আরে-
শোনেন শোনেন জ্ঞানীজন শোনেন মন দিয়া,
কথার প্রারম্ভে ক্ষমা নিলাম চাহিয়া।
সামান্য কথা অতি, গুরুতর নয়;
ক্ষমিবেন অধমের ক্রটি সুনিশ্চয়॥
পরথমে গুরুজীর নামটি করিয়া স্মরণ,
অল্পে এক বৃক্ষকথা করিব বর্ণন।
সকলে প্রণাম দিয়া আদাব সালাম,
অধমের দীন কথা শুরু করিলাম॥
আরে-
অতিশয় বড় বৃক্ষ সভাতে জানাই,
খুঁজিলে যাহার কোন আদি-অন্ত নাই।
মাটি হৈতে দেখিলে তা হৈবে বড় ভুল;
অতীব অবাক বৃক্ষ উর্ধ্বে রহে মূল।
নিম্নমুখ কাণ্ড-শাখা-প্রশাখা তাহার,
করিয়াছে পাতা-ফুল-ফলেতে বিস্তার॥
আরে-
যে বৃক্ষের কথা আমি কহিতেছি আজ,
তাহে যুক্ত জগতের মানব সমাজ।
চক্ষু-মন-বোধ লাগে দেখিতে তাহারে;
চলিত নিয়মে বৃক্ষ বিপরীতে বাড়ে।
কর্ম ধর্ম যাহা হউক ইহাই স্বভাব,
অভাজন কথা পেশ করিল জনাব॥
আরে-
অল্পে শেষ করিতেছি দীন সমাচার,
বৃক্ষনাম সবিশেষে লইব এইবার।
দৃশ্যমান ইহা কোন কল্পবৃক্ষ নহে;
জ্ঞানীজন এ বৃক্ষরে ‘সংসার’ কহে।
‘উর্ধ্বমূল অবাক্ শাখ’ শাস্ত্রে লিখা যাহা,
ব্যতিক্রম হৈলে মোটে সংসার নয় তাহা॥
সামান্য কথা আজি টানিলাম ইতি,
পুনরায় ক্ষমিবেন যদি ভাঙ্গে রীতি।
জানাই প্রনাম আর আদাব সালাম,
গুরুজীর নামে কথা শেষ করিলাম॥
ছবি: সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩১