কপিজ্ঞতা-১
গতবার ঢাকায় গিয়ে এয়ারপোর্টে নেমে উবার কল করলাম। যেই গাড়ীটা এসেছে, সেটা ভালোই কিন্ত পেসেঞ্জার সিটে বসতে গিয়ে আমার চোখ ছানাবড়া! ড্রাইবার সিটবেল্ট লক করে রেখেছে। আনলক করার কথা বলতেই বলল- ঢাকা শহরে কেউ সিটবেল্ট ব্যাবহার করে না, কিছু হবে না ব্লা ব্লা ব্লা। আমাকে বলল- ভাই, আন্নে কুন হাগলনি? জীপনে দেখছেন কোনদিন কেউ ইচ্ছা করে ফাঁস লাগায়? আপনি ইচ্ছা করে ফাঁস লাগিয়ে হাসঁ-ফাঁস করতে চান কেন? যখন এক্সিডেন্টের কথা বললাম, তখন সে ইচ্ছা না থাকা সত্বেও সিটবেল্ট খুলে দিল। মজা পেলাম যখন ট্রাফিক পুলিশ গাড়ী থামিয়ে কাগজ-পত্র চেক করার সময়ও ড্রাইভারের সিটবেল্ট ব্যাবহার না করা নিয়ে কিছু বলে নাই।
কপিজ্ঞতা-২
আমার এক তেধড় ইন্টার্ন সবকিছুতে বেশ শার্প কিন্তু গাড়ির পেসেঞ্জার সিটে বসলে তার কেন জানি সিটবেল্ট বাধতে বিরাট অনিহা বিশেষ স্বল্প দুরত্বের ড্রাইভ হলে। ড্রাইভ করার সময় কিন্তু সে ঠিকই সিলবেল্ট বাধে। জিজ্ঞাসা করলে বলে সিটবেল্ট নাকি তার কাছে ফাঁসের মত মনে হয়। আজকে লাঞ্ছ করতে গেছি অফিস ৭/৮ মিনিট দুরত্বের একটা রেষ্টুরেন্টে। আমি ড্রাইভ করতেছি আর সে যথারীতি সিটবেল্ট না বেধেঁ কাবুম কাবুম স্টাইলে গেমস খেলতেছে। কয়েক মিনিট যাওয়ার পরেই আমাদের গাড়ির পিছনেই শুনি পুলিশের জ্বালাময়ী ভাষন থুক্কু সাইরেন। রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করাতেই কয়েকটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে পুলিশ হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিছে। তাকিয়ে দেখি হারিকেনের দাম মাত্র ১২৫ ডলার জরিমানা। দেশে থাকলে লোডশেডিং মোকাবিলা, ও লাল্লা করার জন্য এই টাকা দিয়ে বেশ কয়েকদিনের কেরোসিন কিনা যেত
মর্যাল অফ দ্যা হিস্টোরি হল- যেমন খুশি তেমন সাজের মত ঢাকার রাস্তায়ও যেমন খুশি তেমন ড্রাইভ করা যায় আর ইহুদি-নাসারাদের দেশে খুশি মনে রাস্তায়ই নামা যায় না!! আফসুস!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪১