বৃটিশ নাগরিক আবদুল গাফ্ফার চৌ নাকি ধর্ম নিয়ে কটু কথা বলেছে আমেরিকায় বসে; সাথে সাথে আমেরিকা সম্পর্কেও খারাপ কথা বলেছে; বিএনপি দুই দিক থেকে আহত হয়েছে, পীরেরা ১ দিক থেকে আহত হয়েছে; বিএনপি বলছে, ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে মুসলমানদের মনে কস্ট দিয়েছে, সাথে সাথে আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নস্ট হবে। পীরেরা শুধু ধর্মের দিক থেকে কস্ট পেয়েছে, আমেরিকা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই অন্তত।
দেশ হিসেবে, একমাত্র কানাডার সামান্য সংখ্যক লোক ব্যতিত বিশ্বের সবাই আমেরিকা বিরোধী কথা বলে; আমেরিকার অর্ধেক মানুষ আমেরিকার বিপক্ষে কথা বলে; আপনিও বলুন, প্লাকার্ড লিখে আমেরিকান এম্বেসীর সামনে ঘুরে বেড়ান, বাংলাদেশ পুলিশ ছাড়া অন্য কেহ আপনাকে কিছু বলবে না।
আমেরিকার বিপক্ষে গাফফারের বাণী ইথারে মিশে গেছে, কোন আমেরিকান তা শোনার সুযোগ পাওয়ার কথা নয়; আমেরিকার সরকারের লোকেরা গাফ্ফার মাফ্ফারের কথা নিয়ে নাচলে আমেরিকা কোনদিন আমেরিকা হতো না, এটা আমেরিকা হয়ে থাকতে পারতো না। যাক, বাংলাদেশে আমেরিকানদের বন্ধু আছেন বিএনপি'র রিপন, নাকি মিফন কে একজন, তা ভালো।
যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ চায়নি, মুলত তাদের নিয়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল বিএনপি গঠন করেছিলেন; পরে বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে, মানুষকে পাখীর মতো মেরেছে, সেই জামাতের বন্ধু হয়েছে, এখনো আছে, তাও ভালো। কিন্তু দুস্ট আজীবন দুস্ট থাকে, রাজনীতির নামে চক্রান্ত করে, বৃটিশ প্রিটিশ নিয়ে বাংলাদেশে তালগোল পাকায়; ডাকাত ও বেকুবদের রাজনীতি বহুনুখী!
বিএনপি'র নেতা বলছে গাফ্ফারের বিচার করতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে; হায়রে বেকুব, গাফফার বাংলা কথা বললেও সে বৃটিশ নাগরিক, বৃটিশ আইনে ওর কথা বলার অধিকার সংরক্ষিত; বাংলাদেশ সরকার বৃটিশ সরকারের কাছে একটা চিঠি লেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না; সেই চিঠি পড়ার লোকও পাওয়া যাবে না, শুধু প্রাপ্তি স্বীকার করবে!
পীরেরাও চায় বাংলাদেশ সরকার গাফ্ফারের বিচার করুক; এরা পীর, আল্লার কাছের লোকজন এরা, মানুষের জন্য সারা জীবন কাজ করে; সরকার এদের কথায় গুরুত্ব দেয়া উচিত; সরকার চাইলে পদক কেড়ে নিতে পারে কমপক্ষে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫