somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গদ্যের আকাংখা-১

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বহুদিন পর ফেসবুকে তোমার ছবি দেখলাম, সত্যি বলতে কি তোমার নাম আর ছবি দেখে আমি কিন্তু চিনতে পারি নি; পরিচয়সূত্র আর কিছুটা আমার ধারনা তোমাকে আমায় চিনিয়ে দিল।
সেসময় তুমি শুধু ডাক নামেই পরিচিত ছিলে আমার কাছে, অথচ তোমার পূর্ণ নামটাই জানার কোন বাসনা কিংবা প্রয়োজন ছিল না তখন যখন ভালোবাসা এসে দাঁড়িয়েছিল চৌকাঠে-
জীবন আর প্রেমের শুরুটা কিন্তু এমনই অগোছালো আর অপ্রত্যাশিত; আমরা জানিনা তবুও আমরা জন্মাই, আমরা ভাবিনা তবুও প্রেমে পড়ি, আমরা আরাধনা করিনা অথচ অদৃশ্যলোকে ক্রমশ: শুরু হয় নিয়তিযাত্রা।

তখন বিকেলগুলো গোধূলী নামে পরিচিত ছিল আমার কাছে, পাঠ্যবই-এ পড়েছিলাম গোধূলী খুব ক্ষণিক একটা সময়; আমি তার প্রমাণ পেয়েছিলাম তোমাকে দেখবার ক্ষণজন্মা বিকেলগুলোয়।

কখনও কি কথা হয়েছে আমাদের!
তুমি কি কখনও পরিপূর্ণ দৃষ্টিমেলে দেখেছ একবারও আমার কৌশরীক অবায়ব!
আমাকে কি চিনতে তুমি আসলেই!

আমি কিন্তু শুধু প্রেমে পড়তে হয় তাই অজান্তে তোমার এলোমেলো কুন্তলপাশে অকারনে স্পর্শ রেখে যেতাম; হয়ত তাই-ই তোমার চুলের শিশির, ভোর না হওয়া আবছালোকের কুয়াশা! প্রতিটি সন্ধ্যা আর সকাল, মানুষের আশার মতো মানবিক অপেক্ষা আমাকে বিদ্যুৎ আর বজ্রের ছলাকলা শিখাতো- অথচ আমার কিছুই করার ছিল না, তোমাকে একনজর আডচোখে দেখা ছাড়া। শুদ্ধ জীবনের শুরু আমাকে অপাপ এক কিশোর রেখেছিল শুধু, প্রত্যাশা আর বিপিনণ কখনও স্বপ্ন দেখাতো ক'টা চোখের মায়াবী বিভ্রম আমার হাতে হাত রেখে শুধু বলছে: আমৃত্যু উচ্চতাহীন মখমল সময় হবে একান্ত আমাদের!

আহা! অথচ তুমি জানো নি কিছুই; হয়ত তোমার চোখে তখন অন্যঘোর- পৃথুলা এক সবুজরাজ্যে তুমি কিছুটা পিংক আর রুপালী ফ্রকে কিশোরী উত্তাপ ধরে সময়মেহনে আকছো জীবনচ্ছবি!

আজ তোমার পরিপূর্ন ছবিটি দেখে আমি তোমার চশমার গভীরে সেই চোখ খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে পাশে বসা দীর্ঘাঙ্গী স্বর্ণকেশীর ফরাসি পারফিউমে বিবশ রইলাম।

আচ্ছা, ভালোবাসা কি উত্তাপ, আকাংখা নাকি অপেক্ষার আচানক ফাঁদ! আমি উত্তর খুঁজি না আর এখন।।

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×