সেই মধ্যরাতে যখন উন্মনা চাঁদ, আকাশে অথবা তোমার জানালার ক্যানভাসে-
তোমার সাথে তখন আমার কথাবিনিময়ের সমান্তরালে চলেছিল আশ্চর্য্য দহন, যার প্রেক্ষিতে একদ্বীপ বনজোছনায় শুধুই ঊনিশ উড়ছিল।
মানুষের মনস্তাত্বিক জটিলতায় তোমার আগ্রহ আমাকে অন্ধকার মাতাল এক যন্ত্রযাত্রায় থামিয়ে দিল হঠাৎ; আমার মনে হলো তুমি সদ্য ঊনিশ পেরুনো নও, তুমি বরং সময়ের সহযাত্রী আমার বয়সী কিংবা তার চেয়ে অভিজ্ঞানের নাটাই নিয়ে ঘুরছো!
আমার খুব জানতে ইচ্ছে হলো, তোমার সৌভাগ্যবান প্রেমিকের কথা,
সে কি কখনও তোমার গভীরতম হৃদপিন্ডের ফিসফাস মন্ত্রশ্বাসের খবর রাখে, নাকি দেহজ আবহে শুধুই অবগাহন!
আমি বলতে চেয়েছিলাম মানুষের কৌতুহলেই এই পরম সভ্যতার বিনির্মান; আমি দ্রাঘিমা পেরিয়ে কোন এক শস্যক্ষেতে চলে গিয়েছিলাম, জানো! যেখানে জীবনানন্দ আর কুবরিক একই আইলে গা এলিয়ে নভোকভ পড়ে। আহা! তোমাকে যদি দেখাতে পারতাম ফ্লেমিং এর ধমকে কতটা বিহ্বল ব্রুসনান সবসময়, যদিও তার ঈগল চোখ কখনও বা চিল হয়ে যায়!
সেই মধ্যরাতে উন্মনা চাঁদ; সেই আঁধারের মতো কথা বলবার সময়ে মানুষের মনস্তত্ত্ব- সেই শিক্ষকের প্রেমে পড়া সদ্য কুড়ির কবিতাসুন্দরী
তোমার হয়ত মনে আছে কামুর আউটসাইডারের কথা;
তোমার হয়ত সালভাদর ভালো লাগে,
তুমি হয়ত ট্যাক্সি ড্রাইভারকে খুঁজে ফের অবচেতনায়-
এই ভালোলাগার টুকরো-টাকরা, মেরুদেশের প্রবল তুন্দ্রায় কাঁপতে থাকা কারো সাথে সেতুবন্ধন; যেন সব মানুষের ভেতরে ভেতরে আন্ত:যোগাযোগের সুড়ঙ্গ ধরে ভাবনার পথে নামা।
আমার কোন বয়স রইলো না আর!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭