তুমি ইভান বুনিন’কে চেন? যাকে নিয়ে আমি প্রথম কবিতা লিখেছিলাম আর শ্যাওলাঢাকা একটি প্রমাণসমান স্ট্যাচু যাযাবর সময়পাতে গুগুল থেকে কেটে এনে বসিয়েছিলাম অলংকারসমেত।
তুমি ইমপ্রেশনিষ্টের অবাক রঙধারার প্রথম ছবিটি দেখেছ! সৎ তুলির এমন বিচিত্র ভাবানুবাদ আর কখনও মানুষ আকে নি। আমি ক্লদ মনে’কে সবসময় রেনোয়া’র সাথে মিলিয়ে ফেলি। বিস্তর শিল্পকর্মকে তাবৎ অর্থঋণের বিনির্মানে যৎসামান্য সম্মান দিয়ে পরিমাপ করি ক্যানভাসের পরিধি!
তুমি ও হেনরি’র পূর্ণ নাম স্মরণ করতে পারো! তার জেল পালানোর কষ্টময় দিনগুলোতে সে শুধু একটি সবুজ দরজা খুজতো। যেমন আমি, প্রতিটি কবিতায় সবুজ দরজার ছাপ মেরে চলেছি! যদি কখনও নির্জন কোন সন্ধ্যায় একটি সবুজ দরজার ঠিকানা পাই, শুধু সেই দু’জোড়া চোখ বহুবার দেখবো বলে।
নরম ক্রাইসলার চড়ে বিভা চা খায় টঙ দোকানে, অযুত বিগ্রহ সমেত গঙ্গায় ডোবে মানুষের কারুকাজ-
ক্ষতে বিভ্রম টেনে আকাশরথে পাক খায় জিব্রাইলের ডানা; মানুষ এখন ভিন্ন আসমানে সংকেত পাঠায় অস্তিত্বের জানান। কোন কোন ছাড়পত্রে থাকে বিবর্তনের সূদীর্ঘ ছায়াপাত কিংবা সঘণ বুদ্ধিমত্তার ধূসর দীপালি।
সময় এভাবেই সাক্ষর রাখে কালের তুলিতে। বিচিত্র গুহাচিত্রে প্রফেসর শঙ্কু খুজে ফেরে প্রস্তর-মানুষ। হাতুড়ে কাস্তে নিলামে তুলে স্তালিন হুইস্কি পান করে হোজ্জা নাসিরুদ্দীনের সাথে।
তারপর, একদা বিলুপ্ত হয় মানুষের বসতি। অতিকায় টিরানোসরাসের মতো নেমে আসে পূর্ণদৈর্ঘ্য আধার। নিচ্ছিদ্র নির্জনতায় মুছে যায় যাবতীয় স্বাক্ষর, যা মানুষ রেখে যেতে চেয়েছিল প্রজন্মের সকাশে; শুধু ভুলে গিয়েছিল, প্রতিশ্রুত নিকষ অন্ধকারের কথা।।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭