somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“পমপেই” - প্রকৃতির অভিশপ্ত শহর

০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইতালী’র নেপল উপসাগরের উপত্যকায় অবস্থিত ভূগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া রোমান সভ্যতার অন্যতম ঐতিহাসিক প্রকৃতির অভিশপ্ত শহর “পমপেই” এর কথা অনেকেই হয়তো আমরা জানি না। কারন এই শহর নিয়ে মিডিয়াতে খুব একটা আলোচনা হতে দেখা যায় না। তারও কারন আছে
খৃীষ্টাব্দ ৭৯ সালের ২৪শে আগষ্ট। এই তারিখে অপরান্ন সময়ে ইতালী’র “পমপেই” শহরের অধিবাসীরা কেউ কেউ বিশ্রামে ব্যাস্ত ছিল অথবা কেউ কেউ আনন্দ উদ্দিপনায় নিজেদের মত্ত রেখেছিল।


ঠিক সেই সময় হঠাত শহরের অধিবসীদের উপর প্রকৃতির নির্মম দুর্যোগ নেমে আসে। এই শহরের পাশে অবস্থিত ভেসুভিয়াস পর্বতে কোন প্রকার পূর্বসংকেত ছাড়াই এক বিরাট ধরনের ক্যাটাস্ট্রোফিক অগ্নুৎপাত ঘটে ঐ সময়। সাধারনত কোন অঞ্চলে আগ্নুৎপাত হবার কিছুক্ষন আগে ঐ অঞ্চলের পশুপাখির আচরণের মধ্যে একধরনের পূর্বসংকেত লক্ষ্য করা যায়। পমপেই শহরের বেলায় তার কিছুই পাওয়া যায়নি বলে ঐতিহাসিকরা বর্ননা করেছে। ফলে “পমপেই” শহর সহ শহরের ২০ হাজার অধিবাসী দিনে দুপুরে মাত্র অল্প কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রায় ২০ ফুট আগ্নিয় লাভা আর ছাইভষ্মের নিচে বিলিন হয়ে যায়, ফলে শহরের সমস্ত মানুষ, প্রানী ও উদ্ভিদরাজীর তাৎক্ষনিক জীবন্ত কবর হয়। তারপর থেকে প্রকৃতি’র অভিশপ্ত এবং পাপিষ্ঠ শহর হিসেবে এই শহর প্রায় ১৭০০ বছর ধরে আধুনিক মানব সভ্যতার অগোচরে থেকে যায়, কেউ কখনও সেখানে ভূল করেও পদচারন করেনি।
এই বিলিন হয়ে যাওয়া শহরের অস্তিত্ত কিছু এ্যামেচার আর্কিওলজিষ্ট অলৌকিকভাবে খৃীষ্টাব্দ ১৭৪৯ সালে সর্বপ্রথম আবিস্কার করেন। তারপর থেকে সেখানে উৎসাহী মানুষের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে। ইতোমধ্যে প্রায় দুই হাজার বছর সময়ে শহরটি কয়েক হাজার ফুট মাটির নিচে বিলিন হয়ে গেছে। শুধু তাই নয় আশ্চার্য্যের বিষয় হচ্ছে এখনও সেই মাটি আর ছাইভষ্মের নিচ থেকে প্রাণী সহ মানুষের মৃতদেহ অবিকল ফ্রোজেন অবস্থায় সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। মৃত্যু’র সময় যে যেভাবে অবস্থান করছিল তাকে সেভাবেই পাওয়া যাচ্ছে। যেমন কাউকে পাওয়া গেছে বাড়ীর মধ্যে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় পরিবারের সকল সদস্যকে সমবেত অবস্থায়। বাড়ীর কুকুরটার মৃতদেহ উঠানে ঠিক সে ভাবেই আছে যে ভাবে থাকার কথা। প্রকৃতি তার অমোঘ নৈপুন্যতা আর বৈজ্ঞানিক উপকরন দিয়ে এই সব মৃতদেহকে বছরের পর বছর মাটির নীচে স্বযত্নে সংরক্ষন করেছে যা আমাদের মত সাধারন মানুষের জ্ঞানে অবিশ্বাস্য। আর এই সব প্রানী ও মানুষের মৃতদেহ দিয়ে ইতালী’র সরকার নতুন করে তাদের ঐতিহাসিক যাদুঘর সাজাচ্ছে বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে। এখন এই স্থানে জাতীসঙ্ঘের তথ্য অনুযায়ী বছরের প্রায় ২৫ মিলিওন টুরিষ্ট ভ্রমন করে। আমরা এখানে বানিজ্য না করতে পারলেও কিছু জ্ঞান অর্জন করতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস


পমপেই শহরের ইতিকথা


এই শহরের গোড়াপত্তন হয় প্রায় খৃীষ্টপূর্ব ৬-৭ শতাব্দী’র দিকে মধ্য ইতালি’র ততকালিন রাজা ওসকানের দ্বারা। ভেজিভিয়াস পাহাড়ের পাদদেশে নেপল উপসাগরের উপত্যকায় শহরটি গড়ে উঠে। শহরের একপাশে হারকুলেনিয়াম শহর এবং অন্যপাশে ষ্ট্যাবি শহর অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের বিপুল সমাহার ছিল এই শহরে। গ্রীক বানিজ্যিকরা সে সময় পমপেই শহরকে ব্যবহার করতো বানিজ্যিক বন্দর হিসেবে। ইউরোপের বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধের মাধ্যমে খৃীষ্টপূর্ব ৮০ এর দিকে এই শহরটি রোমান সম্রাজ্যের দ্বারা অধিকৃত হয় এবং সেখানে গড়ে উঠে রোমান সম্রাজ্যের অন্যতম বানিজ্য বন্দর। বানিজ্যিক টুরিষ্টদের জন্য সেখানে গড়ে উঠেছিল অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন অট্রালিকা প্রাসাদ, বাজার ইত্যাদি। “পমপেই” শহরের অধিবাসীদের কোন ধরনের অভাব অনটন ছিলনা। সেখানে প্রাকৃতিকভাবেই যেমন পর্যাপ্ত ফল ফলান্তির জন্ম হতো তেমনি বানিজ্যিক কেন্দ্র হবার কারনে বৈদেশিক মানুষের আনাগোনাও হতো প্রচুর, ফলে ব্যবসাও হতো ভাল। অপরাপর বানিজ্যিক বন্দর শহরের মতই “পমপেই” শহরটিও ধীরে ধীরে প্রাচীন কালের আধুনিক সভ্যতার সকল ধরনের চিত্তরন্জনের জন্য প্রানবন্ত একটি শহরে পরিনত হয়ে উঠে। সেখানে মানুষের চিত্তরন্জনের প্রয়োজনে সবকিছুরই সমাহার ছিল পর্যাপ্ত। কোন কিছুর অভাব ছিল। সেখানে যেমন ছিল থিয়েটার হল, তেমনি ছিল জুয়া’র অবাধ প্রসারন আবার ছিল বণিতা বানিজ্যের অবাধ স্বাধীনতা। তথাকথিত মানবতা সেবার প্রয়োজনেই মানবের চিত্তরন্জনের এই সব ব্যবস্থা ছিল সেখানে পর্যাপ্ত। “পমপেই” শহরের অধিবাসীদের প্রত্যেকেই ছিল পর্যাপ্ত সম্পদশালী। শহরে যেমন ছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তেমনি ছিল পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদরাজি। এর ফলে তৎকালিন রোমান সম্রাজ্যের এলিট শ্রেনীর মানুষদের অবকাশ যাপনের জন্য “পমপেই” শহর হয়ে উঠে অন্যতম ব্যাস্ত শহর। প্রাকৃতিক ঐশর্য্য আর সম্পদ প্রাপ্তির ফলে এই শহরের অধিবাসীরা প্রকৃতি’র (!) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভূলে যায়। বরং তারা প্রকৃতিকে উপহাস করে রোমান সম্রাজ্যের এলিট শ্রেনীর মানুষদের চিত্তরন্জনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থপনা নিশ্চিত করতো। সম্পদের ঐশর্য্যের আভিজাত্যে “পমপেই” শহরের অধিবাসীরা আত্নঅহঙ্কারে অন্ধ হয়ে ধরাকে সড়াজ্ঞান করতো। তারা তাদের আভিজ্যাত্যে প্রকৃতির অবদানকে অস্বীকার করে বিনোদন সুখ সাচ্ছন্দে ডুবে থাকতো।
“গ্লাডিটোরিয়াল কমব্যাট” ও “সেক্স স্লেভারী” এই দুটি কারনে প্রাচীন সভ্যতায় “পমপেই” অঞ্চলটির বেশ নামডাক ছিল। এসবই করা হতো রোমান সম্রাজ্যের ধনীদের বিনোদন বানিজ্যের অংশ হিসেবে। “গ্লাডিটোরিয়াল কমব্যাট” হচ্ছে কোন ষ্টেডিয়ামের মাঠে কিছু পুরুষ মানুষের মধ্যে আমৃত্যু এক ধরনের স্বশস্ত্র যুদ্ধ যা ষ্টেডিয়ামের দর্শকদের বিনোদনের জন্য পরিচালিত হতো। যোদ্ধারা যুদ্ধ করতো যতক্ষন না একজন যোদ্ধার দ্বারা অপরার যোদ্ধাদের রক্তাক্ত মৃত্যু না হয়। আর এই মৃত্যুকে উপভোগ করতো সে সময়ের রোমান এলিট শ্রেনীর দর্শক বিনোদনকারীরা।


ধীরে ধীরে গ্লাডিটোরিয়াল কমব্যাট রোমান সম্রাজ্যের জন্য একধরনের কালচারে পরিনত হয়ে যায়। “গ্লাডিটোরিয়াল কমব্যাট” এর জন্য “কলোসিয়ামন রোম” শহরের পর “পমপেই” শহর ছিল রোমান সম্রাজ্যের ২য় বৃহত্তম স্থান হিসেবে সুপরিচিত। “সেক্স স্লেভারী” ছিল “পমপেই” শহরের অন্যতম বিনোদন বানিজ্যের অংশ বিশেষ। “পমপেই” শহরের এলিট শ্রেনীর আভিজাত্য শোষনের প্রধান উপাদান-ই ছিল “সেক্স স্লেভারী”। তারা শিশু থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের স্লেভকে জোড়পূর্বক যৌন কাজে বাধ্য করতো। সেখানে মহিলা স্লেভকে যৌনকর্মে বাধ্য কারনো হতো পুরুষ অতিথীদের বিনোদনের জন্য আবার পুরুষ স্লেভকে ব্যবহার করা হতো মহিলা অতিথীদের বিনোদনের জন্য। “পমপেই” শহরের এলিট অধিবাসীদের মধ্যে যৌন সমকামিতা ছিল নিত্তনৈমিত্তিক অন্যতম বিনোদনের কালচার। তাদের এই সমকামি যৌন বিনোদন যখন যৌননির্যাতন (রেপিং) অভিলাশে পরিনত হয় তখন তারা স্লেভ শিশু থেকে শুরু করে সব ধরনের স্লেভকে ব্যবহার করতো যৌননির্যাতন বিনোদনের উপকরন হিসেবে। এমনকি পশু পাখিকেও তারা যৌননির্যাতনের উপকরন হিসেবে ব্যবহার করতো। বিনোদনকারী অতিথীরা অর্থের বিনিময়ে জীবন্ত যৌননির্যাতন উপভোগ করতো। ধীরে ধীরে “পমপেই” শহরে সমকামী যৌননির্যাতন এক ধরনের উন্মুক্ত সেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে। এর চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে “পমপেই” শহরের এলিট অধিবাসীরা যৌনবিনোদনকে রিতিমত সামাজিক কৃষ্টি হিসেবে গন্য করা শুরু করে। সেক্স বা যৌনলিলা গোপনীয় বিষয়ের পরিবর্তে উন্মুক্ত কালচার হিসেবে পরিগনিত হতে থাকে। কারোর বাড়ীতে কোন অতিথী এলে বাড়ীর স্লেভকে, কখনও কখনও অতিথীর সামাজিক মর্যাদার উপর ভিক্তি করে বাড়ীর গৃহকর্তা বা গৃহিনী অথবা নিজের ছেলে/মেয়েদের দিয়ে অতিথীর যৌন বিনোদনের ব্যবস্থা করা একধরনের সামাজিক রীতিতে পরিনত হয়। যে সব বাড়ীতে যৌনক্ষম কামুক নারী বা পুরুষ আছে সে সব বাড়ীর সদর দরজার সামনে বৃহদাকৃতির নারী বা পুরুষের যৌনাঙ্গের ছবি, পটারি অথবা যৌনউদ্দিপক কারুকার্য পটারি ঝুলিয়ে রাখা হতো অতিথী আকর্ষনের জন্য। শহরের রাস্তায় পাথরের উপর খোদাই করে সাজানো হতো পুরুষ বা নারী’র যৌনাঙ্গের উন্মুক্ত ছবি। পোষাক থেকে শুরু করে পটারী, পানপাত্র, খাবারের প্লেট, গ্রহসমাগ্রী, গৃহ সজ্জার সামগ্রী সবকিছুর উপর সুনৈপুন্যের সাথে যৌনউদ্দিপক ছবি বা নারী পুরুষের যৌনাঙ্গের ছবি খোদাই করে আঁকা হতো। এবং এ সব সামগ্রী অতিথীদের জন্য শুভেনির হিসেবে বাজারে বিক্রিও করা হতো। কিছু কিছু অতি উতসাহী অধিবাসী আবার যৌন কামুক সম্পন্ন নর/নারীর মূর্তি তৈরী করে তার পূজা করতো। এই সব মূর্তিকে তারা “ফারটিলিটি গড” হিসেবে বিশ্বাস করতো এবং বাজারে বিক্রিও করতো। পমপেই শহর বা আশে পাশের যৌনক্ষমহীন নারী/পুরুষরা এই সব ফারটিলিটি গড এর মূর্তি ক্রয় করতো এবং মূর্তির সাথে যৌনকর্মের মাধ্যমে দেবতার পূজা করতো যাতে তাদের যৌনক্ষমতা ফিরে আসে। ধীরে ধীরে এই শহরের অধিবাসীদের মধ্য থেকে তৎকালিন ইউরোপের কনজারভেটিভ খৃীষ্টান ধর্মের অনুশাসন বিলুপ্ত হয়ে যায়। শহরের অধিবাসীদের উন্মুক্ত যৌন বিলাসিতার কারনে কনজারভেটিভ খৃীষ্টান ধর্ম অনুসারী কারোর পক্ষেই পমপেই শহরে ধর্ম প্রচারে বা ব্যবসায়িক ভ্রমন করা অসাধ্য বিষয় ছিল। কারন খৃীষ্টান ধর্মেও বিবাহ বহির্ভুত যৌনকর্ম এমনকি সমকামিতা সম্পূর্নভাবে নিষিদ্ধ যা পমপেই শহরের একধরনের বিলাসিতার কালচার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ফলে ধর্মীয় মানসিকতায় সামাজিক বা ধর্মীয় কনফ্রন্টেশন বা ব্যাকল্যাশের ভয়ে ইউরোপের কনজারভেটিভ ধর্মীয় সম্প্রদায় সাধারনত পমপেই শহর পরিভ্রমনে বিরত থাকতো।


কিছু লিঙ্ক




[yt|]









এই সভ্যতার উপর নির্মিত একটি মুভির ডাউনলোড লিঙ্ক :
এখানে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:০০
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×