যোৎস্না প্লাবনে
বুকে কাপন ধরে যায় সেই শব্দ তরঙ্গে
তুমি প্রেয়সী, তুমি রূপসী
কত মায়া ছড়িয়ে রাখো এক অঙ্গে!
তোমার লেখনি কাঁপন ধরায় বুকে
ঠান্ডা অনুভূতির স্রোত বয়ে যায় শিরদাঁড়া বেয়ে
মুগ্ধতার চাদরে ঢেকে যায় হৃদয়
নতুন স্বপ্ন দেখি নতুন তোমায় নিয়ে!
তুমি লজ্জাবতী
স্পর্শেই সংকুচিত হয়ে যাও নিদারুণ লজ্জায়
রাঙা মুখ আরো রঙিন হয়
চিবুক নত হয়ে যায়
লজ্জা আর প্রেম মিশে যায় অস্থিমজ্জায়!
তুমি মানবীর রূপে মর্ত্যে আসা পরী
তোমার সমস্তটাই কেড়ে নেয় হৃদয়
অদ্ভুত এক রহস্য জমিয়ে রাখো নিজের ভেতর
খুব গভীরে গিয়েও ঠিক চিনতে পারি না
কাছে থাকো তবু ফুটিয়ে রাখো টুকরো একটা ভয়!
তোমার তুলনা তুমি নিজেই
উপমারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায় তোমায় দেখে
কবিতাও যেন লজ্জা পায় তোমার স্তুতিতে
ছন্দরা খেই হারায় তোমার স্নিগ্ধতায়
কবি তবু লিখে যায় মায়াবী তোমায় নিয়ে!
বিনিয়ামীন পিয়াস
০৩.০৪.২০১৮