অগুনন সমুদ্রগামী জাহাজ ভীড় করেছে অগভীর পোতাশ্রয়ে সহসা।
বেগুনি মাস্তুলে ভর করে সপ্তর্ষিমন্ডল দেখছে সাদা পোষাকের পোর্টমাষ্টার-
দু’টো জলজ শামুক লেনাদেনা ভুলে তাকিয়ে আছে দূরবর্তি বাতিঘরের চুড়ায়;
শব্দ আর ধোয়ায় ঢেকে রয়েছে নিহারিকার পাতলুন-
ট্রাপিডের ঝাক ক্ষণাজন্মা জীবনে মেতে পার হচ্ছে প্রবালপ্রাচীর-
এখানে সময় অপেক্ষার নিকষ অন্ধকারে একরকম থেমে থেমে হুইসেল বাজিয়ে চলেছে;
নাবিকের হাতে ধরা সস্তা মদের পেয়ালায় উড়ে ঘুরছে নীল মাছির দল।
সুদৃশ্য প্যাকিং বক্সে দীর্ঘজীবি প্রসাধন আর ভোগ্যপণ্যের মজুদ-
কর্কশিটের বাতাসহীনতা ভেদ করে তাদের নির্জীব জীবনাচারণ সময় কখনও গোনেনি আর;
সময় শুধু প্রাণীসকলের আপনার বিষয়; পচনশীলতায় যেন একমাত্র বেধে রাখা তারতম্য।
আর, একটি রেখা শুধু- সামান্তরাল; সামান্ততান্ত্রিক
পণ্যের বেহুদা সংশ্রবণে ক্ষয়ে যাবার নিয়তি মেনে অদৃষ্ট তাদের নিয়তি বেধে দিয়েছেন;
অণু-পরামাণুর বিয়োজন তাদের পৃথক করেছে স্রষ্টার ছলাকলায়,
কাঠের বাক্সে ঈষৎ আন্দোলন-
ধরো তাদের সুগঠনে বিয়োজিত প্রাণোদনা;
নাবিকের অস্থি গিলছে মদের পেয়ালা:
চারপাশের অদৃশ্য কিটপতঙ্গের রাশি স্থির,
নুড়িবরেগা আর পাথরপ্রবাল একটু একটু করে গ্রাস করছে ভোগসত্তার উল্টোরথ!
সময়, তুমি তখন কোন গোত্রের?
নক্ষত্র তোমার উজ্জ্বলতর আলোকসম্ভার কোন মাদলের পরাভব!
ক্যাপ্টেনের চোখ তো দূরবীনের নৈশাহার-
চকিতে এই পালাবদলে জ্ঞানের শন্ডা শুধুই বিহ্বল সরিসৃপ;
অত:পর এই দৃশ্যে আমি না হয় আর একবার ভেবে নিলাম
আক্ষেপের বুননে বুনা আপেক্ষিক জীবনের কথা-
তারপর নির্জীব চাহনিতে অপেক্ষায় রইলাম ক্ষয়ের, নিয়তির!!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫