ক)
ভেবে নাও কিছু একটা তোমার ইচ্ছে মত, সাগর পাড়ে দারুণ সূর্যাস্ত অথবা নক্ষত্রখচিত সুমেরু আসমান; অতল মহাজীবনের একাকী আলখেল্লা- সৎকারহীন অবৈষ্ণবের গলিত শব; ভেবে নিতে পারোঃ সুতো বাঁধা শালিকের ঠোঁট, বর্ণিল ঘুড়ির মিলিত সাঁ সাঁ, নুড়ি-পাথরের এ বিরান দ্বিপে সর্বনাশা হারিকেন। তোমার ভাবনার ঘোড়া তুমি যে দিকে চাও ছুটাও, পার হও গহীন পরোক্ষ ছায়াপথ- আমি বলবো না কিছুই!
মানুষের উপর থেকে আমি তুলে নিয়েছি অভিমানের চাদর, শুধু একটা দেশলাইয়ের কাঠি জ্বেলে পুড়িয়ে দিয়েছি অনুযোগ মননশীল শেষরাতে; আমার অভিজ্ঞতায় দ্বিপদের এই প্রাণী শুধুই হৃদয়ের পোস্টারে তামা হওয়া একটি সস্তা মুদ্রা, বাড়তি ক্ষুধায় যা বৃক্ষের বাকল আর শ্বাপদের চামড়া খুঁজে হয়রান অথচ বহিরাবরণে বিয়োগব্যথায় কুঁচকে রাখে পরিব্যাপ্ত মুখোস, যা ভাবনারও অধিক। আমি তাদের একজন যারা অনুতাপের শিশিতে রেখেছে ক্ষতির ঘাম, লোকাচারের অভূত উপলব্ধি সেই রবাহূতের বাইরের জমিন।
তোমার ভাবনায় মানুষ হয়ত মানুষের মত- আমার ভাবনায় মানুষ মৃত এবং বিলুপ্ত হওয়া একটি সম্প্রদায়;
নিসর্গ তোমার পরিধিতে ডানা মেলুক, আমি খুব রুঢ় সকাশে বিক্রিত হই ব্যাবচ্ছেদের চৌকাঠে; আমার কোন অভিযোগ নেই আর।
১৭/০৯/২০১৪
খ)
ধরো, দারুণ কিছু তৃণভোজী ফুটবল আর মিশুক একগাদা হলদে ঘাস বিদ্যাসাগরের পূর্ণিমা দেখে উল্টে পড়লো পশুর নদীতে, খুব স্রোতে; তারপর গাঢ় পানির নিচে বল্লম হাতে এক ভিনগ্রহের সাহিত্যসমালোচক খোঁচাতে খোঁচাতে যেখানে জোয়ারের ফেনা জমে সেখানে কিছু রুলটানা ৫ নাম্বুরে খাতার সাথে কাজলরেখার কাঁচুলি আর বড়দের একটা গল্পে মশগুল জমায়েতে না চাইতেই আক্ষেপ ঢেলে বাতাসে ছড়িয়ে দিলঃ বোকা পাঠক শব্দের বিপরীতে প্রশ্ন খাঁড়া করে শুধু।
তোমার কি বলার থাকবে অতঃপর! তুমি কি স্তব্দ এক দীর্ঘশ্বাস নিয়ে পাতালে অনুকল্পের সিঁদ কাটবে না! তুমি কি সালভাদর দালির সাথে শক্ত লবিং করে আমাকে বুঝাবে এসব বিপরীত অকল্পনা; তৃণভোজী ফুটবল চামড়ানির্মিত গোলগাল একটি ক্ষয়িষ্ণু শিল্প, আর এলিয়েনদের সাহিত্য নিয়ে মাথা ঘামাতে নেই!
আমি কি তোমার চোখ রাঙানীতে সহজে ভুলবো দায়, যার বিলম্বিত প্রেরণা অবকাশের অতলে ক্ষীণ বুদবুদ যেন।
তুমি পড়ে থাকো তৈলচিত্রে; শব্দচিত্রের ব্যাকরণ তোমার নয়।
১০।০৯।২০১৪
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০৮