ভারতের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এপিজে আবদুল কালাম খুবই দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়ার পরও 'এ্যরোস্পেস' ইন্জিনিয়ারিং পড়তে পেরেছিলেন, হয়তো উপমাহাদেশের ভারতীয় অন্চলে জন্ম নেয়ায়, তা সম্ভব হয়েছিল; একই সময়ে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে জন্ম নেয়া দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা পড়ালেখায় এ ধরণের সুযোগ পেয়েছিল বলে আমার মনে হয় না।
উনার জীবন বাংলাদেশীদের জন্য একটা আদর্শ হতে পারে: পদ যত উঁচু হবে, সেই পদে তত বেশী বিদ্যান প্রফেশানেলকে যেতে দিতে হবে; এসব মানুষ জাতির প্রতি নিবেদিত হয়ে থাকেন, ও পদের মর্যদা ও দায়িত্ব বুঝেন।
প্রেসিডেন্ট এপিজে আবদুল কালাম ৮৩ বছর বয়সে (১৯৩১-২০১৫) মৃত্যুবরণ করেছেন; উনার পুরো জীবন ছিল আলোকিত ও সন্মানিত। তিনি ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল সময়ে ভারতের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন; প্রফেশানেল জীবনে থাকাকালীন সময়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন তিনি; দায়িত্ব শেষে তিনি আবারো প্রফেশানেল জীবনে ফিরে যান; প্রেসিডেন্ট'এর দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর, তিনি সব ধরণের রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজকে নিরপেক্ষ রাখেন; এর ফলে, উনি সকল বিতর্কের উপরে চলে গেলেন।
বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে সুযোগ্য মানুষ আসার সুযোগ নেই; কারণ, পার্টি ওখানে নিজের কোন বৃদ্ধ রাজনীতিবিদকে বসায়ে দেয়, যিনি সাধারণত: শারীরিক ও প্রফেশানেল দিক থেকে উপযুক্ত নন; ফলে, এত বড় পোস্ট থেকে জাতি কিছুই আশা করতে পারে না।
প্রেসিডেন্ট আবদুল কালাম ভারতের ডিফেন্সের জন্য কাজ করে গেছেন; বৈজ্ঞানিক মানুষ ছিলেন; দেশের জন্য নিবেদিত মানুষ যখন রাজনৈতিক পোস্টে এলেন, মানুষ এতে আশান্বিত হয়েছিল।
আমাদেরও দরকার, বড় গুণি ব্যক্তিদের প্রেসিডেন্ট পদে নিয়ে আসা, এতে জাতি উৎসাহিত হবে; বিশেষ করে তরুণ ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা ও প্রফেশানেল হওয়ার জন্য উৎসাহিত হবে; তখন, রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে, বোমাবাজি, ছাত্র রাজনীতি করার জন্য উৎসাহিত হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭