★ বাংলার বাতাসে টাকা উড়ে, আর সেই টাকা খপ করে ধরেন তথাকথিত মানব সেবায় নিবেদিত প্রাণ, মানে আমাদের রোগ বালাই সারানোর কাজে নিয়োজিত "চিকিৎসকগণ"।
★ বাংলাদেশের চিকিৎসকদের ওপর যতবার আস্থা আনতে চাই, ততবারই হতাশ হতে হয়। একজন চিকিৎসক রুগীকে ওষুধের লিস্ট দিয়ে যতটা দ্রুত সুস্থ করতে পারেন, সেই সুস্থতা আরো দ্রুত হতে পারে চিকিৎসক এর ব্যবহার আর আস্থাশীল বক্তব্যে। কিন্তু কয়জন আছেন বা পারেন?
★ বেশিরভাগই প্রফেশনাল। নতুন রুগীকে দেখা আর কথা বলায় ব্যয় করেন তিন থেকে পাঁচ মিনিট, হাতিয়ে নেন হাজার টাকার উপরে। মজার ব্যপার হলো যখন পুরানো রুগি আসে তখন এদের মেজাজ থাকে খারাপ কারণ ভিজিটিং পেমেন্ট তেমন বড় হয়না। আর যদি রিপোর্ট দেখানোর বিষয় হয় তাহলেতো মুখটা পেঁচার আকার ধারণ করে কারণ, তখন হাদিয়া আরো ছোট হয়ে যায়। আর রুগী যদি অশিক্ষা বা স্বল্প শিক্ষার কারণে কথা বুঝতে দেরী করে, তখন ডাক্তার সাহেব সেবা দানকারী হয়েও ব্যঙ্গক্তি করতে পিছান না, ভাবা যায়!!! ওদিকে এসিস্ট্যান্টকে তাগাদা দিতে থাকেন রুগী পাঠাও না কেন??? হা হা হা!!!
★ আই সি ইউতে মৃত রুগী জীবিত বলে রেখে দিয়ে টাকা কামানো, এসবতো এখন নিয়মিত ব্যপার।
★টাকার কি প্রচণ্ড প্রয়োজন এদের!!! ভালো কথা নিজের পারদর্শিতা, মেধা আর শ্রম দিয়ে টাকার পাহাড় গড়বে। কিন্তু চিকিৎসার মূলমন্ত্র কেন জানবেনা? ওষুধের লিস্ট ধরাও, রুগীর ভিতরের ভয়কে ব্যবহার দিয়ে জয় করো। যেন সে আস্থা পায় ওদিকে পকেটও ভারী করো, নো প্রবলেম। আর যদি রুগী দেখতে দেখতে বোর হয়ে যাও আর সে কারণে উপযুক্ত সেবা ও আচরণ দিতে অসমর্থ হও তাহলে ইস্তফা দাও, গলা সমান টাকায়তো ডুবে আছোই।
★আদর্শবান, নৈতিকতাসম্পন্ন চিকিৎসক নেই তা বলছিনা, অবশ্যই আছে। মা এর চিকিৎসায় একবার একজন ডাক্তারকে পেয়েছিলাম যার "মা" ডাকেই আমার মা অনেকটা সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন।
★যাইহোক এ তো গেল আদর্শের কথা, এর সাথে অন্য একটি বিষয়ও এখন সামাজিক ফ্যাশন হয়ে গেছে। এখনকার বাবা-মা যেভাবে ধরে ধরে ছেলে মেয়েদের (যাদের হয়তো সেই মেধা এবং আদর্শিক কিছু নেই) প্রাইভেটে ডাক্তার বানানোর হিড়িক শুরু করেছেন, তাতে আদর্শ আর আন্তরিকতাতো দূরের কথা সঠিক জ্ঞ্যানসম্পন্ন চিকিৎসক গড়ে ওঠাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
★সুস্থতা বিশাল এক নেয়ামত, যার অস্তিত্ব অসুস্থ হলেই টের পাওয়া যায় এবং যার উপশম মহান রব্বুল আলামীন চিকিৎসক এর মাধ্যমে করে থাকেন। আমাদের এই ছোট্ট দেশটাতে আদর্শিক, আন্তরিক, আস্থাভাজন, মেধাবী চিকিৎসক গড়ে উঠুক-
এটাই প্রত্যাশা...
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৮