ভুমিকম্প কেন হয়, জাপান ও পশ্চিমের কিন্ডারগার্টেনের বাচ্ছারা বলতে পারবে, শিক্ষকেরা নিশ্চয়ই ব্যাখ্যা করেছে; তারা জানে, কেন আগ্নেয়গিরির সৃস্টি হয়, ঝড় কেন হয়, কেন পানি নীচের দিকে যায়, কেন জোয়ার ভাটা হয়, কেন আকাশে রংধনু দেখা যায়।
বাংলাদেশে, বেশীরভাগ পরিবারের বয়স্করা স্কুলে যাবার সুযোগ না পাওয়াতে(সরকারের কারণে ঘটেছে), পরিবারের ছোটদেরকে ভুমিকম্প সম্পর্কে ভুল ধরণা দিতে পারে, রূপকথার মত কিছু ব্যাখ্যা দিতে পারে; কিন্তু স্কুলে আসার পর, বাচ্ছারা ভুগোল ও সায়েন্স পড়ার সময়, লজিক্যাল ব্যাখ্যা পায়, কারণ বুঝতে পারে।
কিন্ত দেশে এমন সব শিক্ষা নিকেতন রয়েছে, যেখান থেকে গ্রাজুয়েট হয়ে বের হচ্ছে ভুল ব্যাখ্যা শিখে; এসব গ্রাজুয়েটরা ১৮/২২ বছর বয়সে বইপত্র থেকে পড়ে আসছে ভুল ব্যাখ্যা; যারা বইপত্র থেকে পড়ে আসছে ভুল কারণ, তাদের শিক্ষাকে জাতি কিভাবে কাজে লাগাবে? তারা জাতির জন্য ভালো করবে, নাকি বিপদজনক?
কারা ভুমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, রংধনু, জোয়ার-ভাটার কারণ বুঝতে পারেনি? প্রাচীনকালে বৃহৎ জন সংখ্যা পড়ালেখার সুযোগ পায়নি, বুঝতে পারেনি; তাই তারা রূপকথার মতো ব্যাখ্যা করেছে। এরিস্টেটোল ঠিকই জানতো, ঠিকই লিখে গেছে।
যারা প্রকৃতিকে বুঝতে না পেরে ভুল ব্যাখ্যা করেছে, তাদের কথা আজ আবার কারা আমাদের বাচ্ছাদের, তরুণদের পড়াচ্ছে? কিভাবে আমাদের গ্রাজুয়েটরা ব্লগ ও ফেসবুকে রূপকাহিনী ছড়াচ্ছে? এসব তরুণদের নিয়ে আমরা কি সামনে যাবার, উন্নতি করার সুযোগ পাবো? এরা কি ভুমিকম্পে টিকে থাকার মতো ঘরবাড়ী, কলকারখানা করার মত ভাবতে পারবে, এদের মগজ তো অকেজো হয়েই গেছে
জাপান ও পশ্চিমের কিন্ডারগার্টেনের বাচ্ছারা ঠিকই ভুমিক্ম্পে আহত বাচ্ছাদের জন্য রিলিফ পাঠানোর পয়সা দিবে; আর আমাদের তরুণরা রূপকথার গল্পের ভিত্তিতে আমাদেরকে জীবনের কথা শোনাবে।