খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা খন্দকার মাহবুব প্রশ্ন তুলেছে, "চ্যামপিয়ন অব দ্যা আর্থ" পুরস্কার পাবার যোগ্যতা শেখ হাসিনার আছে কিনা? আমার ধরণা, শেখ হাসিনা উনার প্রশ্নের উত্তর কখনো দেবেন না; দিলে, উত্তরটা হতো, "হ্যাঁ যোগ্যতা আছে"; জাতিসংঘের পুরস্কার কি যোগ্যতার ভিত্তিতে দেয়, সেটা জাতিসংঘই জানে; এবং জাতিসংঘ জেনেশুনেই পুরস্কারটা দিয়েছে।
এই প্রশ্নটা বিএনপি'র অপরাজনীতি সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে; এদের রাজনীতি বলতে কিছুই ছিলো না কোনদিন; এদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিও ছিল না। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে জাতি সংঘ পুরস্কার দিয়েছে, সেটাকে স্বাগত জানাতে পারতো, বা চুপ করে থাকতে পারতো; রাজনীতিতে অভদ্রতাকে এসব লোক চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে; শেখ হাসিনাই এদের জন্য সঠিক মুগরের ব্যবস্হা করেছে।
আমার ধারণা, শেখ হাসিনা পরিবেশ নিয়ে বারবার জাতি সংঘে কথা বলায়, বাংলাদেশ পরিবেশ বিপর্যের শীর্ষ দেশ হওয়া সত্বেও, শেখ হাসিনাকে তারা পুরস্কৃত করেছে; ইউরোপের কোন রাজনীতিবিদ পরিবেশ নিয়ে নতুন করে কথা বলছেন না; কারণ, উনারা সেই লেবেল অতিক্রম করেছেন গত শতাব্দীতে; ইউরোপের প্রাইমারী স্কুলের বাচ্ছারা বাংলাদেশের বুয়েটের শিক্ষক থেকেও পরিবেশ বান্ধব।
আফ্রিকানরা জাতি সংঘের পুরস্কার পায় অনেক বিষয়ে; কারণ, আফ্রিকায় ভালো কিছু সহজে ঘটে না; ঘটলেই সবাই হতবাক হয়ে, তাদের পুরস্কার দেয়।
শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ চালাচ্ছে, তা সঠিক হচ্ছে না; এসব পুরস্কার, মুরস্কার উনাকে সাহায্য করবে না; ক্ষমতা থেকে সরার সাথে সাথে উনার নাম হারিয়ে যাবে; তবে, বিএনপি'কে যেভাবে ক্ষমতা থেকে দুরে রেখেছে, এটা সঠিক থেকেও বেশী ভালো হচ্ছে; কারণ, বিএনপি ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যেতো, এখন শেখ হাসিনা সেই তত্ব নিজের হাতে নিয়েছে; বিএনপি'র জেনারেল জিয়া ও জেনারেল শওকত আলী ব্যতিত কেহ বাংলাদেশ চায়নি; বিএনপি'র নতুন জেনারেশন কোনদিন জানতে চায়নি যে, ডা: বদরুদ্দোজা, বিচারপতি সাত্তার, এমাজুদ্দিনরা বাংলাদেশ চেয়েছিল কিনা।
শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন রাজনীতিতে আছেন; তবে, এখন জাতির জন্য বড় কিছু না করলে, উনার অবদান বাতাসে উবে যাবে; যেটার দরকার, সেটা হলো, ৭০ ভাগ ছাত্রকে ফ্রি পড়ানো, চাকুরীর সৃস্টি করা। এটা না করতে পারলে, যা করেছেন, সবই বৃথা হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫১