চীনা পুরুষেরা বিশ্বাস করে যে, বাঘের একটুকরা মাংস খেলে, বা হাঁড়ের থেকে তৈরি এক চামচ স্যুপ খেলে, তারা বাঘ হয়ে যাবে; গত ৫০ বছরে বিশ্বের ১ লাখ বাঘের বেশীর ভাগ ওরাই খেয়ে ফেলেছে, এখন বাকী আছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার হয়তো; কিন্তু আমি চীনাদের ৫০ বছর ধরেই একই রকমই দেখছি, সবগুলোই শিয়ালের মতো বুদ্ধিমান, বাদুরের মতো মুখচোরা, বলদের মতো কাজ করে; চীনা মেয়েরা সুযোগ পেলেই অন্য জাতির লোকদের কাছে বিয়ে বসে যায়।
চট্টঘ্রামের পাহাড়েও বাঘ ছিল; সর্বশেষ ১ জন মানুষ মেরেছিল আনুমানিক ৬৫ বছর আগে; যেই বাঘিনী মানুষটাকে মেরেছিল, গ্রামবাসী তাকে ও তার বাচ্ছা ২টি সেইদিনই মেরে ফেলেছিল; এখন রামগড় থেকে কুমিরার মাঝখানে বাঘ তো দুরের কথা শিয়ালও নেই; এখন ওখানে মানুষই মানুষ মারে।
সুন্দরবনের আশে পাশের মানুষ সুযোগ পেলেই বাঘ মেরে ফেলে; তাদেরকে এই ব্যাপারে কেহ কিছু শেখায়নি; সুন্দরবনের বাঘের হাঁড়-মাংস হংকং এর বাজারে বিক্রয় হয়ে আসছিল পাকিস্তানী আমল থেকে, এখনো সময় সময় হয়। ভারতীয় সুন্দরবনে বাঘ নাকি বাড়ছে, সেটা ভালো খবর; কিন্তু ওখানে সমস্যা নাকি হরিণ কম হয়।
আমাদের সুন্দরবনের পাশে এবার সরকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে; এতে প্রথমে গাছ মরবে বাঘের আগে; বন না থাকে বাঘ কোথায় থাকবে?
এশিয়ার ১৪ দেশে বাঘ আছে বনে; এদের মাঝে শুধু ভুটানের লোকজন কিছুটা কম হিংস্র; বাকীরা বাঘের থেকেও হিংস্র; হিংস্রের সাথে হিংস্র থাকতে পারে না; যেটার বুদ্ধি কম, সেটার পরাজয় হবে সময়ের সাথে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৩