পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলোর শিক্ষকদের যদি একটা মাত্র এসোসোয়েশন থাকতো, তা'হলে এর থেকে শক্তিশালী কোন এসোসিয়েশন বাংলাদেশে কল্পনা করা যেতো কিনা। ৭০% ভাগের বেশী হয়তো পিএইচডি হতে পারতো। তাঁদের ক্থা না শুনে সরকার কোনদিকে যেতে পারতো?
এই লোকগুলো লাল, নীল, সাদা, কালো শিয়ালে পরিণত হয়ে, পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলোকে জংগলে পরিণত করে, সবার হাতে মার খায়; ঠিক মতো বেতন পায় না, মর্য্যদা পায় না; দরকার মতো বদলী হতে পারে না, রিটায়ার করার পর নিজেদের পাওনাটুকু পায় না।
এদের সমস্যা কোথায়? এদের প্রথম সমস্যা হলো, এরা শিক্ষক নয়, এরা রাজনৈতিক দলগুলোর ক্যাডার; মোটামুটি পড়ুয়া প্রাক্তন ভালো কিংবা আধা ভালো ছাত্র। এদের বেশীর ভাগকে, নিজেদের দলের শিক্ষকেরা জালিয়াতী ও অন্যায়ের আশ্রয় নিয়ে, ভালো ক্লাশ দিয়ে শিক্ষকতায় সুযোগ করে দিয়েছে; সময়ের সাথে, এখন ক্যাডার ব্যতিত কয়জন শিক্ষকতায় আছে কে জানে।
এরা নিজেদের ভেতরে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে নিজেদের শক্তি পুরোটা অপচয় করে; এরা নিজদলের বাহিরের কেহকে প্রমোশন দিতে দেয় না; ফলে, প্রমোশন অনেক কম দিয়ে সরকার ও ইউনিভার্সিটি বডি কাজ চালায়ে যাচ্ছে।
ভিসি'র পদ বাংলাদেশে 'পলিটিক্যাল'; ফলে, এখনকার সবাইকে আওয়ামী লীগের কেহ না কেহ হতে হয়; অন্য দলের শিয়ালরা অবশ্যই ভিসিকে শান্তিতে থেকে কাজ করতে দেয় না; যেহেতু, হাজার হলেও শিক্ষিত, গন্ডগোল যখন করে, উহার সমাধান বের করা সরকারের পক্ষে সম্ভব হয় না।
পড়ালেখা, রিসার্চ'এর ধারে কাছে আছে বলে মনে হয় না; সারাক্ষণ দলাদলি করে, নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল তো মারছে, সাথে সাথে জাতির পায়েও মারছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০০