তাদের ঠিকানায় লেখা ছিল- প্রযত্নেঃ সুখ। বারোমেসে সুখ বুনে
নিত্যসুখী ছিল তারা। সুখলতায় ছেয়ে গেছে ছাত, অনঙ্গে ঝরে সুখ-পরাগ।
মুক্তোও যেন তুলেছিল কবে, সুখসাগর ছেনে।
অভিযোগ নেই কোন। সুখী হোক, তারা আরো সুখী হোক।
সুখ- পোশনের উপচানো বুদবুদে ভরে যাক বাড়ি, ভেসে যাক পাড়া -
মাঠ, তল্লাট, পুরো মর্ত্যলোক। তারা আরো সুখী হোক।
ঠিকানাবিহীন অসুখই আমার সুখ। ছোঁয়াচে পাখা মেলে- যেন
লেপ্টে থাকে তোমার রাতজাগা চোখের কোলে, নিঃশ্বাসে, বালিশের ভাঁজে-
ইরেজারে মুছে ফেলা খাতার কোনে, বুকপকেটের কালির অভিমানে।
শব্দজট হয়ে তুমি-আমি ক্রমাগত কাটাকুটি খেলি, জড়াজড়ি পড়ে রই-
একদিন ভেসে যাই অচিন বিহারে- প্রান্তিক বিকেলের
দমকা বাতাসে উড়ে আসা এক কুঁচকানো খবর-কাগজের পাতায়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৪