বিশ্বের ৮০% মানুষ ধর্মে বিশ্বাস করে; কোন না কোনভাবে ধর্মীয় আচার, বিশ্বাস, ট্রেডিশন, প্রার্থনার সাথে যুক্ত; ফলে, ধর্ম সহসা কোথায়ও যাচ্ছে না; খৃস্টান ধর্মের লোকেরা ৪০ মিলিয়ন কপি বাইবেল ছাপায়, ইসলাম ধর্মের লোকেরা ৩০ মিলিয়ন কপি নতুন কুরান ছাপায়; এ ব্যতিত আছে হাজার রকমের ধর্মীয় বই, পুস্তিকার শত মিলিয়ন কপি। বিশ্বে সরকারী ও ব্যক্তিগত মালিকানার বাহিরে সবচেয়ে বেশী সম্পত্তির মালিক ধর্মীয় অর্গেনাইজেশন গুলো। বিশ্বে প্রচলিত সবচেয়ে বড় কাহিনীগুলোর মুলে রয়েছে ধর্মীয় অনুভুতি; মহা প্লাবন, মহা শক্তিমান মানুষ, সবচেয়ে বুদ্ধিমান, সবচেয়ে গুনী, সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে দয়ালু, সবই ধর্মের গল্পের অংশ। প্রথম মানুষ, শেষ মানুষ সবই ধর্মীয় চরিত্র।
ধর্মের পরিসর এট বড় যে, এখানে সবার স্হান হয়; যেই মানুষ কোন বর্ণ লিখতে পারে না, পড়তে পারে না, সেই ব্যক্তিও ধর্ম নিয়ে কথা বলতে পারে; আবার লাখ লাখ ধর্মীয় স্কুল, একাডেমী, বিশ্ববিদয়ালয় উচ্চ শিক্ষিত পন্ডিত তৈরি করছে, যারা ধর্মকে ধরে রেখেছে, ধর্মকে প্রতিদিন মানুষের সামনে নতুন ভাবনা হিসেবে তুলে ধরার আপ্রাণ চেস্টা চালাচ্ছে।
সায়েন্সের প্রতিটি শাখা সব সময়েই মানুষের জন্য কঠিন ছিল, ফলে মানুষ চাইলেই সেখানে স্হান করে নিতে পারে না; একই কারণে, সায়েন্স সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের আলোচানার বিষয় হতে পারেনি।
বাংলাদেশে কখনো মাঠে মাঠে পদার্থ বিদয়া নিয়ে আলোচান বসবে না; গ্রামে গ্রামে রাতে বাইওলোজীর অনুস্ঠান হবে না; আসলে, এসবকিছু ঢাকা ইুনিভার্সিটিতেও হবে না; টিএসসি'তে অর্থনীতি নিয়ে সন্মেলন করলে ৪০০/৫০০ লোক হবে; ধর্মীয় সভা করলে ৫ লাখ কোন ব্যাপারই না।
মানুষ কঠিন সায়েন্স সহজে আয়ত্ব করতে পারে না, বুঝে না; মানুষ সহজ বিষয় বুঝতে পারে, সেটা নিয়ে কথা বলতে পারে; সেখানে নিজের মতামত যোগ করতে পারে; ফিজিক্সে বা অর্থনীতিতে মতামত যোগ করার জন্য লোক খুঁজেও পাওয়া যাবে না; ব্লগে ক্যাচাল করার জন্য সহজ কয়েকটা বাক্যই যথেস্টা, এবং সেটা লজিকের বাহিরে হলে একটু বাড়তি সুবিধা; এবং সেটার সোর্চ হিসেবে ক্যচালবাজরা ধর্মকেই বেচে নেয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩