somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে রোমান্সের তিনটি স্তর।

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাইকেল গুরিয়ান দু-দশক ধরে সম্পর্কিত নারী-পুরুষের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ কিভাবে তাদের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলে তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন। তিনি রোমান্সের অনুভূতিগুলোকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন। রোমান্সের প্রথম পর্যায়টি শুরু হয়, যখন দু-জন নারী-পুরুষ পরস্পরের কাছাকাছি আসে। তখন তাদের মস্তিষ্কের ভেতর এক ধরনের সংকেত অনুভূত হয়, যা অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা যখন পরস্পরের সান্নিধ্যে আসে, তখন তাদের মধ্যে এক ধরনের অদ্ভুত আলোড়নের সৃষ্টি হয়। এই আলোড়নের ফলে তারা ভাবতে থাকে যে, তাদের অস্তিত্ব সম্পূর্ণ এক হয়ে গেছে; কোনো প্রলয়কারী ভূমিকম্পও এই অস্তিত্বকে ছিন্ন করতে পারবে না।

অক্সিটোসিন নামের একটি হরমোন, যেটিকে বলা হয় সম্পর্কের হরমোন (বন্ডিং হরমোন), সেটির উপস্থিতি তখন প্রিয়জনের মধ্যে যে বিরক্তিকর বিষয়গুলো রয়েছে, সেগুলোকে তাদের দৃষ্টির ও অনুভূতির বাইরে সরিয়ে রাখে। আর সে জন্যই, দু-জনকে দুজনের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মনে হয়। তখন তারা পরস্পরের সামান্য ছোঁয়াকেও স্বর্গীয় সুখ মনে করে। তবে এই স্বর্গীয় সুখ বেশিদিন চিরস্থায়ী হয় না। সর্বোচ্চ বছর খানেক পর মস্তিষ্কের ক্রিয়া বা সংকেত পরিবর্তিত হতে থাকে, এবং মস্তিষ্কের বিষেশ একটি অংশ থেকে এমন একটি বার্তা আসে, তা হচ্ছে "আমার প্রিয়ার মধ্যে অনেক অসামজ্ঞস্য রয়েছে"।

এর ফলে তারা রোমান্সের প্রথম স্তর থেকে দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশ করে। ফলে তাদের পরস্পরের প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হতে থাকে। এই ক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে থাকে; ফলে একজনের আচরণ অপরজনের কাছে ক্রমশ বিরক্তিকর ও সন্দেহজনক মনে হতে থাকে। বিরক্তি ও সন্দেহ ক্রমশ বাড়তে বাড়তে এমন এক অস্বস্তিকর অবস্থায় পৌছায় তখন একজন আরেকজনের ওপর মানসিক অথবা শারীরিক অথবা মানসিক-শারীরিক জোর খাটাতে থাকে। আর তখনই তারা রোমান্সের দ্বিতীয় স্তর থেকে তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করে। তার তখনই শুরু হয় সহ্যহীন ও বিরামহীন ভুমিকম্প।


সূত্র : মন ও মানসিকতা --- মেহতাব খানম
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:৩৩
১১টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×