বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ; কারণ ১৭ কোটীর মাঝে ১০/১১ কোটী মানুষের আয়ের ধারাবাহিক সঠিক পদ্ধতি নেই; এদের আয় থেকে এরা নিম্নতম মানের জীবনযাত্রাও ধারাবাহিককভাবে চালাতে পারে না। বাবা তরকারী বিক্রয় করে, বাচ্ছারা স্কুলে যাচ্ছে; কাল পেট্রোল বোমায় বাবা মারা গেলো, আগামী ২ মাসে বড় মেয়েটা বাসার চাকরাণী হবে। আজ দুবাই থেকে টাকা পাঠাচ্ছে, ২ মাস পরে জেলে, টাকা বন্ধ।
দেশের মধ্যবিত্ত কান্নাকাটি করছে; ছেলে বিএ পাশ করে চাকুরী পাচ্ছে না, মেয়ের হবু বর দুবাইতে চাকুরী করে, আসতে পারছে না, বিয়ে হচ্ছে না।
স্বয়ং শেখ হাসিনা বলছিল ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হবে; কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক বলছে আজই হয়ে গেছে; ব্যাপারটা কি? ব্যাপারটা সহজ: পদ্মাসেতুর টাকা দিতে পারেনি বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে, প্রোটোকল মানেনি বাংলাদেশ; আরো ৩৮টি প্রজেক্টে বাংলাদেশকে টাকা দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক; আর প্রশাসন ও সরকার চুরি করছেই করছে; বিশ্ব ব্যাংক ক্লান্ত; এখন একটা বড় সার্টিফিকেট ধরায়ে দিয়েছে; আগের মত 'কমসুদে' টাকা দিয়ে চোর পোষা কমাতে চায় বিশ্ব ব্যাংক।
বিশ্ব ব্যাংকের যুক্তিও আছে; নিজ টাকায় যদি ৩ বিলিয়ন ডলারের সেতু করতে পার, তা'হলে তুমি অবশ্যই ধনী, তোমার মানুষ ধনী, কাযীর গাভীর দুধ খাও।
এখন থেকে বাংলাদেশ অনেক কম সুদের ঋণ পাবে না, রিলিফ কমে যাবে; হয়তো, অন্য দেশে রিলিফ পাঠাতে হবে; ধনী দেশের লোক পায়ে হেঁটে সাউথ আফ্রিকা গেলে মান সন্মান যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১৩