আজ বুধবার, দেশের অবস্হান বদলানোর কথা ছিল, খালেদা জিয়ার গ্রেফতার হওয়ার কথা ছিল; এমন কোন অপরাধ বাকী নেই যে, খালেদা জিয়া করেনি; 'অবরোধ শব্দটি' এখন মৃত্যু ও পোট্রোল বোমার সমার্থক: ১৫০ জনের বেশী মানুষ প্রাণ হারায়েছে, ২০০ জনের বেশী আজীবনের জন্য পংগু, ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশী সম্পদ বিনস্ট হয়েছে। সেই খালেদা জিয়া গ্রেফতার হয়নি, হয়েছে মান্না।
ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান মান্না মিয়া পলাতক মেয়র খোকা ও অন্য এক ব্যবসায়ীর সাথে টেলিফোনে মামুলী আলাপ করে, গ্রেফতার হয়েছে, এখন ১০ দিনের রিমান্ডে, পরে 'রাস্ট্রদ্রোহী' মামলায় আসামী হবে। মান্নার অবস্হা দেখে ড: কামাল হোসেন চুপ, ডা: বদরুদ্দোজা মাঠে নেই, ড: বদিউল আলম হয়তো নাম বদলায়ে ফেলছেন! এটা হলো, দেশে যাতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার বাহিরে কেহ হঠাৎ করে ক্ষমতার কথা ভাবতে না পারে, সেই ব্যবস্হাকে প্রতিস্ঠিত করা।
১০ বিদেশী রাস্ট্রদূত সহজেই শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া যেন পরস্পরের সাথে মারামারি করে, দেশের উপর তাদের দখল না হারায়, সেই ব্যবস্হা করে ফেলেছে।
খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে, অবস্হার দ্রুত পরিবর্তন ঘটতো, অনেক নাটকীয় কিছু ঘটতে পারতো; শেখ হাসিনা ও সরকার তা চাচ্ছে না; এখন যে অবস্হা আছে, এ অবস্হাও শেখ হাসিনা, সরকার ও খালেদা জিয়ার জন্য খারাপ নয়।
দেশবাসীর আকুল আর্তি পেট্রোল বোমা থামাতে পারেনি; এই ১০ রাস্ট্রদূতের কারণে বোমা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
একদিক থেকে ভাবলে ভালো, কমপক্ষে বোমা থেমে যাবে; কিন্তু সঠিভাবে ভাবলে, বুঝতে পারবেন যে, এই বোমাবাজরা এখন থেকে স্হায়ী হলো, বোমাবাজির ভয়ে কেটে যাবে ২০ বছর, বোমাবাজরা বাকী সবকিছু দখল করবে; ড: কামালও ভয়ে মুখ খুলবে না, বাকীদের বাদ দেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩৭